অসৎ ডাক্তার।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করব। আমি মনে করি আমাদের চারপাশের ঘটনা থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা লাভ করা যায়। এজন্য আজকের ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা।
আমাদের বাড়ির পাশের একটি মহিলা। তার স্বামী বিদেশ থাকে। মহিলাটির শারীরিক একটু সমস্যা ছিল। প্রায় অসুখটি প্রতিমাসে একবার থেকে দুইবার দেখা দেয়।
অসুখটি দেখা দিলে সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তার শরীরে একটি ইঞ্জেকশন দিতে হয়। মহিলাটি শারীরিক সমস্যাটি তেমন কারো সাথে শেয়ার করতেন না। তাদের ফ্যামিলির মানুষ তার অসুখটি কথা জানতে পারে। এবং তার স্বামী তার অসুস্থত সম্পর্কে জানে। মহিলাটি বিগত এক বছর ধরে মাসে একবার থেকে দুইবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে। সে আমাদের এলাকার একটি ডাক্তার সাহায্যে ইঞ্জেকশন দিতেন।
ডাক্তার টি যতবার আসে ইনজেকশন দিতে তার থেকে ৫০০ টাকা করে নিতেন। মহিলার স্বামী বিদেশ থাকায় সে ডাক্তারের কাছে কখনো জানতে চায়নি। ইনজেকশন এর এত দাম কেন। এভাবে অনেক সময় ডাক্তারটি তাকে ইনজেকশন দিয়ে 500 টাকা করে নিতেন। একসময় মহিলাটি তাদের বাপের বাড়িতে গেলেন।
সে সময় মহিলাটি তার বাপের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে গেলেন। তার মা-বাবা সঙ্গে সঙ্গে তাদের এলাকার ডাক্তার নিয়ে আসলো এবং ওই ইঞ্জেকশনটা তাকে পুশ করলেন। তারপর মহিলাটি ওই ডাক্তারকে ৫০০ টাকা দিলেন। ডাক্তার একশ টাকা রেখে বাকি ৪০০ টাকা তাকে ফেরত দিলেন। মহিলাটি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলেন ৪০০ টাকা কেন দিলেন।
ডাক্তার মহিলাটিকে বললেন ওষুধের দাম ৬০ টাকা এবং আমি এসে পুশ করায় ৪০ টাকা রেখেছি। ডাক্তার তাকে বললে আপনি চাইলে চল্লিশ টাকা নিয়ে যেতে পারেন শুধু আমাকে ওষুধের পয়সা দিলে চলবে। কারণ এখন আপনি আমাদের এলাকায় মেহমান। মহিলাটি সাথে সাথে ও ডাক্তার সাথে কথা বলেন। বলেন আমার স্বামীর এলাকায় একটি ডাক্তার আছে সে আমাকে এই ইঞ্জেকশনটা দিয়ে ৫০০ টাকা করে নিতেন।
তাদের এলাকার ডাক্তারটি কথা শুনে মাথায় হাত দিয়ে দিলেন এত টাকা কেন সে নেবে। ডাক্তার বলতে লাগলেন বড় জোর সে আপনার থেকে ১৫০ টাকা নিতে পারে। মহিলাটি কিছুদিন পরে স্বামীর বাড়িতে আসলেন। এসে বাড়ির মান্যগণ্য লোকদেরকে বললেন ঘটনাটি। এবং সাথে সাথে ডাক্তারের জন্য একটি বিচার বসালেন। সবার সামনে মহিলাটি ডাক্তারের কথাটি সবাইকে বলেন।
মহিলাটি সবাইকে বললেন ডাক্তার আমার অসুখ হলে ইনজেকশনটি দিয়ে আমার থেকে ৫০০ টাকা করে নিতেন। এইবার আমি আমার বাবার বাড়িতে অসুস্থ হয়েছি ওই এলাকার ডাক্তার আমাকে ইনজেকশন দিয়ে ১০০ টাকা নিলেন। এবং ডাক্তার বলেছে ওষুধটি মাত্র ৬০ টাকা। এ আমার থেকে প্রতিবার ৫০০ টাকা করে কেন নিলেন।
এইবার এলাকার মান্যগণ্য সভায় তাকে জিজ্ঞেস করলেন কেন এত টাকা তার থেকে নিলেন। ডাক্তার এখন আর কিছু বলতে পারতেছেন না। ডাক্তার বলতে লাগল সে আমাকে অসুখ হয়েছে ফোন করেছে আমি ইনজেকশন মেরে এত টাকা করে নিয়েছি। সামনে সে অসুস্থ হলে আমাকে ডাকার কোন দরকার নেই অন্য কাউকে সে ডাকুক।
মহিলাটি বলতে লাগলেন সে আমার থেকে কেন এত টাকা রেখেছেন এটার জবাব সে চায়। পরবর্তী এলাকার মাইন্নগণ্য লোক ডাক্তারকে অনেক ধরনের কথা বললেন। এবং ডাক্তার মহিলাটি কাছে খুবই অনুতপ্ত হয়েছেন।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা :
আমি মনে করি এখনো আমাদের আশেপাশে এরকম লোক রয়েছে যারা চারপাশের মানুষজনকে ঠকায়। আর মানুষের অসহায় তো আর সুযোগ নেয়। আমি মনে করি আমাদের এসব থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং কখনোই কাউকে এভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
@tipu curate
আসলে আমাদের দেশে এরকম অসৎ ডাক্তার বহু রয়েছে। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে ১০০ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা করে নিতো। লোকটি ডাকাত নাকি ডাক্তার সেটাই বুঝতে পারলাম না। আসলে আমাদের দেখে শুনে তারপর কাজ করা উচিত। যারা অসৎ তারা তো অসৎ কাজ করবে। কিন্তু নিজেদের চক্রান খোলা রেখে কাজ করতে হবে যাতে ঠকতে না হয়।
