গল্প:- সংসারে অশান্তি করার জন্য একজনের যথেষ্ট।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

Blue Paint & Paper Sales Ad Instagram Post_20230813_190956_0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর করে একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে বাস্তব একটি ফ্যামিলির ঘটনা। আমাদের পাশে একটি ফ্যামিলি আছে খুব সুখী তাদের কোন অভাব নেই। তাদের মা-বাবা ছেলে সন্তানগুলোকে অনেক আদর করে লালন-পালন করে বড় করেছে। তাদের দুটি ছেলে দুটি মেয়ে। মোটামুটি টাকা পয়সা হতে তাদের কোন কিছু কমতি নেই। লোকটির নাম হচ্ছে ইউসুফ। ইউসুফ মিয়ার বড় মেয়েকে সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। এবং ছেলে দুটি বড় হয়ে ব্যবসা করতেছে ভালোই। আর ছোট মেয়ে কলেজে পড়তেছে।

ইউসুফ মিয়ার শালিকে আবার তার ছোট ভাইকে বিয়ে করিয়েছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে ভাইরা এবং বনে বনে জাল। তার শালির দুটি ছেলে মেয়ে হওয়ার পর হঠাৎ করে মারা গেল। এর কয়েক বছর পর তার ভাইটিও মারা গেলেন। এবং তার ভাইয়ের ঘরে দুটি ছেলে-মেয়ে আছে মোটামুটি বড় হয়েছে। বড় ছেলের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর হবে এবং মেয়েটি ও বড় হয়েছে। ভাইয়ের ছেলেমেয়েকে নিজের ছেলে মেয়ের মত করে মানুষ করেছে। ভাইয়ের মেয়েটিকে দেখে শুনে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছে তার আপন জ্যাঠা।

এবং ভাইয়ের ছেলের সাইফুল তার ছেলেদের সাথে ব্যবসা করতেছে। এদিকে ইউসুফ মিয়ার ফ্যামিলিতে তার ছেলে দুটি এবং মেয়ে দুটি নিয়ে ভালো দিন যাচ্ছিল। যদিও তার বড় মেয়ে বিয়ে দিয়ে দিলেন। এবং ছোট ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। এদিকে ছোট ভাইয়ের ছেলের সাইফুল জ্যাঠাতো বোনের সাথে কথা বলতে বলতে কিভাবে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে উঠলো। প্রথমে ব্যাপারটি কেউ বুঝতে পারে নাই। পরে সবাই মোটামুটি বুঝতে পারলেন। তখন ইউসুফ মিয়া এবং তার ফ্যামিলির সবাই সাইফুলের কাছে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি নাই।

এবং ইউসুফ মিয়ার ছোট মেয়ে শিল্পী তার চাচাতো ভাই সাইফুলের কাছে ছাড়া কারো কাছে বিয়ে বসবে না। প্রয়োজনে সেই বিষ পান করে মারা যাবে। তবে অনেকে মনে করেন সাইফুল শিল্পীকে তাবিজ করেছে। এরপর কি আর করা যায় তার জ্যাঠা সাইফুলের কাছে তার ছোট মেয়ে বিয়ে দিলেন। বিয়ে দেওয়ার পর থেকে তাদের ফ্যামিলিতে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সাইফুল তাদের ফ্যামিলিতে এতই অশান্তি করতেছে বাপের ছেলে পর্যন্ত একজনের সাথে একজন কথা বলে না।

সাইফুল ঠান্ডা মাথায় ঘুড়ি চালে। এবং জেঠাতো ভাই দুইজনকে এমন ভাবে তার বাবার পিছে লাগিয়ে দিয়েছে বাপে ছেলে ডেইলি ঝগড়া করে। এবং শিল্পীকে সব সময় হয়রানি করে বাপ মার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য। অনেক সময় শিল্পীকে বাপ মার সামনে মারধর করে। এমত অবস্থায় ইউসুফ মিয়া চিন্তায় পড়ে গেলেন। পরে সাইফুল এবং শিল্পীকে তার একটি জমির মধ্যে বাড়ি করে দিলেন। এরপর থেকে সাইফুলকে তাদের বাড়িতে আসার জন্য মানা করলেন তার জ্যাঠা।

