জেনারেল রাইটিং : সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যারা এগোয় তারা নিশ্চিতভাবে সফল হয়।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব। আমি এখন মাঝেমধ্যেই চেষ্টা করি কিছু শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। কারণ এরকম শিক্ষনীয় বিষয় থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার থাকে। তাই আজকে সফলতা নিয়ে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমরা সব সময় কোন না কোন পরিকল্পনার অনুযায়ী কাজ করতে থাকি। কারন আমরা সবাই জানি যদি পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ করি তাহলে সেই কাজে হয়তো বা সফলতা হতে নাও পারি। তাই আমাদের সব সময় নিজের যোগ্যতা দিয়ে সব সময় উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। কোন মানুষ যদি নিজের পরিকল্পনা দিয়ে সঠিক কাজ করতে পারে তাহলে সেই মানুষই একদিন সফলতা অর্জন করতে পারে। আমাদের চারপাশে এরকম হাজারো মানুষ আছে যারা নিজের পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে সফল হয়েছে। ঠিক তেমনি আরো অনেক ধরনের মানুষ আছে যারা পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ করে সেই কাজে ব্যর্থ। সব সময় পরিকল্পনা নিয়ে কোন কাজ করা উচিত।
আমার এক ফ্রেন্ডের কাছে সোনা তার বাবা আর তার বাবার এক বন্ধু দুজনেই তাদের বাড়ির পাশের দোকান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমার ফ্রেন্ডের বাবা তিনি আগেও বাহিরের দেশে ছিলেন। ওখানে তিনি আগেও অনেক মানুষদের সাথে মিশে দোকান করেছিল। তাই ওই দিক থেকে আমার ফ্রেন্ড এর বাবার অনেক অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু ফ্রেন্ডের বাবার বন্ধুর তেমন বেশি অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি এই প্রথম বন্ধুর সাথে মিলে দোকান করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার ফ্রেন্ডের বাবা সব সময় কোন কাজ করলে ধৈর্য সহকারে সব কাজ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার বন্ধু তেমন গুছিয়ে কাজ করতে পারে না। তাই তার বাবা তাকে তার সাথে রাখার সিদ্ধান্ত নিল। যাতে তার বন্ধু তার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারেন।
এভাবেই দুই বন্ধু মিলে তাদের বাড়ির পাশে একটি দোকান ভাড়া নাই। তারপর তারা দুজন দোকানের মধ্যে মাল ভরপুর করে দোকান চালু করে দেয়। একেকবার একেক বন্ধু সেই দোকানে বসতে লাগলো একেক দিন। এইভাবে দুজনে মোটামুটি ভালোভাবে দোকান চালাতে লাগলো। কিছু দিন যাবার পরে আমার ফ্রেন্ডের বাবার বন্ধু অলসতা ভাবে দোকান চালাতে লাগলো। আমার ফ্রেন্ডের বাবার অভিজ্ঞতা আর সফলতা থাকার কারণে তিনি অলসতাটা ধরতে পেরেছে। এইভাবে কয়েকদিন আমার ফ্রেন্ডের বাবা তার বন্ধুর অলসতা দেখতে লাগলো। তারপর হঠাৎ করে একদিন তাকে জিজ্ঞেস করল সে কেন ঠিকভাবে কাজ না করে অলসতা করে। সে বলল আমি এভাবেই দোকান চালাবো আমার এভাবে চালাতে ভালো লাগে। তারপর কয়েকদিন পরে আমার ফ্রেন্ডের বাবা তাকে তার ভাগের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে দোকান থেকে তাড়িয়ে দিল।