আসলে বাস্তবে এরকম ডাক্তার অনেক আছে। তবে আমি ঘটনাটি সুন্দর করা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন কখনোই কাউকে এভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়।মহিলার উচিত ছিল প্রথমেই ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধের দাম জিজ্ঞেস করে নেওয়া।তার সততার সুযোগ নিয়ে ডাক্তার, ১০০ টাকার ইনজেকশনটি ৫০০ টাকা নিয়েছে। মহিলা হয়তো বাবার বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ না হলে কখনো ইনজেকশনটির দাম জানতে পারতো না।যাইহোক ডাক্তার মহিলাটি কাছে পরে খুবই অনুতপ্ত হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগল ।
আপনি সত্যি বলেছেন মহিলাটি বাবার বাড়িতে অসুস্থ না হলে কখনো জানতেন না। আপনার খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই সময়োপযোগী একটি গল্প লিখেছেন আপনি। বর্তমান সময়ে গ্রামাঞ্চলে এরকম হাতুড়ি ডাক্তার দেখা যায়
যারা সামান্য চিকিৎসা দেওয়ার বিনিময়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের সকলের উচিত এরকম গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার নামের ডাকাতদের বিষয়ে সচেতন হওয়া। আর আমাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন ভালো মানের এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
সত্যি এরকম হাতুড়ি ডাক্তার গ্রাম অঞ্চলে অনেক দেখা যায়। আমি নিজেও শুনে ঘটনাটি অবাক হয়ে গেলাম। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা একটা বড় বাস্তবতা যেখানে ডাক্তার তার পেশাকে ব্যবসা হিসেবে দেখছে। সমাজের নিরীহ মানুষগুলোকে চুষে চুষে খাচ্ছে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে এই বিষয় নিয়ে অনেক সিনেমাতেও অনেক চরিত্র থাকে তবে সব ডাক্তার এক হয় না।
তবে সব ডাক্তার এক হয় না সেটা আমিও মানি। তবে কিছু কিছু ডাক্তার কারণে ভালো ডাক্তারদেরও বদনামি হয়। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আসলেই ডাক্তারদের এসকল নিচু মানসিকতার জন্য দিনদিন আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে।ডাক্তার রা অসহায় মানুষদের এভাবেই ঠকিয়ে সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে। একজন শিক্ষিত মানুষের কাছে এরকম আচরণ সত্যি আশা করে আশা করা যায় না। আমাদের কে অবশ্যই চোখ বন্ধ করে কারো উপর বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করেছেন। আসলে ডাক্তার এভাবে মানুষের সাথে করবে তা খুব দুঃখজনক। আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় এরকম ঔষধ ডাক্তার দেখা যায় যারা রোগীর কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে থাকে। মহিলাটি যদি নিজের বাপের বাড়িতে গিয়ে ডাক্তার না দেখাতেন তাহলে হয়তো এতদিনে জানতেন না তার কাছ থেকে তার তার স্বামীর এলাকার ডাক্তার তার কাছ থেকে অনেক টাকা বেশি নিতেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সবকিছু জেনে বুঝে তারপরে কাজ করা।
আসলে মানুষের যখন অসুখ হয় তারা ডাক্তারকে খুব বিশ্বাস করে। কিন্তু কিছু কিছু ডাক্তারতা ধরে রাখতে পারে না মর্যাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আর এটা ডাক্তারের একদমই উচিত হয়নি একশো টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা নিয়ে যাওয়া। আর আমি মনে করি মহিলাটি উচিত ছিল ওষুধের দাম জিজ্ঞেস করে নেওয়া। আমাদের দেখে শুনে কাজ করা উচিত। কেননা উনি ওনার বাবার বাড়িতে অসুস্থ না হলে এই কথাটি হয়তো কোনদিনই জানতে পারতেন না। পরে ডাক্তার অনুতপ্ত হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
সবচেয়ে বড় কথা ডাক্তার তার অন্যায় স্বীকার করে অনুতপ্ত হয়েছেন। তারপরও ডাক্তারের কাছে মানুষের যে একটি সম্মান ছিল সেটা সে নিজে নষ্ট করে ফেলেছে। আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আমিও এমন অনেক অসৎ ডাক্তার দেখেছি। আমি নিজের চোখে এমন অনেক ঘটনা দেখেছি। সৎ পথে থেকে অল্প টাকা ইনকাম করা অনেক ভালো। কিন্তু ডাক্তাররা কেন এমন কাজ করে বুঝতে পারি না। আমাদের উচিত সবসময় ঔষুধ কেনার সময় দাম জিজ্ঞেস করা। মহিলার জন্য অনেক কষ্ট হলো তাকে ডাক্তার অনেক ঠকিয়েছে। আপু আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
আপু বর্তমানে বাংলাদেশের ডাক্তারদের কথা বলে লাভ নেই। তারা পারলে রুগির কিডনি খুলে নিয়ে যেত। ৬০ টাকার ইঞ্জেকশন ৫০০ টাকা করে নিতো। চিন্তা করছেন বিষয়টা। ডাক্তার হয়ে কসায়ের মত আচরন করলো। আমাদের উচিত কাউকে এত বিশ্বাস না করে যাচাই বাছাই করা। ধন্যবাদ আপু।