অন্যের বউ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক বেশি আসলে অনেক সময় দেখা যায় এই ধরনের ঘটনাগুলো আমরা কখনো চিন্তাও করি না। আবার আগে দেখতাম অনেক দূরে দূরে ঘটনা গুলোর কথা শোনা যেত। কিন্তু এখন যখন চারপাশে দেখতে পাই তখন খুবই খারাপ লাগে। আবার এই বিষয়গুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই থাকে। এজন্য ভাবলাম আশেপাশের কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। গত পর্বে এই গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারও দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম।
হৃদয়ের ওয়াইফ তার শাশুড়ির সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করত এবং যেকোনো জিনিস বানালে একসাথে বসে খেতো। এদিকে সাথী এবং সাথীর হাসবেন্ড প্রায় সময়ে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। কারণ হৃদয়ের একটি মাত্র বোন সাথী, তাই তাকে অনেক আদর করে ভাই এবং মা। এভাবে কয়েকটা বছর তাদের সংসার খুব সুন্দর এবং সুখেই যাচ্ছিল। এর কিছু বছর পর হঠাৎ করে তাদের সংসারে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সাথীর হাজব্যান্ড হৃদয়ের ওয়াইফের সাথে কথা বলতো এবং দুষ্টামি করতো।
সাথী এবং তার মা মনে করত বড় সম্বন্ধীর ওয়াইফ তাই একটু দুষ্টামি করে। এই ব্যাপারে সাথীও কোন মাইন্ড করত না। একসাথে বসে সবাই কথা বলতো এবং মজাও করতো কথা বলে। এভাবে কিছু মাস যাওয়ার পর শোনা যাচ্ছে সাথির হাজবেন্ডের সাথে তার ভাইয়ের ওয়াইফের সম্পর্ক আছে। কথাটি শুনে সাথী বিশ্বাসও করল না। কারণ সাথীর হাসবেন্ড সাথীকে অনেক ভালবাসে। সাথীকে ছাড়া সে কিছুই চিন্তাই করে না। এই কারণে সাথী কথাটি বিশ্বাস করে নাই।
এদিকে সাথীর মা কথাটি শুনে অনেকটাই চিন্তায় আছে। একদিকে মেয়ের হাসবেন্ড অন্যদিকে ছেলের ওয়াইফ। কতটুকু সত্য এবং মানুষের শুনলে কি মনে করবে। এই নিয়ে সাথীর মা যখন সাথীর জামাই বাড়িতে আসতো তখন একটু খেয়াল রাখত। এরপর সাথির মাও কিছুটা আন্দাজ করতে পারল। তারপর একদিন সাথীকে তার মা ব্যাপারটি বলেছেন। এরপর সাথী তার হাজব্যান্ডকে জিজ্ঞেস করল। হাজবেন্ড কথাটি স্বীকার করল না। সে সাথীর সাথে আরো উল্টা খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো।
এর কয়েকদিন পর হৃদয়ের ওয়াইফ তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে যাইতেছে। দুই বছরের বাচ্চাটি নিয়ে। সকালবেলা যখন গেলেন রাত্রে খবর আসলো সেই তার বাড়িতে যাই নাই। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো ছেলের ওয়াইফকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কিছুদিন পর খোঁজ পাওয়া গেল। ছোট বোনের হাসবেন্ডের সাথে বড় ভাইয়ের ওয়াইফ পালিয়ে গেল। এবং পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলেন। এদিকে ভাই এবং বোনের সংসার টাই ভেঙে গেল। কারণ বোনের হাসবেন্ড বড় ভাইয়ের ওয়াইফকে নিয়ে গেলেন।
এরপর তাদের সংসারে অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে গেল। কথাটি শুনে হৃদয় সাথে সাথে বিদেশ থেকে দেশে চলে আসলো। এরপর সামাজিকভাবে সবাই বসলেন কি করা যায়। বসার পর সাথীর হাসবেন্ড বলল সে হৃদয়ের ওয়াইফকে বিয়ে করেছে এবং সে তার বউকেও রাখবে। এদিকে সাথী ও তার ওয়াইফ হিসাবে থাকবে। এরপর হৃদয় এবং হৃদয়ের মা বললেন সাথী কে তার হাজবেন্ডর কাছে রাখবে না। কারণ তার বউ এখন দুটি হয়ে গেল। এরপর সাথির হাসবেন্ড সাথিকে ওখানে তালাক দিয়ে দিলেন।