তারপর আমার ফ্রেন্ডের বাবা ধৈর্য সহকারে সেই দোকান আবার সুন্দরভাবে করতে শুরু করল। কারণ তার সফলতা তাকে আজকে অনেক দোকানের মালিক করে ফেলল। কিন্তু তার বন্ধু এভাবেই আজকে দোকান হারিয়ে অনেক দুঃখ পেয়ে বসে আছেন। এখন তার পরিবারের সবাইও তার জন্য অনেক দুঃখে জীবন যাপন করে। কিন্তু আমার ফ্রেন্ডের বাবা পরিকল্পনা আর পরিশ্রমের কারণে আজকে তিনি তার পরিবারকেও অনেক সুন্দর ভাবে চালাতে পারে। এখন আমার ফ্রেন্ডের বাবা তার দোকানের পাশাপাশি আরও কিছু দোকানও কিনে নিয়েছি। তিনি কিছু কর্মচারী ও তার দোকানের মধ্যে রেখে দিয়েছে। সবার সাথে আজকে ভালো ব্যবহার আর পরিকল্পনাভাবে কাজ করেছে বিদায় আজকে তিনি এতটুক এগিয়ে যেতে পেরেছে।
আমি তো আমার ফ্রেন্ডের কাছে তাদের পরিবারের আর তার বাবার কথা শুনে অনেক খুশি হলাম। আমরাও যখন ফ্রেন্ডের বাড়িতে যেতাম তখন তার বাবা আমাদের সাথেও অনেক ভালোভাবে এবং ভদ্রভাবে কথা বলতো। আমার আঙ্কেলকে অনেক ভালো লাগে। কারণ তিনি আজকে তারপরিকল্পনার পরিশ্রমের কারণে এতোটুকু এগিয়েছে তাই। আমি সব সময় আঙ্কেলকে বলতাম এভাবে যাতে আমরাও কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারি তার জন্য দোয়া করার জন্য। আমি আমার ফ্রেন্ডের বাড়িতে গেলে আঙ্কেলের থেকে কিছু পরামর্শ নিতাম সব সময়। এখনো মাঝেমধ্যে গেলে পরামর্শ নেওয়া হয় আঙ্কেলের কাছ থেকে। তাই আমাদের সবারই চেষ্টা করা উচিত পরিশ্রম আর পরিকল্পনাভাবে কোন কাজ করা। তাহলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। আশা করি আমার আজকের এই শিক্ষনীয় পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1667901922265952256?t=_CRiMtucDFCv8GSdT7N2bw&s=19
আপা আপনার সাথে আমি সহমত। কোন কাজ করতে গেলে যেমন তার পরিকল্পনা করলে সেই কাজের অর্ধেক সম্পন্ন হয়। ঠিক তেমনি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যদি কেউ সামনের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সে সফল হয়। আপনার ফ্রেন্ডের বাবা ধৈর্য ধরেছিল বলেই আজকে সে অনেক দোকানে মালিক হয়েছে। আর যদি তিনি ওখানে নিভে যেতেন তাহলে আজ এই পর্যন্ত আসতে পারতেন না।
আসলে ধৈর্য এমন একটা জিনিস যে কোন কাজ ধৈর্য ধরে বা পরিকল্পনা করে করলে তা সফল হয় একদিন। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা কিন্তু সত্যি, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যারা এগোয় তারা নিশ্চিতভাবে সফল হবে। আসলে আমাদের সবারই উচিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। আপনার ফ্রেন্ডের বাবার কথা পড়ে খুবই ভালোই লেগেছে। তিনি সবসময় ধৈর্য এবং পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেছে, যার জন্য তিনি এখন দোকানের মালিক হয়েছে এবং খুব ভালো একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিক্ষনীয় একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট ছিল বলতে হয়।
আপনি কোন কাজ পরিকল্পনা করে করেন তাহলে কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে। আর ধৈর্য হচ্ছে মানুষের বড় গুণ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম মনের মত কথা বলেছেন আজ আপনি। আপনার এই পোষ্টের মধ্যে শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে এবং রয়েছে ধৈর্যশক্তির এক সাফল্য রূপ। আর এই জাতীয় পোস্টগুলো আমাদের সকলের জন্য বড় অনুপ্রেরণামূলক।
আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।