একটা সফল ভালোবাসার গল্প || ১০% @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা জানিয়ে আজকে আমি সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। ভালবাসতে তো সবাই কমবেশ জানে মানে। ভালোবাসা মানেই তো আবেগে বেশি বাড়ানো সুন্দর একটা অনুভূতি। সেজন্য আজকে নিজের মতো করে আমার চাচাতো ভাইয়ের ভালোবাসার গল্পটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি এটি আপনাদের সকলের খুবই ভালো লাগবে।
আমার বড় চাচাতো ভাইয়ের মিষ্টি আর কঠোর ভালোবাসার অনুভূতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা শুরু করলাম।
একদিন হঠাৎ করে, আমার বড় চাচাতো ভাই জানতে পারলো তার একটি খুব ভালো বন্ধুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। সেটা জানতে পেরে সে অনেক খুশি হয়ে গেল। তারপর চাচাতো ভাই বিয়েতে যাওয়ার জন্য অনেক শপিং করে নিল। তারপর কয়েকদিন পর বিয়ের তারিখ চলে আসলো। তারপর ভাইয়া খুশি মনে বিয়ে বাড়িতে চলে। সেখানে গিয়ে অনেক হইচই করতে শুরু করলো। সকল বন্ধুদের সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার কারণে সবাই মিলে অনেক খাওয়া-দাওয়া আর ঘুরাঘুরি করতে লাগলো। তারপর সবাই মিলে হলুদের দিন অনেক সাজগোজ করে মেয়ে পক্ষের বাড়িতে রওনা দিল।
তারপর মেয়ে পক্ষের বাড়িতে গিয়ে তারা অনেক মজা করতে লাগলো। সেখানে গিয়ে আমার চাচাতো ভাই হঠাৎ করে তার বন্ধুর শালিকে দেখতে পেল। হঠাৎ করে বন্ধুর শালীকে দেখতে পেয়ে আমার চাচাতো ভাই তো একেবারে হা 😲 হয়ে গেল। মেয়েটাকে দেখেই তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করল। মেয়েটার নাম ছিল মনি। মেয়েটাকে দেখতে যেমন সুন্দর মেয়েটার নামটাও তেমন অনেক সুন্দর। তারপর আমার চাচাতো ভাই মেয়েটার সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করল। তারপর অনেকক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করার পরে মেয়েটার সাথে একটু কথা বলতে পারল।
এভাবে মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলতে একটা সুন্দর বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেল। এইভাবে বন্ধুর বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসল। এইভাবে একটু একটু করে বাড়িতে মেয়েটার সাথে ফোনে কথা বলা শুরু করল। তাদের মধ্যে সুন্দর একটি বন্ধুত্বের পাশাপাশি একজন আরেকজনকে অনেক গভীরভাবে ভালবাসতে শুরু করল। এভাবে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত তারা একজন আরেকজনের সাথে কথা বলতে থাকলো। তারা দুজন দুজনকে অনেক বিশ্বাস আর ভালোবাসতো। তারপর একদিন হঠাৎ করে আমার চাচাতো ভাই মেয়েটার সাথে ব্রেকআপ করে নিতে চাইল। তখন মেয়েটা এটা শুনে অনেক কষ্ট পেল।
তারপর মেয়েটা তার ফ্যামিলির আর তার বন্ধু বান্ধবীদের সাহায্যে ভাইয়াকে অনেক বুঝিয়ে আবারও মেয়েটাকে বিয়ে করার জন্য রাজি করে নিল। তারপর ভাইয়ার মা-বাবা ও মেয়েটাকে দেখে অনেক পছন্দ করলো। এইভাবে অনেক কষ্টের পরে তাদের দুজনের বিয়ে হয়ে গেল। ধীরে ধীরে ছোট্ট একটি সংসার শুরু করতে লাগলো। এইভাবে হঠাৎ করে একদিন ভাইয়ার চাকরিটা চলে গেল। তারা দুজন অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ল তখন। তখন মেয়েটি তাদের বাড়ি থেকে সেলাই কাজ শিখে আসলো। তখন মেয়েটি সেলাই কাজ জানার কারণে সেলাই করা শুরু করল। এইভাবে মেয়েটির সেলাই করে তাদের পরিবারটাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ধরে রাখতে লাগলো।
অনেক কষ্টের পরে একদিন হঠাৎ করে ভাইয়া স্কুলের মাস্টার হিসেবে একটি চাকরি পেয়ে গেল। এইভাবে তারা আবারও সুখে চলতে লাগলো। ধীরে ধীরে মেয়েটির সেলাই কাজ করা বন্ধ করে দিল। এখন ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি মাস্টারের চাকরি পেয়ে আবারো সুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করল। আজকে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের সন্তান দুটিকে নিয়ে আর পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক হাসিখুশি ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু তাদের দুঃখের কথাগুলো শুনলে আমার নিজের কাছেও খুবই খারাপ লাগে। আবার এটা ভেবেও খুবই ভালো লাগে যে তারা আজকে খুবই সুখে শান্তিতে আছে।
সবাই তাদের জন্য একটু দোয়া করবেন তারা যেন সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।তাদের মিষ্টি আর কষ্টের ভালোবাসার কথাটা শুনে আশা করি আপনাদের সকলের খুবই ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
ভালোবাসার এমন মিষ্টি পরিণয় দেখতে সব সময় ভালো লাগে। আর আমার মনে হয় ভালোবাসার মানুষ কে সারা জীবন এভাবে পাশে পাওয়াও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। সাময়িক একটা কষ্টের সময় হয়তো গেছে, তবে দিন শেষে তারাই বিজয়ী। অনেক ভালো থাকুক ভাইয়া আর আপু। শুভেচ্ছা রইলো।
ঠিক বলেছেন এভাবেই সবার ভালোবাসাটা জয়ী হয়ে থাকুক
আপনার কমেন্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো
ভালোবাসা অবশ্যই সুন্দর তবে সেটা সঠিক মানুষকে ভালোবাসতে হবে। আপনার গল্পটা দারুণ লাগল। অনেকদিন পর মনে হয় একটা সফল ভালোবাসার গল্প শুনলাম। এককথায় চমৎকার আপু। সবার ভালোবাসা গুলো এভাবেই পূর্ণতা পাক। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
দিনশেষে সবাই খুবই সুখে থাকুক
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