লাইফ স্টাইল :- নাশিয়ার জন্মদিনে স্টেজ সাজানোর মুহূর্ত (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। কারণ সব ধরনের পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলে নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে। ইতিমধ্যেই সবার পোস্টগুলো দেখে আরো উৎসাহ বেড়ে যায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করার জন্য। আমার নিজের কাছে ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া এবং পরিবারের সবার সাথে সময় কাটানোর পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। তাই সবাই মিলে নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ সাজানো সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
আপনারা অনেকেই জানেন কয়েকদিন আগে নাশিয়ার জন্মদিন গিয়েছিল। আমরা তখন আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নাশিয়ার এবারের জন্মদিন তার নানার বাড়িতে পালন করা হয়েছিল। কারণ আমার মা অসুস্থ থাকার কারণে সবাই একসাথে বাবার বাড়িতে ছিলাম। সেজন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে আর নাশিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়নি। সবাই এক সাথেই প্ল্যান করলাম এবারের নাশিয়ার জন্মদিন তা নানার বাড়িতে পালন করব। তখন যেদিন নাসির জন্মদিন সেদিন বিকেলে রকি ভাইয়া গিয়ে নাশিয়ার জন্মদিনের প্রত্যেকটি জিনিস আমাদেরকে এনে দিল।
কারণ নাশিয়ার জন্মদিনে আমি এবং আমার খালাতো বোন ভাগ্নি আরও অন্যান্য সবাই মিলে আমরা নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর আমি সবাইকে বলে দিলাম কিভাবে কি কি করব। তারপর সবাই একসাথে হয়ে যার যার মত করে বেলুন ফোলাতে শুরু করলাম। আসলে প্রথমে রকি ভাইয়া দু প্যাকেট বেলুন এনেছিল। কেন জানি বেলুন গুলো একদম বাজে ছিল। আমরা প্রত্যেকটি বেলুন ফোলানোর পরে কেন জানি বেলুন গুলো এক এক করে ফেটে যেতে শুরু করলো। তখন কিন্তু সবার মন একেবারে খারাপ হয়ে গেল। কারণ বেলুন ফোলাতে প্রচুর কষ্ট হয়।
কারণ আমরা বেলুন প্রত্যেকটি মুখ দিয়ে ফুলিয়ে ছিলাম। যাইহোক তখন কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তারপর আমি রফি ভাইয়াকে বললাম এভাবে প্রত্যেকটি বেলুন ফোলাতে থাকলে প্রতিটি বেলুন আবার নষ্ট হয়ে যাবে। তখনই রকি ভাইয়া তার ছোট ভাইকে ফোন করে বলল বাজার থেকে আসার সময় অন্য দুটি প্যাকেট বেলুন নিয়ে আসতে। তারপর কি আর করার তখন আবার বেলুন আমাদের জন্য নিয়ে আসলো। আমরাও প্রত্যেকে আবারো বেলুন ফোলাতে শুরু করলাম। এভাবেই সবাই কষ্ট শেষ করে বেলুন ফোলানো শেষ করলাম। তারপর আমি এক এক করে সবাইকে বেলুন গুলো জোড়া লাগানোর কথা বললাম।
তারপর আমরা সবাই ধীরে ধীরে নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিলাম। আসলে রাশিয়ার জন্মদিনের প্রথমের বেলুন গুলো ভীষণ সুন্দর ছিল কালারফুল। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা যেভাবেই পারি কম সময়ের মধ্যে নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ সাজিয়ে নিলাম। কারণ প্রথমে আমাদের অনেক সময় লস হয়েছিল। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আমরা আমাদের মত করে নাশিয়া জন্মদিনের স্টেজ সাজিয়ে নিলাম। তারপর অনেক লেট হবার কারণে আমরা সবাই রেডি হতে চলে গেলাম। যাইহোক আজকে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে না সে জন্মদিনের পরের পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1838874281071247854?t=hLtrbofZ14SKBtYo9y50JA&s=19
নাশিয়ার জন্মদিনে আপনারা খুব সুন্দর স্টেজ সাজিয়েছেন। সাজানোটা ভীষণ সুন্দর হয়েছে। মুখে বেলুন ফোলানো আসলেই কষ্টকর। যাই হোক সবশেষে খুব সুন্দর ভাবে স্টেজ ডেকোরেশন করেছেন। আপনাদের এই মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই অনেক এনজয় করেছেন সবাই মিলে। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন বেলুন ফুলানো আসলেই অনেক কষ্টকর কিন্তু শেষমেষ সবাই অনেক মজা করলাম