এরপর থেকে তাদের ফ্যামিলিতে আবার শান্তি ফিরে এলো। সবাই বুঝতে পারলেন সাইফুল এর কারণে তাদের ফ্যামিলিতে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকে বলতেছে সাইফুলের বাবা এরকম ছিলেন। একটি মানুষের কারণে বিগত এক বছর তাদের ফ্যামিলিতে অশান্তি হয়েছে। এসব লোক থেকে দূরে থাকা ভালো। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

পরিবারে একবার অশান্তি সৃষ্টি হলে সেটি যেন আর মিটতেই চায় না মনে হয়। বর্তমান সাইফুলের মত হাজারো ছেলে আছে সমাজে। যাদের কারণে পরিবারে অনেক অশান্তি। বর্তমান প্রেম করা টা এরকম খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন বর্তমানে সাইফুলের মত হাজারো ছেলে আছে সমাজে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

পরিবারে ঝগড়া সব সময় তৃতীয় পক্ষের কারনেই হয়। আর এজন্য আত্মীয়ের মাঝে বিয়েও দিতে হয়না। এসব ঘটনা হরহামেশাই আমরা দেখতে পাই। যাই হোক অবশেষে ইউসুফ মিয়ার পরিবারের অশান্তি দূর হল এটাই বড় কথা। সুন্দর লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।(কিছু বানান ভুল আছে ঠিক করে নিয়েন)।

 last year 

ঠিক বলেছেন আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিয়ে দিলে তখন ঝগড়া বেশি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

যেকোনো পরিবারের মধ্যে সাইফুলের মতো একজন থাকলেই যথেষ্ট। একে অপরের সাথে সবসময় ঝগড়া লাগিয়ে রাখবে এবং মনে মনে মজা নিবে। শিল্পীর বাবা গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পেরেছেন,যে সংসারে অশান্তির জন্য সাইফুল দায়ী। তাইতো শেষপর্যন্ত শিল্পীর বাবা আলাদা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে তাদের জন্য। এতে করে শিল্পীর বাবার টাকা খরচ হলেও, শান্তি তো ফিরে এসেছে সংসারে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

যাদের মনের ভিতর চিন্তাভাবনা খারাপ তারাই ফ্যামিলিতে অশান্তি করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু, চিন্তা ভাবনা ভালো হলে তো আর অশান্তির সৃষ্টি করতো না। এরা হচ্ছে অমানুষ। তাই এগুলো করে। যাইহোক আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আসলেই একটা সংসার যখন সুখে শান্তিতে থাকে তখন কেউ না কেউ একজন এসে সেই সংসারটা ভেঙে দে। আর তখন সংসারে অশান্তি লেগে যায়। পরবর্তীতে সাইফুলকে অন্য একটা জায়গায় বাড়ি করে পাঠিয়ে দিয়ে ভালোই করেছে। এরপর তাদের আবার সংসারে সুখ এসেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই গল্পটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

আসলে কিছু লোক আছে সংসারের সুখ দেখতে পারে না। সাইফুলের মা বাবা না থাকার কারণে তার জ্যাঠা তাদের কাছে রাখলেন। সেই মূল্যটি দিতে পারলেন না সাইফুল। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনি সবসময় বাস্তবিক ঘটনাকে উপলব্ধি করে গল্প লিখে থাকেন, আর যেগুলো পড়তে আমার কাছে এমনিতে ভালো লাগে। শিল্পীর বাবা বুদ্ধি করে থাকে এবং তার হাসবেন্ডকে অন্য একটা জমিতে বাড়ি করে দিয়ে ভালোই করেছে। কারণ যার জন্য পরিবারে এরকম অশান্তি হচ্ছে তাকে বাড়িতে রাখাটা একেবারেই উচিত হচ্ছিল না। বাস্তব এই গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

আমি সব সময় চেষ্টা করি বাস্তব কাহিনী গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার গল্পগুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

পারিবারিক সমস্যার সমাধান টানা আসলেই অনেক কঠিন ব্যাপার। যাইহোক অবশেষে ইউসুফ মিয়া সমাধান করতে পেরেছেন এটাই অনেক।একটি সংসারে অশান্তি করার জন্য একজন লোকই যথেষ্ট। যেমনটা সাইফুল করেছিল। খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

সাইফুলের মত লোকগুলো যখন একটা সংসারে এসে ঢুকে তখন সংসারটি একদম তছনছ করে দে। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42