বিশ্বাসে আঘাত। ( শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিবারের মতো আজকেও আপনাদের সামনে বিশ্বাসের আঘাত ঘটনাটির শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এই বিষয় থেকেও কিছু শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। গত পর্বে সাইফুল যখন ওর স্ত্রীর কাছে ফোন করলো, এমনকি কোথায় আছে সেটা জিজ্ঞেস করবো। তখন ওর স্ত্রী বলল আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি। তখনো সাইফুল পুরোপুরি কথাটা বিশ্বাস করল না। স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করলো।
সাইফুল তার বাবা মাকে বলতে লাগলো তোমরা তার কথা মিথ্যা বলতেছো। সাইফুল কোনমতে কথাটি বিশ্বাস করতেছে না। এরপর সাইফুল আরো কিছু লোককে বিদেশ থেকে ফোন করে জিজ্ঞেস করল। সবাই সাইফুলকে কথাটি বললেন। এরপর সাইফুল তার স্ত্রীকে ফোন করে কথা বলতে লাগলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করল তুমি কোথায়। সে বলতে লাগলো বাপের বাড়িতে। এবার সাইফুল গরম হয়ে তাকে বলল তুমি অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক করেছ।আর তার সাথে ভেগে গেলে এটা সবাই বলতে লাগলো।
এই কথা বলতে না বলতে তার স্ত্রী তার ফোনটি কেটে দিলেন। সাথে সাথে তার মোবাইল থেকে সাইফুলকে সব কিছু থেকে ব্লক করে দিলেন। এরপর সাইফুল কল দিলে তার স্ত্রীর মোবাইলে আর কল যাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে সাইফুলের মনে বিশ্বাস হয়ে গেল ঘটনাটি সত্যি। সাইফুলের বিয়েতে সব গয়নাগাটি তার স্ত্রীর কাছে ছিল। সব নিয়ে তার স্ত্রী অন্য ছেলের সাথে চলে গেলেন। বিষয়টা সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো।
সাইফুল তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রী তার ভালবাসার মূল্য রাখতে পারে নাই। এখন সাইফুল তার মা-বাবাকে কিছু বলতে পারছে না। কারণ তারাই প্রথম বারন করলেন তাকে। প্রত্যেকের কাছে সাইফুল একদম ছোট হয়ে গেছে। একদিকে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে ও ছোট হয়ে গেছে। অন্যদিকে নিজে যাকে এতটা বিশ্বাস করেছিল সে তাকে ঠকিয়েছে। আসলে যাদের বিশ্বাস ভাঙ্গা হয় তারাই বুঝতে পারে যে বিশ্বাস করাটা কি জিনিস।
এরপর সাইফুল মনে ভীষণ কষ্ট পেল। এরপর এখনো সাইফুল দেশে আসে নাই। আজকে প্রায় অনেক বছর হয়ে গেল সাইফুল বিদেশে পড়ে আছে। এমনিতে শুধুমাত্র বাবা-মায়ের জন্য টাকা পয়সা পাঠায়। বাবা মা যে সত্যি বলেছিল ফোন হারে হারে বুঝতে পারছে।
আমি মনে করি কাউকে এইভাবে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা উচিত না। আসলে আমরা যত বেশি অন্ধবিশ্বাস করে না কেন অপরদিকে লোকটা এতটা বিশ্বাসের যোগ্য নয়। তাই এখন বুঝে শুনে প্রত্যেকটা কাজ করা উচিত। এই গল্পটা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন বিষয়টা আমি বোঝাতে চেয়েছি। এইভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করাটা অনেক কষ্টকর।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আমি তো অবাক যে কেমন স্ত্রী যে নিজ স্বামী সংসার রেখে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যায় ৷ যে স্বামী তাকে এতো ভালোবাসতো ৷ আসলে আমাদের সমাজেও কিছু কিছু পরিবারে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ৷
যা হোক আপু আমি তো প্রথম পর্ব টি পড়েছিলাম তারপর পরের পর্ব গুলো পরি নি ৷ যতটুকু বুঝলাম তাই মন্তব্য করলাম ৷
আমাদের সমাজে এসব ঘটনাগুলো অনেক ঘটতেছে। তার স্বামীর বিশ্বাসটা সেই রাখতে পারল না। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি তো আপনার পোস্টটি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। আমি আপনার প্রথম পোস্ট এবং আজকের পোস্ট দুটি পড়লাম। সাইফুলের মা-বাবা মানা করা পর সে তার ওয়াইফকে পড়ালেখা করার জন্য দিলেন। কিন্তু তার ওয়াইফ সে বিশ্বাস রাখতে পারেনি। বিয়ের আগের লাভারের সাথে সে পালিয়ে গেলেন। এখনকার সমাজে এসব ঘটনাগুলো ফ্রাই হয়ে থাকে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সাইফুলের মা-বাবা মানা করা সত্ত্বেও সে তার ওয়াইফ কে পড়ালেখা করার জন্য বললেন। তার ওয়াইফ তার ভালোবাসার মূল্যটাই দিলেন না সবার কাছে তাকে ছোট করলেন। খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।