কাপড় দিয়ে তৈরি বালিশের কুশন
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদেরকে অন্যরকম একটি জিনিস তৈরি করে দেখাবো। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে সুন্দর জিনিসগুলো তৈরি করে আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। তাই আজকে ভাবলাম অন্যরকম ভাবে একটি বালিশের কুশন তৈরি করা যাক। এরকম বালিশের কুশন তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। কারণ নিজের ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই কুশন তৈরি করা হয়। তাই অনেকদিন যাবত আমারও এরকম একটি ছোট্ট বালিশের কুশনের প্রয়োজন ছিল। বাজার থেকে নিয়ে আসবো আসবো বলতে বলতে আর নিয়ে আসা হয় না। তাই একদিন হঠাৎ করে ঠিক করি আমি নিজেই এরকম একটি বালিশের কুশন তৈরি করার চেষ্টা করব। যখন তৈরি করেছিলাম তখন ভাবতেছিলাম হয়তো ঠিকভাবে তৈরি হবে না। কিন্তু তৈরি করার পরে আমি নিজেও অবাক হয়ে গেলাম। দেখতে একেবারে বাজারের কুশন গুলোর মতই দেখাচ্ছিল। যাক এটা ভেবে শান্তি লাগল যে আমি নিজেও একটি কুশন তৈরি করতে পেরেছি। তাই ভাবলাম আমার এই কুশন তৈরীর অভিজ্ঞতা টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে আমার তৈরি করা এই কুশন দেখে।
উপকরণ
✓ কাপড়
✓ কাঁচি
✓ কলম
✓ সুঁই সুতা
✓ সেলাই মেশিন
বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কপি কালার কাপড় কেটে দুটি সুন্দর ছোট লাভ তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর আরেকটি সুতির কাপড় কেটে স্মাইলের মুখের অংশটা কেটে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর আরেকটি গোল গোলাপি কাপড়ের একপাশে একটি লাভকে সেলাই করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর একইভাবে অপর পাশে আরো একটি কাপড়ের কাটা লাভ সুন্দর ভাবে সেলাই করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর মুখের স্মাইল হাসিটাকেও নিচের অংশে সুন্দরভাবে সেলাই করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর গোলাপি গোল কাপড়ের চারপাশে সুন্দরভাবে সেলাই করে একটুখানি অংশ খালি রাখলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর সেই গোলাপি বালিশের কুশন টাকে সুন্দরভাবে ভালোটা করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে একটি সুন্দর বালিশের কুশন তৈরি করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের এই বালিশের কুশন আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপনি বালিশের কুশন একদম ইউনিক ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। যেটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি নিজেই চেষ্টা করেছেন এটা খুব ভাল একটি উদ্যেগ নিয়েছেন এবং আজকে আপনি সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন এবং কুশনের হাঁসি মুখ টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছে এবং আপনি দারুণ দক্ষতায় কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
এরকম ভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে আবার নিজের ঘরের প্রয়োজন ও মিটিয়ে দেয়।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1718972608220401827?t=0r-p4CEf71TLQbrRM7jAvg&s=19
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কেনার চেয়ে যদি নিজে নিজে তৈরি করা যায় তাহলে অনেক সুবিধা হয়। আর দেখতেও ভালো লাগে।কাপড় দিয়ে তৈরি বালিশের কুশন খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। কিছু কিছু জায়গায় বানানের ভুল আছে একটু ঠিক করে নেবেন আপু।
বানান গুলো সুন্দরভাবে ধরে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
নিজের দরকারী জিনিস নিজে বানিয়ে নিলে বেশ ভালো লাগে। আমিও নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেই বানাই । বেশ ভালো লাগে। তবে সময় নিয়ে বসতে হয়, এ ধরনের জিনিস বানাতে। তা যাই হোক আপনার তৈরি করা কুশন কভারটি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে।বেশ সুন্দরভাবে কুশন তৈরির ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আমার নিজের কাছেও এরকম দরকারি জিনিসগুলো তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে।
নিজের হাতে তৈরি করা জিনিসগুলো ব্যবহার করার মজাই আলাদা। কাপড় দিয়ে খুব সুন্দর বালিশের কুশন তৈরি করেছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।তৈরি করা ধাপগুলো খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন চাইলে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। এত সুন্দর একটি ডাই আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি যাতে বালিশের কুশন সুন্দরভাবে তৈরি করা মাঝে শেয়ার করতে পারি
সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ
খুবই সুন্দরভাবে বালিশের কুসুম তৈরি করেছেন। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে এত সুন্দর ভাবে এই প্রজেক্টটি দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হলাম।
আমার তৈরি করা বালিশের কুশন আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
বেশ দারুণ কিছু দেখার সুযোগ হলো আপনার এই আজকের সুন্দর পোস্টের মধ্য দিয়ে। আসলে এ জাতীয় জিনিসগুলো সেলাই মেশিন দিয়ে করা সম্ভব তবে আমাদের তো হয়ে ওঠেনা বা জানা নেই ধারণা অর্জন করলাম, আপনার এই পোষ্টের মধ্যে থেকে।
চেষ্টা করেছি আমি ভাইয়া যাতে এই বালিশের কুশন সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারি
অনেক দারুন একটি হাতের কাজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়াদ করেছেন আপু।অনেকটা সময় নিয়ে কাজ টা করেছেন। খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এরকম হাতের কাজ আমার নিজের কাছেও তৈরি করতে ভালো লাগে
একেবারে হাতের কাজ শিখিয়ে দিলেন। কাপড় দিয়ে কিভাবে বালিশের কুশন তৈরি করতে হয় সেটা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার দক্ষতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করলে যে কেউ পারবে আমার মত এরকম বালিশের কুশন তৈরি করতে
আপু আপনার করা কাপড় দিয়ে তৈরি বালিশের কুশন দেখে আমার সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। এরকম নানা ডিজাইনের কুসুম কাভার তৈরি করে আমি সেল করতাম।আপনার কুশনটিও বেশ ভালো হয়েছে।♥♥
আমার তৈরি করা কুশন দেখে আপনার আগের দিনের কথা মনে পড়ে গেল জেনে ভালো লাগলো আপু।