গল্প :-প্রেমের কারনে মা বাবাকে কারো সামনে ছোট করতে নেই।( শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে এই পড়বে প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আজকে শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের বেশ ভালো লাগবে তারপর তুহিন যাওয়ার সময় চাঁদনী বলেছে তোমার যদি সাহস থাকে। তাহলে আমাকে বিয়ে করার জন্য আসবে। এরপর তুহিন বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করল কেন চাঁদনীর বাবাকে অপমান করলো। এবং তুহিনের বাবা বলতেছে কৃষকের মেয়ে আমি বিয়ে করাবো না। এবং তারা ছোটলোক আমাদের আগে কাজ করতেন। এই বলে তুহিন কেও নানা ধরনের কথা বলল তার বাবা। এক পর্যায়ে তুহিন রাগ করে বাড়ি থেকে বাইর হলো। এবং চাঁদনীকে মোবাইলে কল দিয়ে বলল তাকে এখন বিয়ে করবে। চাঁদনীও ভালবাসার টানে তুহিনের কথা ছাড়া দিলেন। এবং চাঁদনী তুহিনের সাথে গিয়ে চুরি করে বিয়ে করে ফেলেছে।
এরপর চাঁদনী বাড়িতে চলে আসলো তুহিন তাদের বাড়িতে চলে গেলেন। কিছুদিন পর তাদের বিয়ের কথা সবাই জেনে গেল। এরপর চাঁদনীর বাবাকে তুহিনের বাবা আরো অপমান করলো। এবং তুহিনের মা চাঁদনীদের বাড়িতে এসে কাজের মেয়ে বলে সবাইকে গালাগালি করে গেল। যদিও তুহিন দের টাকা পয়সা অনেক এই কারণে চাঁদনীর মা-বাবা কিছুই বলতে পারল না। চাঁদনী তুহিনের মাকে বলল কিছু বলার থাকলে আপনি আমাকে বলেন। অন্যায় করলে আমি করেছি আমার মা বাবা নয়। এবং তুহিনের মা চাঁদনীকে এমন ভাবে ব্যবহার করল যেগুলো শুনলে মানুষ কানে হাত দিয়ে দেয়। তারপরও চাঁদনী তুহিনের মায়ের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করে নাই।
এরপর চাঁদনী তুহিন এর সাথে কথা বললেন। তুহিন বলতেছে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু একটু ধৈর্য ধরতে হবে। হঠাৎ করে তুহিনকে কিভাবে বুঝিয়ে তার মা-বাবা চাঁদনীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য রাজি করে ফেলেছেন। এবং তুহিন চাঁদনীকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। চাঁদনী শোনার পর এবং ডিভোর্স এর পেপার পাওয়ার পর পাগলের মত হয়ে গেল। কারণ সে কল্পনাই করতে পারে নাই তুহিন তাকে ডিভোর্স দেবে। বলতেছে কি কারনে সে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং চাঁদনী তুহিন এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে। তুহিন বলল আমি ভুল করেছি একজন কৃষকের মেয়ে বিয়ে করে এই কারণে আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়েছি। আমি তোমার মত মেয়েকে ঘৃণা করি।
তবে চাঁদনী কোন ভাবে কথাগুলো মেনে নিতে পারল না। এদিকে চাঁদনীর মা-বাবা চাঁদনীর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করলেন। তোমাকে আগেই বলেছি এরা বড়লোক কিন্তু এরা পশু। এদের কাছে ভালোবাসা বলতে কিছু নেই। এরপর চাঁদনী দিনরাত তুহিনের জন্য কান্নাকাটি করতেন। এর কিছু মাস পর চাঁদনীকে তার মা-বাবা একটি ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিলেন। যদিও ছেলেটি গরিব কিন্তু অত্যন্ত ভালো এবং ভদ্র। আর তুহিন আগের মত তার বাবার ব্যবসা-বাণিজ্য দেখে। তবে সেই চাঁদনীর জন্য কোন আফসোস করে নাই। কি কারনে সেই চাঁদনীকে ভুলে গেছে তা চাঁদনী জানতে পারলো না।
তুহিন চাঁদনীর বিয়ে হওয়ার এক বছর পর বাইক এক্সিডেন্ট করে মারা গেলো। তবে তুহিনের মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদনী অনেক কান্নাকাটি করলো। কারণ চাঁদনী তুহিনকে মন থেকে ভালোবাসতো। এদিকে তুহিনকে হারিয়ে তার মা-বাবা পাগলের মত হয়ে গেল। আসলে তুহিন এর মা বাবা গরিব বলে চাঁদনীদেরকে মানুষ মনে করল না। আর কখন কার জীবন কি রকম যায় কেউ বলতে পারে না। সত্যি তুহিনের মৃত্যুটা জন্য এখনো এলাকার মানুষগুলো আফসোস করে। অল্প বয়সে একটি ছেলে এক্সিডেন্ট করে দুনিয়া থেকে চলে গেল। আসলে নিজেদের ভালোবাসার প্রতি নিজেদের বিশ্বাস রাখা উচিত। তুহিনের বিশ্বাস ছিল না তাই ভালোবাসাও হারালো নিজের জীবন টাকেও হারালো। যাইহোক আশা করি আমার এই বাস্তব ভালোবাসার গল্পটি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1808811289013277006?t=s4awbgW0o9G1BmvogToqvg&s=19
তুহিন ও চাঁদনীর প্রেম কাহিনী একটি সত্যিই অনেক কষ্টকর। প্রেমের জন্য চাঁদনীর বাবা-মাকে কত ছোট হতে হয়েছে তুহিনের বাবা-মার কাছে।তুহিন এক সময় চাঁদনীকে ভুলে গেছে জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো । শেষমেষ ডিভোর্স হয়ে গেছে চাঁদনীও তুহিনের জেনে বেশ খারাপ লাগলো। তুহিন অ্যাক্সিডেন্ট করে মারা গেল এটা জেনে আরো বেশি খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপু পোষ্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু আমার গল্পটি পড়ে আপনি অসাধারণ মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো যদিও আমার পড়া হয়নি।তবে এটা একদম সত্যি নিজের ভালোবাসার ওপর নিজের বিশ্বাস অবশ্যই রাখা উচিত। আর তুহিনের বাবা মা গরীব বলে চাঁদনীর বাবা মাকে এভাবে অপমান করা উচিত ছিল না।আসলে আপু আমরা পৃথিবীতে সুখে থাকলে সব কিছু ভুলে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা সুখে থাকলে সবকিছু ভুলে যাই। আর প্রেম করলে এমনিতে কষ্ট বেশি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে।
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়ি নাই। তবে আজকের পর্বটি পড়ে সত্যি আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। তুহিন এবং চাঁদনী প্রেম করেছে ভালো করেছে। তবে প্রেমের মধ্যে কষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। এবং দুইজন পালিয়ে বিয়ে করছে একজনকে একজন ভালোবেসে। তবে এখানে তুহিন চাঁদনীকে ডিভোর্স দেওয়া ঠিক হয় নাই। এবং তুহিনের এভাবে মৃত্যুটা সত্যি কেউ কামনা করে নাই। আর এই ধরনের গল্প গুলো পড়লে নিজের কাছেও খারাপ লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর করে গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রেমে কষ্ট থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিছু কিছু প্রেমের কারণে মানুষের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য শুনে।