এই কারণে সাথী এবং সাথীর ভাইয়ের সুখের সংসারটা নষ্ট হয়ে গেল। সাথী নিজের হাসবেন্ড ও ভাইয়ের ওয়াইফ দুজনে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করে ফেললেন। তাই কাউকে অতি বিশ্বাস করলেও সমস্যা। কারণ সাথী এবং সাথীর মা সাথীর হাজব্যান্ডকে অনেক বিশ্বাস করতেন। সেই সাথীর হাজব্যান্ড এ তাদের ফ্যামিলির অশান্তির বড় কারণ হয়ে দাঁড়ালো। এবং তাদের সুখের সংসার নষ্ট করে ফেললেন। এই হচ্ছে একটি সুখের সংসার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
বর্তমান সমাজে এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।যুগের সাথে সাথে সবকিছুই যেমন উন্নত হচ্ছে কিন্তু নামের ততটাই মানুষ অধঃপতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।যারা এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তখন তাদের কোন জ্ঞানকাণ্ড থাকেনা যে তাদের জন্য কতগুলো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সাথী ও তার ভাইয়ের জন্য খুবই খারাপ লাগছে।প্রতিটি মানুষের মানসিকতার উন্নতি ঘটুক এই প্রার্থনা করি।ধন্যবাদ আপু।
আসলে সাথীর পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছে। কারণ ভাই বোনের দুটি সংসার নষ্ট হয়ে গেলো। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু এই ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে থাকে। আসলে প্রথম থেকেই সাথীর হাজবেন্ড ও তার ভাইয়ের ওয়াইফের ব্যাপারটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। সবাই প্রথমে দুষ্টমি করে এই ব্যাপার গুলো উড়িয়ে দেয় আসলে এগুলো ঠিক না। তবে সাথীর হাজব্যান্ড ও তার ভাইয়ের ওয়াইফ দুজনেই অনেক খারাপ লোক ছিল। যাইহোক আপু ভালো লোক কখনো এমন কাজ করবে না।ধন্যবাদ আপনাকে।
তা ঠিক ভালো লোক কখনো এই কাজ করে না। আর সাথীর মা মনে করলেন তারা দুষ্টামি করে। ব্যাপারটি তেমন সিরিয়াস নেই নাই। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু প্রথম পর্ব টা পড়েছিলাম ৷ যা হোক এটা সত্যি যে এখন গ্রামেও এমন এমন কিছু ন্যাকার জনক ঘটনা ঘটে ৷ যা আসলে প্রকাশ করার মতো না ৷
যা হোক সর্বোপরি গল্পের শেষে বুঝলাম ৷ স্ত্রীর ভাইয়ের ওয়াইফের সাথে ভাব ভালোবাসা ৷ আসলে এখনকার যুগে বয়স নেই ৷ যো কেও যে কারো সাথে এমন ঘটনা হচ্ছে ৷ যা পরিবার থেকে শুরু করে সমাজে পযন্ত অশান্তি আর সমাজ নষ্ট হচ্ছে ৷ যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খারাপ হচ্ছে ৷
অনেক সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন ৷
অনেক সুন্দর করে গল্পটি নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার লেখা এই গল্পের আগের পর্ব গুলো আমি পড়েছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজকে শেষ পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো। গল্পটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। সমাজে কিছু বাস্তবতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এ ধরনের ঘটনা সত্যি আমাদের জন্য খুবই লজ্জার। এই ধরনের সমস্যার ফলে পরিবার এবং সমাজে মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। পরিবারের এক দুজন খারাপ লোকের জন্য সবার কষ্ট হয়। গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে সাথীর হাসবেন্ড ও তার ভাইয়ের ওয়াইফ এই ঘটনা ঘটাবে তা কল্পনার বাইরে। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টাইটেল দেখে প্রথমে একটু হেসেছি আবার পরবর্তীতে একটু খারাপ লাগলো।
আসলে আপু এই বিষয়টা বর্তমান অনেক বেড়ে গিয়েছে।আর আর দুই টা ঘর ভাঙার জন্য একজন মানুষ যথেষ্ট যেমনটা এখানে ঘটেছে।
একটা খারাপ লোকে ঘর ভাঙ্গার জন্য যথেষ্ট। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।