গল্প:-অভিশাপ। ( শেষ পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপর দিদারের ওয়াইফ এদের সাথে আরো ঝগড়া করতে লাগলো। তবে দিদারের মা দিদার ওয়াইফ কে বলেছে আমি মরে যাব তবে দেখবো না। তোমার মৃত্যুর সময় এবং তার আগে তোমার ছেলেদের ওয়াইফেরা তোমাকে আরো অনেক বেশি অত্যাচার করবে। এবং আমি মন থেকে তোমাকে অভিশাপ দিতেছি। এর কয়েক মাস পরে দিদারের মা মারা গেল। যখন দিদারের মা বাবারা গেল মনে হয় দিদার এবং দিদার ওয়াইফ অনেক খুশি হয়ে গেল।
দিদারের মা মারা যাওয়ার পর বিগত দুই বছর পরে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ল। এবং তাকে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে গেল। ওই সময় ডাক্তারের চিকিৎসা করার পর তার এক হাত এক পা প্যারালাইসিস হয়ে গেল। এবং তার এই প্যারালাইসিস আর ঠিক হবে না। যদিও দিদারের ওয়াইফের বয়স তেমন বেশি না। হঠাৎ করে দিদারের ওয়াইফের এই অবস্থা হওয়ার কারণে তার বড় ছেলেকে বিয়ে করালো। দিদার মনে করলো ছেলেকে বিয়ে করালে তার ওয়াইফের দেখাশোনা করবে।
দিদারের বড় ছেলের নাম হচ্ছে মামুন। মামুনের ওয়াইফ প্রথম এক মাস ভালো হয়ে চলাফেরা করেছেন। এরপর মামুনের ওয়াইফ বলতেছে তার শাশুড়ির খেদমত সে করতে পারবে না। এবং শাশুড়ির খেদমত এর কথা বললে সে বাবার বাড়িতে চলে যাবে। এবং মামুন এর ওয়াইফ মামুন কে বলেছে তাকে বাসায় নিয়ে যেতে এবং এখানে থাকবে না। এই নিয়ে মামুন এবং মামুনের ওয়াইফের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে এবং ঝগড়া হয়েছে। এবং মামুনের ওয়াইফ বলতেছে সেই তার মায়ের খেদমত করবে না।
এই কথা শুনে দিদার ভাই অনেক মনে কষ্ট পেয়েছে। তবে দিদার ভাই তার ওয়াইফের দেখাশুনা করে। বাস্তব কথা হচ্ছে দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ একদম চলাফেরা করতে পারে না। এবং তাকে হাত দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে দিতে হয়। আসলে অল্প বয়সে দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ মুখ দিয়ে তার এই কষ্টগুলো বলতে পারে না।
অথচ দিদার ভাইয়ের মা মুখ দিয়ে বলতে পারতো তার কষ্টগুলো।
এখন অনেকেই বলে দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ তাহার শাশুড়ির সাথে অন্যায় করেছে ।এই কারণে তার অভিশাপে এই অবস্থা হয়েছে। তবে দিদার ভাইকে অনেকে বলে তার ওয়াইফের জন্য কাজের লোক রাখতে। এখন তার ছেলের ওয়াইফ এখন দিদার ভাইয়ের ওয়াইফের দেখাশোনা করে না। দিদার ভাই তার ওয়াইফের দেখাশোনা করে। আসলে মুরুব্বিদের অভিশাপ অনেক সময় লেগে যায়। এখন দিদার ভাইয়ের ওয়াইফের কষ্ট দেখলে অনেকে এই নিয়ে অনেক কথা বলে। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু কথায় আছে না যেমন কর্ম তেমন ফল। দিদারের জন্য তার মায়ের অভিশাপ দেওয়া লাগেনি এমননিতে হয়ে গেছে। আসলে দিদারের স্ত্রী তার শাশুড়ির সাথে যেমন করেছে ঠিক তেমন পেয়েছে তার ছেলের বউয়ের কাছ থেকে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1763181714741014815?t=YSlJEaolXN_N6Tt7K2UzwA&s=19
এই গল্পের অনেকগুলো পর্ব আমি পড়েছি এবং সবগুলো পর্ব আমার অনেক ভালো লেগেছে। আজকে এর শেষ পর্ব পড়তে পেরে আমার অনেকটাই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি গল্পটিকে সমাপ্ত করেছেন৷ কেউ যদি মায়ের মনের কষ্ট দেয় সেই কষ্ট তাদের মনের মধ্যে এতটাই প্রবৃদ্ধ হয়ে যায় যে, সৃষ্টিকর্তা তার মুখ থেকে কথা বের হওয়ার আগেই মনের মধ্যে যে কথাগুলো থাকে সেই কথা অনুযায়ী অভিশাপ দিয়ে দেন৷ ঠিক সেরকম একটি ঘটনা হয়েছে দিদারের সাথে৷ দিদারের স্ত্রী তার শাশুড়ির সাথে যে রকম অত্যাচার করেছিল, ঠিক সেইরকম অত্যাচার সে শাশুড়ি হয়ে তার বউয়ের কাছ থেকে পাচ্ছে৷ এটির মাধ্যমে একটি বিখ্যাত উক্তি প্রকাশ পাচ্ছে যে, যেমন কর্ম তেমন ফল৷ একদিন না একদিন পেতেই হবে৷
এটি ঠিক শ্বশুর শাশুড়ি বা মুরুব্বীদের সাথে যেরকম অন্যায় করবে সেরকম অন্যায় নিজেই ভোগ করতে হবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম সঠিক কিছু কথা আপনি আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ কারণ এরকম ঘটনা আমাদের এখানেও অনেক জায়গায় আমরা দেখেছি ৷
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম।কারো সাথে অন্যায় করলে সেই অন্যায়ের ফল একসময় পাওয়া হয়। দিদারের ওয়াইফ তার শাশুড়ির সাথে অন্যায় করেছে। এখন সেই শাস্তি দিদার ওয়াইফ নিজে পাচ্ছে। যদিও দিদার ভাইয়ের মা মুখ দিয়ে কথা বলতে পারতো। কিন্তু দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ মুখ দিয়ে কথাই বলতে পারতেছে না তার কষ্টগুলো। এইজন্য সবাই মা-বাবা এবং শশুর শাশুড়ির সেবা করা দরকার। আসলে দিদার ভাইয়ের ওয়াইফের কথা শুনে আমার নিজের কাছেও খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবে একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দিদার ভাইয়ের মা মুখ দিয়ে কথা বলতে পারতো। কিন্তু দিদার ভাইয়ের ওয়াইফ মুখ দিয়ে কথা বলতে পারে না তার কষ্টগুলো বলতে পারেনা। যাই হোক তোমার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।