লাইফ স্টাইল :- সবাই মিলে হঠাৎ করে কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাছাড়া কোথাও খাওয়া দাওয়া এবং ঘুরতে গেলেও আমার বেশ ভালো লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
একদিন হঠাৎ আমার কিছু কেনাকাটা করার ছিল। তাই আমি আমার হাজবেন্ডকে বললাম আমাকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন উনি বলল আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যাবো বিকালে। তখন আমি বললাম আচ্ছা তাহলে যখন আমরাও যাবো তখন রকি ভাইয়া এবং সনিয়া আপুকে ও ডেকে নেই। তখন উনি বলল আচ্ছা ঠিক আছে উনাদেরকে ফোন করে জানিয়ে দাও। তখন ওদের কেউ ফোন করে বললাম আসার জন্য। কিন্তু রকি ভাইয়া প্রথমে না করল কারণ উনি অনেক ব্যস্ত মানুষ। তারপর আমি একটু জোড়াজুড়ি করার কারণে সবাই একসাথে আসার কথা বলল।
তখন আমিও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে বিকালে দেখা হবে। তারপর আমি আমার হাজব্যান্ড এমন আবার মেয়েকে রেডি করে আমরা বাজারে চলে গেলাম। তারপর ওখানে গিয়ে আমার কিছু কেনাকাটা করার ছিল ওগুলো করে নিলাম। তারপর আমরা ওই কেনাকাটা গুলো করতে করতে রকি ভাইয়া এবং সনিয়া আপু চলে আসলো। তারপর কেনাকাটা করে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম একটা রেস্টুরেন্টে যাবো। প্রথমে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখলাম ওই রেস্টুরেন্টটা বন্ধ। তারপর কি আর করার পিছন ফিরে আরেকটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখলাম ওই রেস্টুরেন্টটা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তখন সবাই মিলে ভাবতে লাগলাম এখন কি করব কোন রেস্টুরেন্ট তো খোলা নেই। তারপর যাই হোক অনেক ঘুরাঘুরি করে একটি হেজে স্টুডেন্ট পেলাম। তারপর সবাই মিলে ওই রেস্টুরেন্টের মধ্যেই চলে গেলাম। তারপর আমরা গিয়ে স্টুডেন্টদের ভিতর বসে পড়লাম। তারপর রফি ভাইয়া আর আমার হাজব্যান্ড গিয়ে অর্ডার দিয়ে আসলো। তারপর ওরা সহ বসে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর আমাদের অর্ডার দেওয়া কাবাব আর পরোটা চলে আসলো। ওই রেস্টুরেন্টে তেমন কিছুই ছিল না। শুধু দেখলাম রোল এবং কাবাব সাথে নুডুলস ছিল।
তাই আমরা অন্য কিছু না নিয়ে চারজনের জন্য চারটা কাবাব নিয়ে নিলাম। সাথে পরোটা নিয়ে নিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া আর সাথে মজা করতে লাগলাম। এভাবে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তখন নাশিয়া ও কিছু দোকান থেকে নেওয়ার জন্য কান্নাকাটি করতে লাগলো। তারপর আমি ওকে কিছু কিনে দিলাম। তখন নাশিয়া ওই জিনিসগুলো দেখে ভীষণ খুশি হয়ে গেল। কিছুক্ষণ মাশিয়া ওখানে খেলাধুলা করলো। তারপর আবার বলতেছে আরো কিছু কিনে দেওয়ার জন্য। আর এখন শীতকাল তাই তাড়াতাড়ি ঠান্ডা পড়ে গেল।
তখন রকি ভাইয়া বলল আচ্ছা ঠিক আছে এখন তোরা চলে যা নাশিয়া কান্নাকাটি করতেছে। তারপর আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসলাম। তখন ওরা বাইক নিয়ে চলে গেল। আর আমরাও একটি রিক্সা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসলে মাঝেমধ্যে কিছু কেনাকাটা করার সাথে সাথে সবাই মিলে বসে রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়া করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে যাওয়ার জন্য। তাই আজকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার কিছু ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি এই ছবিগুলো আপনাদের সবার অনেক পছন্দ হবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
সবাই মিলে ঐদিন খেতে গিয়েছি আসলেই বেশ ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে আমার কাছেও এরকম সবাই মিলে কোথাও খেতে গেলে ভালো লাগে। আর আমরা কেনাকাটা কিছু করার পরে রকি ভাই এদের সাথে বেশ মজা করলাম। কাবাব টা খেতে ভীষণ সুস্বাদু ছিল। আজকে আবার ভালো লাগলো তোমার করা পোস্টটি দেখে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে আরো অনেক অনেক খুশি হলাম।
