গল্প :- দুঃখী রোকসানা
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তবে একটি গল্প। দুঃখী রোকসানার জীবন কাহিনী। আমাদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কষ্টের কাহিনী আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। রোকসানা দেখতে খুব সুন্দর এবং খুব ভদ্র একটি মেয়ে। রোকসানার বাবা বিদেশ থাকে এবং রোকসানার ঘরে সৎ মা। রোকসানার বাবা মা দুইজন আত্মীয়। রোকসানার বাবার নাম হচ্ছে সাহাব উদ্দিন। রোকসানার বাবা-মা যখন স্কুলে পড়ালেখা করতেন তারা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বলতে গেলে তারা দুজন একজনকে একজন বেশি ভালবাসতেন।
এবং রোকসানার বাবা মা দুজন হচ্ছে চাচাতো বোন এবং চাচাতো ভাই। রোকসানার বাবা যখন এসএসসি পরীক্ষা দেই তখন সে রোকসানার মাকে বিয়ে করে। এক বছরের মধ্যে রোকসানা তাদের মা-বাবার কোলে আলো হয়ে এসেছে। তবে রোকসানা মায়ের চেহারা কি রকম সে দেখতে পারে নাই। কারণ রোকসানার বয়স যখন তিন মাস হয়েছে তখন রোকসানার মা হঠাৎ করে ঘুমের মধ্যে মরে গেল। আর তিন মাস বয়সে একটা বাচ্চা কখনো মা বাবা চেহারা মনে রাখতে পারে না। যদিও ওই সময় রোকসানার বাবা দেশে ছিলেন।
ওই সময় রোকসানাকে লালনপালন করার মত লোকের অভাব হয়নি। কারণ রোকসানার দাদু এবং নানু দুইজন জীবিত ছিল। তারা দুইজন রোকসানাকে আদর করে বড় করেছে। তবে মজার ব্যাপার হলো রোকসানা তার দাদুকে মা ডাকে। রোকসানার বয়স যখন ৮ থেকে ৯ বছর হল তখন রোকসানার দাদু মারা গেল। ওই সময় রোকসানার বাবা আবার বিয়ে করলেন। রোকসানার বাবা যখন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন তখন রোকসানা জীবনে নেমে আসলে অন্ধকার। রোকসানা সৎমা তাকে দিয়ে সব কাজ করাতেন এবং তাকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া দিতেন না।
কারণ ওই সময় রোকসানা কাউকে বলার মত লোকও ছিল না। রোকসানার দাদু এবং নানুর দুইজন ঐ সময়ে মারা গেল। তবে রোকসানার সৎ মা যখন তার বাবা থাকে তখন খুব আদর করে কথা বলে। আর যখন না থাকে তখন বলে তোর মা জন্ম দিয়ে মরে ভালোই করেছে। কারণ তোমার মত মেয়েকে লালনপালন সেই করতে পারতো না। আসলে অনেক ধরনের কথা বলে রোকসানাকে সে কষ্ট দিতেন। তবে রোকসানার বাবা মনে করে তার দ্বিতীয় ওয়াইফ তাকেও অনেক আদর করে।
যদিও ওই ঘরে রোকসানার একটি ভাইও আছে ছোট। রোকসানা যখন আস্তে আস্তে বড় হলেন। তখন রোকসানা তার এক আত্মীয়র ছেলের প্রেমে পড়লেন। বলতে গেলে রোকসানা ওই ছেলের জন্য অনেক বেশি আবেগময়ী। এইদিকে রোকসানার ঘরে অশান্তি অন্যদিকে তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সেই চিন্তিত। হঠাৎ করে রোকসানা একদিন ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গেলে। এবং তাকে বিয়ে করে ফেলেছেন। যদিও এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক অনেক কথা বলেছেন। কেউ বলে মায়ের মত স্বভাব হয়েছে মেয়ের।
আবার অনেকে বলে লোভী একটি মেয়ে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর ছেলেটি হঠাৎ করে চেঞ্জ হয়ে গেল। একদিকে ছেলের মা অত্যাচার করে অন্যদিকে ছেলে অত্যাচার করে রোকসানার উপর। আসলে দুঃখী মানুষটি ছোটকালে মাকে হারিয়েছে। অনেক কষ্ট করে যখন সে বড় হল এখন ভালবাসার মানুষটিও তাকে কষ্ট দিয়েছিল। বলতে গেলে রোকসানা কপালে সুখ নেই বললেই চলে। আমি চাই মানুষের জীবনটা অনেকটাই সুন্দর হোক। আর মানুষ নিজের পায়ে সবার আগে দাঁড়াক তাহলেই সব কিছু পাওয়া সম্ভব হবে। যাই হোক এই হচ্ছে রোকসানার বাস্তব জীবনের একটি কাহিনী।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1801250431919878473?t=v5JDOf594PMAbVJbGAUi8g&s=19
আপনার গল্প পড়ে রোকসানার জন্য সত্যি বেশ খারাপ লাগলো। রোকসানার জীবন সত্যি বেশ কষ্টের। জীবনের প্রথম থেকেই কষ্ট পেয়ে গেল মেয়েটি। সত্যি বলতে যার সুখ হয় না তার কখনও সুখ হয় না। দারুন ছিল আপনার আজকের গল্পটি।
আমার পোস্ট পড়ে অসাধারণ মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি রোকসানার কথাটা শুনে অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। তিন মাস বয়সে তার মামারা গিয়েছে। আর তার দাদু নানু আট বছর পর্যন্ত থাকে লালন পালন করে বড় করলেও, ওনারা মারা যাওয়ার পর তার বাবা যখন দ্বিতীয় বিয়ে করে তখনই তার জীবনে অন্ধকার টা নেমে এসেছিল। আর শেষ পর্যন্ত সে নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকেও এত বেশি কষ্ট পাচ্ছে দেখে সত্যি খারাপ লাগতেছে। ভেবেছিল ভালোবাসার মানুষের সাথে পালিয়ে গেলে সে একটু হলেও সুখে থাকতে পারবে ভালো থাকতে পারবে। কিন্তু সুখটা তাঁর কপালে আসলো না।
আসলে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তার জীবনে সুখ বলতে নেই। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
দুঃখের রোকসানার কথাটা শুনে তো অনেক খারাপ লেগেছে আমার কাছে। আসলে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে আমাদের সমাজে যারা ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কষ্ট দেখলে সত্যি খুব খারাপ লাগে। মেয়েটা ছোটবেলা থেকে এত কষ্ট পেয়ে বড় হয়েছে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেও মেয়েটার জীবনে সুখ আসেনি। এসব কিছু সত্যি তাকে আরো বেশি কষ্ট দিচ্ছে। এটাই কামনা করি যেন এরকম কষ্ট আর কেউ না পায়।
হ্যাঁ মেয়েটি ছোটকাল থেকে জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। পালিয়ে বিয়ে করার পরও তার কপালে সুখ ছিল না। সুন্দর মন্তব্য করায় অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছ থেকে রোকসানার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷ আসলে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় কষ্টের মধ্যে থাকে৷ রোকসানা ছোটবেলা থেকে এই কষ্ট নিয়ে বড় হচ্ছে এবং যখন সে পালিয়ে বিয়ে করে তারপরও তার জীবনে সুখ আসেনি৷ আসলে এরকম মানুষকে দেখলে একেবারে মনটা খারাপ হয়ে যায়৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।