ভ্রমণ :- পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাই আমিও নিজের মতো করে কোথাও ঘুরতে গেলে অথবা নিজের লেখার পোস্টগুলো করার চেষ্টা করি সব সময় আপনাদের মাঝে। আশা করি আজকের এই ঘুরতে যাওয়ার পোস্টটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
আমার তো ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। আর সব কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘোরাঘুরি করলে মনটা অনেকটা ফ্রেশ হয়। অনেক মানুষ আছে যারা এই ঘুরাঘুরি করতে পারেনা ঘরের মধ্যে সারাক্ষণ কাজ এবং ব্যস্ততা নিয়ে পড়ে থাকে তাদের মনেও তেমন শান্তি থাকে না। কারণ যত বেশি ঘুরাঘুরি করা যায় ততই মনটা ভালো থাকে। তাই আমাদের সবার উচিত এভাবে ঘুরাঘুরি করে নিজের সুন্দর মুহূর্তটা ভালো কিছুর মাধ্যমে ক্যাপচার করা। তাহলে ঘরের কাজগুলো করতেও যেমন ভালো লাগবে তেমনি বাহিরের সুন্দর কাজগুলো করতেও বেশ ভালো লাগবে। এমনকি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতেও বেশ ভালই লাগে। তাই সবার আগে আমার মনে হয় নিজের মনের সাথে এখন ঘুরাঘুরি করাটাই ভালো। যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম।
আপনারা অনেকেই তো জানেন কিছুদিন আগে আমরা সবাই মিলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর এরকম সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যেতে তো সবারই বেশ ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার সমুদ্র পাহাড় সবকিছু বেশ ভালো লাগে। আর আমরা পরিবারের অনেকেই একসাথে হয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এরকম সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে অনেক খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরাঘুরি হয়। আমরা তো প্রথমে গিয়েই সমুদ্রের পানিতে নেমে পড়লাম পা ভেজানোর জন্য। আসলে এই দূরের এবং কাছে ঢেউ গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল সবচেয়ে বেশি।
তাছাড়া সমুদ্রের মধ্যে বড় বড় জাহাজ সবকিছু মিলিয়ে অনেক ভালো লাগলো। কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করার পরে দূরে দেখতে পেলাম একটি চাচা খুব সুন্দর ভাবে ঝাল মুড়ি বিক্রি করতেছে। তাই আমরা সবাই ওখানে চলে গেলাম ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। আমারতো ঝাল মুড়ি অনেক পছন্দের। বাড়িতে ঝালমুড়ি নিজে তৈরি করে খাওয়া হয় অনেক। আর ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ হয়তো খুব কম আছে। ছেলে মেয়ে সবাই এই ঝালমুড়ি খেতে বেশ পছন্দ করে। আর সবচাইতে বেশি অবাক করা কথা ছিল আমরা যখন দূর থেকে ঝালমুড়ি ওয়ালা চাচাকে দেখলাম তখন উনার চারপাশে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। তাই আমরা ভেবেছিলাম ঝালমুড়ি খেতে পারবো না এত ভিড়ের মাঝে।
তাও আমরা একটু গিয়ে দেখলাম খেতে পারি কিনা। সত্যি বলতে আমরা ঝালমুড়ি ওয়ালা চাচার কাছে যেতে যেতে মানুষের ভিড় একেবারেই কমে গেল। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল। তখন ওখানে আমরা সবাই শুধু পরিবারের লোকেরাই ছিলাম। তাই আপনার সাথে সাথে গিয়ে ঝালমুড়ি ওয়ালা চাচাকে বললাম আমাদের জন্য ঝাল মুড়ি তৈরি করতে। আর তৎক্ষণাৎ চাচা ও আমাদের জন্য বেশ মজাদার ঝালমুড়ি তৈরি করে ফেলব। সত্যি বলতে ঝাল মুড়ি গুলো এত মজা ছিল কি বলবো আর। আমিতো দুবার কিনে খেয়েছি ঝাল মুড়ি তখন। আর সবাই মিলে ঝাল মুড়ি খেতে খেতে আপনাদের জন্য কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।
আসলে আমরা যেখানেই যাই না কেন সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার না করতে পারলে নিজের কাছেও তেমন ভালো লাগে না। আপনারা সবাই তো আমাদের পরিবারের মতোই। বাকি পরিবারদের সাথেও এই সুযোগ মুহূর্তটা শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালোই লাগে। আমার কাছে সত্যি বলতে ঘুরাঘুরি করতে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালো লাগে। তাই সময় পেলেই সবাই মিলে একসাথে কোথাও না কোথাও ঘুরতে চলে যাই। যাইহোক সবাই মিলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে ঝাল মুড়ি খেয়েছি আর এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আরো ভালো লাগলো। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1805865757739282700?t=dW3pFgFQEqPBZvj9z9xC_g&s=19
ঠিক বলছেন আপু কোথায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আসলে ঘরে থাকতে থাকতে মাঝেমধ্যে একঘেয়েমি চলে আসে। যদি এভাবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায় মনটা অনেক বেশি হালকা হয়ে যায়। আবারো সুন্দরভাবে পুরো উদ্যানে কাজ করা যায়। আর সমুদ্র পাড়ে গেলে ঝাল মুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করলেন ঝাল মুড়ি খেলেন মুহূর্তটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু সমুদ্রর পাড়ে গেলে ঝাল মুড়ি খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসে ঝাল মুড়ি খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। একটু আগে আমিও ঝালমুড়ি খেলাম তবে আপনার ঝালমুড়ি দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি প্রতিনিয়তই চেষ্টা করেন সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু ধন্যবাদ ।
চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গিয়ে পরিবারের সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করার জন্য। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
ঘুরাঘুরি করলে মন-মানসিকতা খুব ভালো থাকে। তাইতো আমি ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি। যাইহোক আপনারা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। এমন পরিবেশে সবাই মিলে ঝালমুড়ি খেতে এবং সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। গত বুধবার এই সময়ে অর্থাৎ সন্ধ্যার দিকে আমরা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ছিলাম। আমরাও বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমার সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কথাটি একদম ঠিক বলেছেন ঘোরাঘুরি করলে মন মানসিকতা খুব ভালো থাকে। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ।