জেনারেল রাইটিং :- প্রতিশোধ এর আনন্দ সাময়িক কিন্তু ক্ষমার আনন্দ চিরস্থায়ী।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি খুব শিক্ষনই একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।প্রতিশোধ এর আনন্দ সাময়িক কিন্তু ক্ষমার আনন্দ চিরস্থায়ী। প্রতিশোধ এর আনন্দ সাময়িক তবে অনেক মানুষ আছে প্রতিশোধ নিতে পছন্দ করে। যদি অন্যের কারণে সেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই চিন্তা করে প্রতিশোধ নিয়ে তার জবাব দেবে। এতে করে সে অনেক আনন্দ করে খুশি থাকে। তবে এ আনন্দই চিরস্থায়ী নয়। কারণ কাউকে প্রতি আঘাত করে আনন্দ পাওয়া যায় না।
এজন্য আপনাকে চিন্তা করতে হবে ক্ষমা করা লক্ষ্য থাকতে হবে। তবে ক্ষমার আনন্দ চিরস্থায়ী ক্ষমা করলে মন থেকে শান্তি পাওয়া যায়। আর আপনি যদি প্রতিশোধ নিন তখন আপনার মনের মধ্যে সব সময় অন্যরকম একটি ভয় কাজ করবে। তাই প্রতিশোধ না নিয়ে তার বদলে ভালোবাসা এবং স্নেহ দেখাতে হবে। প্রতিশোধ দিয়ে কোনো সম্মততা আসে না। প্রতিশোধ মানুষকে হিংস্র করে দেয়। আর হিংসোর আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
চেষ্টা করতে হবে প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করা চিন্তা করতে হবে। ক্ষমা মানুষকে মহৎ করে তোলে। ক্ষমার মাধ্যমে মানুষ ভালোবাসা এবং মন জয় করতে পারে। আর পক্ষান্তরে প্রতিশোধ মানুষকে হিংস্র প্রাণী করে তুলে। হিংসু মানুষ আর হিংসো পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। প্রতিশোধ নিয়ে আনন্দ না করে ক্ষমার দৃষ্টিতে থাকলে নিজের জন্য ভালো এবং আপনার থেকে অনেক কিছু অন্য জনের শিখতে পারবে। তবে এখনকার সময়ে অনেকে প্রতিশোধ নিতে পছন্দ করে।
অনেক জ্ঞানী লোক আছে তারা প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমাকে আনন্দ হিসাবে বেঁচে নেই। মানুষের মধ্যে ভালো এবং মন্দ দুটোই বসবাস করে। আর যদি মানুষ ভালো মন্দ বিচার করে চলে তাহলে আগামী প্রজন্মেও ভালো কিছু শিখতে পারবে। একজন জ্ঞানী লোক মনে করে ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ। আর একজন হিংস্র মানুষ মনে করে প্রতিশোধ নেওয়াটাই উত্তম। তাই এগুলো চিন্তা করে ক্ষমার দৃষ্টিতে তাকানোটাই ভালো। প্রতিশোধের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
প্রতিশোধ মানুষকে সামরিক আনন্দ দিয়ে থাকে। এবং প্রতিশোধের কারণে মানুষ অনেক সময় আজীবন কষ্ট করে থাকে। তাই প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমার দৃষ্টিতে কাজ করা ভালো। ক্ষমার আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়। আপনি যাকে ক্ষমা করবেন সে আপনার কোন না কোন সময় উপকার করার চেষ্টা করবে। ক্ষমা থেকে মানুষ মহৎ কিছু শিখতে পারে। আর হিংস্র থেকে মানুষ কিছু অর্জন করতে পারে না শুধু হিংসায় অর্জন করতে পারে। আশা করে আমার আজকের টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1716419074975252562?t=l2FJ_598beS1sm3ecAj6hA&s=19
আজকে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। প্রতিশোধ এর আনন্দ সাময়িক মানুষ মানুষের সাথে কোন ঝগড়া হলে অনেক সময় প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করে। তার চেয়ে ক্ষমা করলে তার গুণ অনেক বেশি। ক্ষমা করলে মানুষ নিজের মন থেকে শান্তি পাই। আর প্রতিশোধ নিলে নিজের মন থেকে শান্তি পাই না। তাই ক্ষমার আনন্দ চিরস্থায়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ক্ষমা করলে তার গুণ অনেক বেশি। সুন্দর মন্তব্য করাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু ক্ষমার মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে কিন্তু প্রতিশোধের আনন্দ সাময়িক। আমাদের মন বলে সব সময় প্রতিশোধ নিতে কিন্তু যারা উত্তম কমল মনের অধিকারী তারা মানুষকে ক্ষমা করে তার মধ্যেই প্রশান্তি খুঁজে বেড়ায়। একটা কথা ভালো লাগলো প্রতিশোধ মানুষকে হিংস্র করে দেয় । একটা মানুষ পশুর চেয়েও হিংস্র হতে পারে। বাস্তবে কত ঘটনায় ঘটছে চারিদিকে। মানুষের ভালো দেখে সুনাম করতে হবে। হিংস্র থেকে মানসিক অর্জন করতে পারে না। তাই আমাদের মানবিক হতে হবে হিংসাকে বর্জন করতে হবে। সুন্দর ছিল আপনার আজকে লেখাটি
ক্ষমা করলে নিজের মন থেকেও একটু শান্তি পাওয়া যায়। আপনার উচ্চতা মূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্ষমা অবশ্যই একটি মহৎ কাজ এবং ক্ষমাশীল ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা খুবই পছন্দ করে। অবশ্যই ক্ষমা করার মধ্যে অন্য রকম তৃপ্তি কাজ করে। আমরা অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ঝগড়াঝাটি করি,কিন্তু তারপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিশোধ না নিতে পারি,ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঠান্ডা হই না। কিন্তু আমাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো উচিত। আমরা যদি প্রতিশোধ নেওয়ার বদলে কাউকে ক্ষমা করে দেই, তাহলে আস্তে আস্তে আরও অনেক মানুষ উৎসাহিত হবে ক্ষমার মতো এমন মহৎ কাজ করার জন্য। তাহলে আমাদের সমাজটা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ক্ষমার মধ্যে অন্যরকম একটি তৃপ্তি পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর করে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিশোধ সব সময় খারাপ কিছু বয়ে আনে।আর ক্ষমা করে দেয়া হচ্ছে সব থেকে বড় মহৎ কাজ।কোন কিছুর প্রতিশোধ নিতে গেলে নানা ধরনের সমস্যা উপেক্ষা করে তার প্রতি প্রতিশোধ নিতে হয়।আর ক্ষমা করলে নিজেকে ও অনেক ভালো লাগে।
অনেক সুন্দর করে আমার পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি বলব কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিশোধ না নেওয়াও বোকামি। কারণ মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও মাঝে মাঝে প্রতিশোধ নিতে হয়। তবে হ্যাঁ প্রতিশোধের চাইতেও ক্ষমা করে দেওয়াটা সর্বোত্তম কাজ। যদিও সেটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ কিছু কিছু লোক এতই ভুক্তভোগী যে প্রতিশোধ না নিলে তারা কোনভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা। ধন্যবাদ চমৎকার একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।