গল্প:- প্রেমিক ডাক্তার।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র ঘটনা। লোকটির নাম হচ্ছে জসিম। সেই এলাকার ডাক্তার। কিছু বছর যাবত সেই এলাকায় ডাক্তারি করে। এবং এলাকার কোন অসুখ-বিসুখ হলে তাকে পথমে কল দেই। জসিম ডাক্তার পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তারি শিখেন। এবং জসিম ডাক্তারের আচার ব্যবহার খুব ভালো।
আমি নিজেও জসিম ডাক্তারকে চিনি সে অনেক ভালো মানুষ। জসিম ডাক্তার যেখানে ডাক্তারি করেন তার পাশে একটি বাড়ি আছে। ওই বাড়িতে সোহেল নামে একটি পরিবারের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। সোহেল বিগত অনেক বছর ধরে আফ্রিকায় থাকে। সোহেল বিবাহিত মানুষ তার একটি মাত্র সন্তান আছে প্রায় আট বছর হয়েছে সন্তানের বয়স। এবং জসিম ডাক্তার তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার করে। অনেক সময় সোহেল মিয়ার বউ দোকানে জসিম ডাক্তারের কাছে আসে। তবে জসিম ডাক্তার সোহেলের ওয়াইফকে আপু বলে ডাকে।
তবে ওই এলাকায় মানুষগণ জসিম ডাক্তারকে কিছুই বলে না। তাদের এলাকায় একমাত্র ডাক্তার সে এবং আপদ বিপদের সবাই তাকে পায়। কিছুদিন যাবৎ শোনা যাচ্ছে জসিম ডাক্তার সোহেল ওয়াইফের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেছে। তবে কথাগুলো অনেকে বিশ্বাস করতেন না। কারণ জসিম ডাক্তার ওই মহিলাকে আপু ডাকে বলে। হঠাৎ করে একদিন রাত থেকে ওই মহিলাকে এবং জসিম ডাক্তারকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে অধিক সব জায়গাতে তাদেরকে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো।
এভাবে কিছুদিন চলে গেলেন। তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। জসিম ডাক্তার এবং মহিলাটি যাওয়ার সময় বাচ্চাটিকে সাথে নিয়ে গেলেন। এদিকে সোহেল বিদেশে কথাটা শোনার পর সেই তাড়াতাড়ি দেশে চলে আসলেন। অনেক খোঁজাখুজের পর তাদের সন্ধান পাওয়া গেল। জসিম ডাক্তার ওই মহিলাকে বিয়ে করে ফেলেছেন। এদিকে সোহেল বলতে লাগলো আর আফ্রিকার সব টাকা পয়সা তার ওয়াইফের একাউন্টে আছে। সে যাওয়ার সময় টাকা পয়সা এবং স্বর্ণগুলো নিয়ে গেলেন।
এখন সোহেল সবার কাছে বলতে লাগলো তার টাকা পয়সা সব তার ওয়াইফাই নিয়ে গেছে। এখন এলাকার লোক গুলো বলতে লাগলো তুমি বললেও এখন কোন লাভ হবে না। টাকাগুলো তার একাউন্টে হলে সেই টাকাগুলোর মালিক। সোহেল সব সময় হাউ মাউ করে কেঁদে থাকেন। এবং সোহেল তার একমাত্র ছেলের জন্য সব সময় টেনশন করে। আসলে কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করলে সে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারো না। নয়তোবা সোহেল এই মহিলাকে এত ভালবাসতেন এবং তাকে অনেক বিশ্বাস করছেন।
এই কারণে সোহেল এখন সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে। কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করতে নেই। এইদিকে জসিম ডাক্তারের দোকানে ওষুধ পত্র সব টাকায় ওই মহিলা দিয়েছে সবাই এখন বলতে লাগলো। ডাক্তার এত ভালো মানুষ কিভাবে ডাক্তার এই কাজ করলেন। আবার অনেকে বলতে লাগলো মহিলাটির ফাঁদে পড়ে ডাক্তার খারাপ হয়ে গেলে। এখন সবার মুখে এই একটাই কথা ডাক্তার এবং ওই মহিলাটি। এই হচ্ছে ডাক্তার জসিমের গল্প।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1663187313185398784?t=Z12nnuK1P2Kufe6vqRodUQ&s=19
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আপনার উপরের কথায় আমি একমত। লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসলে আপু ভালোবাসার মানুষ যদি ছলনা করে তাহলে পারা মুশকিল। এখনো এমন কিছু মহিলাদের জন্য স্বামীদের মন ভেঙে যায়। আসলে বেশি ভালো মানুষ এমনি করে। অবশেষে ভালোর চটে জসিম ডাক্তার এক জনের বউ নিয়ে পালালো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এমন কিছু মহিলার জন্য স্বামীর মন ভেঙে যায়। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
জসিম ডাক্তার ভালো মানুষ তাহলে সে কিভাবে অন্যের বউকে নিয়ে গেলেন। আর মনে হয় সোহেল মিয়া তার ওয়াইফকে বেশি বিশ্বাস করতেন। এই কারণে তার টাকা-পয়সা তার ওয়াইফের কাছে রাখলেন। আসলে আপন মানুষ যখন গাদ্দারি করে তখন সেখানে ভাষা প্রকাশ করার কিছু নেই। দেখবেন ওই মহিলাকে একদিন জসিম ডাক্তার ফেলে চলে যাবে। যতদিন তার টাকা আছে তত দিন ডাক্তার জসিমের ভালো লাগবে। আপনার পোস্টে পরে অনেক খারাপ লাগলো।
আসলে সোহেল ভাই তার ওয়াইফকে অনেক বেশি বিশ্বাস করতেন। তার ওয়াইফ সে বিশ্বাস রাখতে পারল না। এই কারণে সেই জসিম ডাক্তারের সাথে পালিয়ে গেলেন। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জসিম ডাক্তার কে আপনারা সবাই খুবই ভালো মনে করতেন। শুধু আপনারা না গ্রামের সবাই ওনাকে খুবই ভালো মনে পড়তো, কারো বিপদ-আপদ হলে উনি সব সময় পাশে থাকতেন সেজন্য। আসলেই এটা কিন্তু একেবারে সত্যি অতিরিক্ত বিশ্বাস করলে কেউ সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারেনা। জসিম ডাক্তার সোহেলের বউকে এবং বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এবং বিয়ে করে নিয়েছিল। মহিলাটিকে তার হাজবেন্ড অনেক বিশ্বাস করত, কিন্তু সে তার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারেনি বেশিদিন। যাইহোক গল্পটা খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। সোহেলের জন্য খুবই খারাপ লেগেছে।
জসিম ডাক্তার এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার। আপদে বিপদের সবার পাশে থাকতেন জসিম ডাক্তার। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন আপনি। আপনার লেখা ডাক্তার জসিম এর কার্যক্রম আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রবাসী স্ত্রীদের সাথে এমনটা বেশি হচ্ছে। যাহোক খুবই সময়োপযোগী এবং বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা আপনার এই গল্পটি খুবই চমৎকার হয়েছে।
আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।