ঐদিন আসলেই সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। আর খাওয়া-দাওয়াটাও অনেক বেশি মজা করে খাওয়া হয়েছিল। কাবাবটা খেতে তো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবাই একসাথে থাকার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছিল। কেনাকাটার পাশাপাশি এরকম ভাবে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করতেও কিন্তু খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি এই মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। পুরোটা সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগলো।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1735627734137909393?t=8bCAowOaoF0HPVEb112CMg&s=19
আসলে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। আপনারা সবাই বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বাচ্চারা বাইরে গেলে একটু বেশি ঝামেলা করে। আসলে ঠাণ্ডার ভেতরে এখন বাইরে যাওয়ায় কষ্টকর ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন নাশিয়া অনেক কিছু কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরতে লাগলো।
কেনাকাটার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। আমিও তাই করি ।শপিং এ গেলে কিছু না কিছু খাই । আর মাঝে মাঝে বাহিরে খেতেই ভালো লাগে। আপনি বিকালটা বেশ সুন্দর কাটালেন সোনিয়া আপু রকি ভাই এর সাথে। সেই সাথে মজার খাওয়া দাওয়া। সুন্দর কাটানো কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে কেনাকাটার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করতে আমার অনেক ভালো লাগে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমন সুন্দর মুহূর্ত কাটানো বেশ ভালো লাগে। যেহেতু রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলেন না যেটা পেলেন সেটাতে বসে গেলেন বেশ ভালো করলেন। যদিও তেমন আইটেম ছিল না কিন্তু খাবার গুলো অসাধারণ অর্ডার করলেন আপনারা। বেশ আড্ডা দিলেন খাওয়া দাওয়া করলেন। মুহূর্তটি অসাধারণ কাটালেন।
আমরা মাঝেমধ্যেই চেষ্টা করি এরকম সুন্দরভাবে একটি সময় কাটানোর জন্য
আসলে সবাই মিলে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনারা কিনা কাঁটা ও খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি। গল্প আড্ডা দিয়ে অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন যেটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বিশেষ করে কোনো জায়গায় ঘুরতে গিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করি সবাই মিলে মাঝেমধ্যে আড্ডা দেওয়ার জন্য আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
বাইরে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে গেলে তখন খাওয়া দাওয়া করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখি খুবই ভালো লাগলো। খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সবাই মিলে গেলে আনন্দটা আরও অনেক বেড়ে যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত সত্যি বেশ দারুন হয়ে থাকে। এক সাথে আপনাদের পরিবার সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয় সবাই মিলে বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন। কাবাব শ্রদ্ধেয় রকি ভাইয়ের খুব প্রিয়। আসলে এভাবে পরিবারের সকলকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। সবাই মিলে কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঘুরাঘুরি করতেও বেশ মজা লাগলো আর আপনার মন্তব্য পরে আরো ভালো লাগলো।
ব্যস্ততা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে এখন। প্রথমে যদিও যাবো না বলেছিলাম, পরবর্তীতে রাজি হয়েছিলাম। তবে খুব ভালোই সময় কেটেছিল। আর কাবাব তো আমার এমনিতেই খুবই পছন্দের। সবাই একসাথে থাকার কারণে কাবাবটা খেতে আরো বেশি ভালো লেগেছে। ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে মাঝে মাঝে এভাবেই সময় কাটালে মন্দ হয় না। মুহূর্তটা আপনি সুন্দর করেই সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন আজকে।
ঠিক বলেছেন আবার যাবো ভাবতেছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো