একটি বাস্তব ঘটনা : এক ছেলের দুই বাবা-মা। ( শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি এক ছেলে দুই বাবা-মা এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসলাম।
আসলে রাব্বি অনেক সমস্যার মুখে পড়ল। এদিকে রাব্বির পালক মা এবং বাবা সবকিছু নির্ভর করে এখন রাব্বির উপরে। যেহেতু রাব্বি তাদের বড় ছেলে সেহেতু তার কাছে তা্রাই সব। ছোট দুইটি ভাই এখনো পড়ালেখা অবস্থায়। রাব্বির পালক মা একদিন বলতে লাগলো যখন রাব্বি ছোট ছিল আমরা নিয়ে আসলাম। তখন তার মা কখনো তার খোঁজ-খবর নেয়নি। এখন আমরা পড়ালেখা করিয়ে বড় করলাম। এমন অবস্থায় তার নিজ মা এসে নিজের সন্তান বলে দাবি করে। আমরা এখন কিভাবে তাকে তার মা বাবাকে দিয়ে দেব। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নেব, এভাবে বলতে লাগলেন।
কিন্তু রাব্বি এখনো পালক মা-বাবাকে খুব ভালোবাসে এবং অনেক সম্মান করে থাকে। চাকরি থেকে আসতে বাড়িতে আসার সময় মা বাবার জন্য জিনিসপত্র এবং কিছু হলে ডাক্তার সব ও দেখাশোনা করে। এবং পরের দুটি ভাইকে অনেক আদর করে এবং তাদের পড়ালেখা নিয়ে খোঁজ খবর রাখে। কিন্তু রাব্বির নিজ মায়ের কথা এদের সাথে কিছু শেয়ার করে না। দেখা হলে সালাম দিয়ে কথাবার্তা বলে। এখনো অনেকে বলতে লাগলো রাব্বি তার নিজের মায়ের কাছে যাওয়া আশা করে এবং খোঁজখবর রাখে। এটা তার পালক মা-বাবা মানতে রাজি নয়। অন্যদিকে নিজ মা বাবা এদেরকে দেখাশোনা করে তাও মানতে রাজি নাই। একদিন পালক বাবা নিজে দেখলো ছেলেটি তার নিজের মায়ের বাড়িতে যাওয়ার সময়। কিন্তু বাবা কিছু বলেনি।
পরে এসে বাড়িতে তার পালক মাকে বলতে লাগলো যে রাব্বি তার নিজের মায়ের বাড়িতে গেলো আমি তাকে দেখলাম। পরের রাব্বি বাড়িতে আসার পর তার পালক মা তাকে জিজ্ঞেস করল। রাব্বি অস্বীকার করে বলল আমি ও বাড়িতে যাইনি। রাব্বি পালক মাকে বলল তোকে আমরা কিভাবে মানুষ করলাম তুই নিজেই জানিস। তুই ছোট থেকে এত বড় হলি কখনো তো তোর মা তোকে দেখতে আসেনি, খবর নেই। আমরা যদি তোকে পালক সন্তান ভাবতাম তাহলে তোকে পালাক সন্তানের মতই রাখতাম। আমাদের নিজের সন্তানের মত করে মানুষ করলাম এবং আমাদের সম্পত্তিও তোকে সমান করে ভাগ করে দিলাম।
এখন তোর বাবা এবং আমি বৃদ্ধ হয়ে গেলাম তোর উপরে আমরা নির্ভরশীল। তুই যদি আমাদেরকে না দেখে ওখানে চলে যাস । ব্যাপারটা কি রকম হবে তুই নিজেই বল। রাব্বি বললো সে তার নিজের মায়ের কাছে যায়নি। ও বলল আমার ওখানে একই জমজ ভাই আছে সেটি আমার মত হুবহু চেহারা। হয়তো বাবা তাকে দেখছে আমি নয়। আর রাব্বি বল আমি আপনাদেরই সন্তান। ওরা আমাকে যদি নিজের সন্তান ভাবতো তাহলে কখনো অন্যের হাতে দিত না। এবং যতই কষ্ট হোক আমাকে লালন পালন করতো। আমার অন্য ভাইটিকে তো তারা লালন পালন করলেন। এবং তার পালক মা-বাবাকে বললেন আমি আপনাদের সন্তান এটা নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না। দোয়া করবেন আমি আপনাদের দুজনের সারা জীবন খেদমত করতে পারি এবং দেখাশোনা করতে পারে। এরপরে তার পালক মা বাবা শান্ত হলে এবং অনেক খুশি হলেন। আশা করি আমার লেখাটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। নতুন নতুন এরকম বাস্তব কাহিনী পেলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
গল্পটি খুবই ইন্টারেস্টিং।কিন্তু রাব্বীর জন্য দুঃখ জনক।রাব্বী ঠিক কাজটিই করেছে পালক বাবা মার সাথে থেকে।আমরা জানি বাবা মার কাছে সন্তান কখনো বেশি হয়না।যত কষ্টই হোক লালন পালন করে।কিন্তু আর আসল বাবা মা তাকে পর করে দিয়েছে আর যারা পর তারা পরম মমতায় আপনা করে নিয়েছে।তাই রাব্বী তাদের সাথে থেকেই উচিৎ কাজ করেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য। এবং রাব্বি তাদের সাথে থেকে উচিত কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো।