আপু আপনারা নাশিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে দারুন স্টেজ সাজিয়েছেন। মুখ দিয়ে বেলুন ফোলাতে অনেক কষ্ট হয়। আপনার প্রথমে মুখ দিয়ে বেলুন ফলাতে গিয়ে অনেক বেলুন নষ্ট করেছেন তাই দ্বিতীয়বার আরো অনেক বেলুন আনতে হয়েছে। তবে অনেকগুলো বেলুন দেওয়ার কারণে দেখতে বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন পরবর্তীতে বেলুন এনে আবার ফোলাতে হয়েছে সবাই অনেক কষ্ট করেছিল তখন
এইতো মনে হলো সেদিন নাশিয়ার জন্মদিনের পোস্ট পড়লাম।এরই মাঝে বছরটি কেটে গেলো।আসলে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে।আপনার আম্মু অসুস্থ।তাই এবার নাশিয়ার জন্মদিন নানা বাড়িতেই হলো।আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি।আশা করছি আল্লাহ আপনার আম্মুকে সুস্থ করে দিবেন,আমিন। অনেক জায়গায় নাশিয়ার নামটি রাশিয়া হয়ে গেছে।😂যাই হোক আপনারা সবাই মিলে খুব চমৎকার করে ঘর সাজিয়েছিলেন। দেখে ভালো লাগলো।পোস্টটি সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে বারবার ঠিক করার পরেও কিছু জায়গায় আবার অন্যরকম হয়ে যাই হোক হোক পরবর্তীতে ভালোভাবে লেখার চেষ্টা করব
আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাশিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর করে স্টেজ সাজিয়েছেন। স্টেজটি দেখতে অসাধারণ লাগছে।একদম ঠিক বলেছেন আপু মুখ দিয়ে বেলুন ফোলানো খুবই কষ্টকর আর মুখ দিয়ে বেলুন ফুলানোর কারনে অনেক বেলেুন নষ্ট হয়ে গেছে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাশিনার জন্মদিন আসলে সবাই অনেক বেশি মজা করেছিলাম আপনার মন্তব্য পড়ে আরো ভালো লাগলো
মন্তব্য ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের জন্মদিন মানে আনন্দ। যেখানে খুব সুন্দর ভাবে স্টেজ সাজানো হয় কেক কাটার ব্যবস্থা হয়। ছোটদের পাশাপাশি আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে পারা যায়। যাইহোক খুব ভালো লাগলো ছোট্ট সোনামনির জন্মদিন বিষয়ে পোস্ট করতে দেখে।
বাচ্চাদের জন্মদিনে আসলেই অনেক মজা হয় তাছাড়া তারা অনেক গিফট পায়
নাশিয়ার জন্মদিন এবার তার নানার বাড়িতে পালন করা হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। স্টেজটা দারুণভাবে সাজিয়েছেন আপনারা। সবাই মিলে ঘরোয়া ভাবে জন্মদিন পালন করতে খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে নাশিয়ার নাম বেশ কয়েক জায়গায় রাশিয়া লিখে ফেলেছেন। আশা করি ঠিক করে নিবেন।
আমার কিছু ভুল গুলো ঠিক করে নিয়েছি আপনার সুন্দর মন্তব্য পরও অনেক ভালো লাগলো
জন্মদিন প্রতিটি মানুষের জীবনের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন।সেটা ছোটদের হলে তো কথায় নেই।বাচ্চারা সব সময় চায় তাদের জন্মদিন অন্যরকম হোক।নাশিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আপনাদের সুন্দর করে ঘর সাজানো আমার ভিষণ ভালো লেগেছে। নাশিয়া অনেক খুশি হয়েছে মনে হয়।ধন্যবাদ আপু নাশিয়ার জন্মদিনের স্টেজ কিভাবে সাজিয়েছেন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটদের জন্মদিন আসলেই অনেক সুন্দর হয় তাই সবাই একসাথে মজা করার চেষ্টা করলাম
প্রথমে নাশিয়ার জন্মদিনে নাশিয়াকে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আসলে জন্মদিনে খুবই সুন্দর করে তাহলে স্টেজ সাজিয়েছেন দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। প্রথম পর্বটি আমার কাছে ভালো লেগেছে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তাছাড়া প্রতিটা বছর তার জীবনে এই দিনটা হয়ে উঠুক অনেক আনন্দময়।
চেষ্টা করব পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।