আপু আপনার গল্পটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই গল্পটি পড়ার পরে প্রথম পর্বটা আমি গিয়ে পড়ে আসলাম প্রথম পর্বটা থেকে জানতে পারলাম খুব ছোটবেলায় রাব্বির আসল বাবা-মা ওকে ওনাদের কাছে দিয়ে দিয়েছিল এখন ছেলে বড় হয়েছে আর নিতে চলে এসেছে এই ধরনের বাবা-মাগুলো আসলেই খারাপ। আর যারা কষ্ট করে এত বড় করলো তাদের কোন মূল্য নেই ছেলেটা যে শেষ পর্যন্ত খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আমিও অবাক হয়েছিলাম যে ছেলেটি ওই বাড়িতে গিয়ে আবার অস্বীকার কেন করছে পরে জানতে পারলাম ওটা তার জমজ ভা।ই আর রাব্বির পালক বাবা-মা তো ওকে নিজের ছেলেই মনে করে তাদের সম্পত্তির ভাগও দিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত রাব্বিও ডিসিশনটা খুব ভালো নিয়েছে।
রাব্বির ডিসিশনটি আপনার কাছে খুব ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এবং বাস্তব কাহিনীটি পড়ে। রাব্বি মাঝখানে হতবাক হয়ে গিয়েছিল যে ও কার কাছে যাবে। কিন্তু তার বাবা মা তাকে অনেক ভালোবাসে যার জন্য তাদের সম্পত্তির ভাগ ও তাকে দিয়ে দিয়েছে। তার লাস্ট ডিসিশন খুব ভালো ছিল,সে তার পালক বাবা মাকে বেছে নিয়েছে।
আপনার কাছে বাস্তব কাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগলো শুনে আমিও অনেক খুশি হলাম। ধন্যবাদ রাব্বিকে এবং আপনি সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু জন্মদিলেই বাবা-মা হওয়া যায় না। বাবা মা হতে হলে তাদের সন্তানের প্রতি সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। সে দিক থেকে রাব্বির পালক বাবা-মা সেই দায়িত্ব পালন করে এসেছে। এবং রাব্বি ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে শেষ অবধি তাদের সাথেই থাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাদের খেদমত করার কথাও বলেছে। রাব্বির সুচিন্তিত মতামত কে স্যালুট জানাচ্ছি। গল্পটি বেশ সুন্দর ছিল আপু।
গল্পটি বেশ সুন্দর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শুনে আমিও অনেক অনেক খুশি হলাম। আর বাস্তব কাহিনীটি আপনাদের কাছে আমি তুলে ধরলাম। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার গল্প আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম আজ দ্বিতীয় পর্বটি পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগলো। রাব্বির পালক বাবা মা নিজের সন্তানের মতই রাব্বিকে মানুষ করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। রাব্বি তার পালক বাবা-মার কাছে থাকতে চেয়েছে এবং বলেছে ওরাই তাদের বাবা মা শুনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রাব্বি ও তার দুই ফ্যামিলি নিয়ে প্রথমে অনেক চিন্তিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার পালক মা বাবার জন্য অনেক সম্মান দেখিয়েছেন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে শুভকামনা জানাই।
আসলে রাব্বি যে শেষ পর্যন্ত পালক বাবা-মার কাছে থাকলো এটা বেশ ভালো লাগলো। আর আরো একটা বিষয় গন্ডগোলের তা হলো রাব্বি এবং রাব্বির জমজ ভাই। এইজন্যই তো পালক বাবা ওকে ভুল বুঝেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে পালক বাবা আমার কাছে থাকলেও এমনকি তাদের দেখাশোনা করে এটাই বেশ ভালো। নিজের মা যে কিনা প্রথমে তাকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে এখন খাওয়ানোর সময় নিতে চায় তার কাছে না গিয়ে ভালো করেছে ।
খুব অসাধারণভাবে রাব্বির গল্পটি পড়ে আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাক আমি যেটা আশা করেছিলাম ছেলেটি সেটাই করেছে। ভালো লাগলো। বেশ একটা সন্তুষ্টি আসছে।একজন প্রকৃত সঠিক মানুষ হলে তার মাথায় এই কথাগুলো আসবেই যেগুলো রাব্বির মাথায় এসেছে। ওদের আগামী জীবনের জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার মন্তব্য শুনে সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আপনি প্রথম পোস্টে মন্তব্য এভাবে করলেন ছেলেটি যেন পালক মা-বাবার কাছে থাকে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।