নাটকের রিভিউ :- " নাইনটিজ পোলাপাইন " ( দ্বিতীয় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আমার তো প্রতিনিয়ত ভিন্ন ধরনের পোস্টগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে নাইনটিজ পোলাপাইন এই নাটকটির রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মাঝেমধ্যে সময় পেলে এরকম নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই সময় পাওয়ার সাথে সাথে আজকে এই নাটকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | নাটকের রিভিউ |
---|---|
পরিচালনায় | আর্থিক সজীব |
অভিনয়ে | তামিম খন্দ, শায়লা সাথী, মিরাজ খান, শাকিব সিদ্দিক, শোয়েব শান্ত, রাফসান ইমতিয়াজ, তুহিন চৌধুরী, হিয়া তানিশা, অনন্যা ইসলাম, লামহা আনসু, আবদুল্লাহ রানা, রকি খান, আনোয়ার শাহী, ফারুক আল ফারাবি, হিন্দোল রায়, সম্পা নিজাম, |
চিত্রগ্রহণ | মামুন আর রশিদ |
গল্প সহকারী | অর্ণব জাকির |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন আর রশিদ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
সহকারি মিউজিক | ফাইয়াজ রাফি |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
প্রথম পর্বে সাথীদের জমিটা চেয়ারম্যানের লোকেরা দখল করে নিতে চেয়েছিল। তাই সাথীদের সাথে চেয়ারম্যানের ছেলেদের ঝগড়া হয়। তাই আজকের পর্বে পরবর্তী পর্বের কথা উল্লেখ করলাম। তারপর চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পরে চেয়ারম্যানের লোকদেরকে বলল তাদেরকে ইচ্ছামতে কাদার মধ্যে চুবানোর জন্য। তারপর চেয়ারম্যানের লোকেরা তাদেরকে অনেক মারধর করে কাঁদার মধ্যে ফেলে দিল। তারপর চেয়ারম্যানের বড় ছেলে বলল এটা আমার বাপ দাদার সম্পত্তি তার মানে এইসব জমি আমাদের এই কথা বলে তারা দুই ভাই ওখান থেকে গাড়ি করে চলে গেল।
তারপর রাফসানরা একটা দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। তখন ফারুক বলল তাদের কি দরকার ছিল ওদের সাথে ঝগড়া করার। তখন ওই পথ দিয়ে সাথী আর তার মা বাবা এবং ছোট বোন ওরা যাচ্ছিল। তখন রাফসানরা এগিয়ে এসে বলল কি দরকার ছিল ওদের সাথে ঝগড়া করার। তখন চা দোকানদার বলল ওরা অনেক ক্ষমতাশালী তাদের সাথে ঝগড়া করার কি প্রয়োজন ছিল। তোমরা তো পারতে তোমাদের জমিটা ওদের নামে লিখে দিতে। তখন সাথীর বাবা বলল এটা আমার বাপ দাদার সম্পত্তি আমি ওদেরকে কেন লিখে দেবো। তখন সাথীও বলল আমরা ওদেরকে দেখে নেব আমরা তোমাদের মত ভয় পাই না।
চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের ছেলের বারোটা বাজাবো। এইসব কথা বলে সাথীরা তখন বাড়িতে চলে গেল। তারপর শাকিব আর তার বন্ধু গাছ থেকে লাপিয়ে লাপিয়ে পাখি মারার চেষ্টা করল। কিন্তু একটি ইট দিয়ে হঠাৎ লামহার কপালে পড়ল। তখন শান্ত বলল হয়তো পাখি মরেছে। কিন্তু গাছের আড়াল থেকে লামহা বেরিয়ে আসলো। তখন শান্ত শাকিবকে বলল তুই মেরেছিস বলিস আমার কথা বলিস না। তারপর যখন লামহা আসলো তখন শান্ত লামহাকে একটি কাগজের শাপলা ফুল দিল। তখন লামহা বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় বলতে লাগলো কাগজের ফুল দিতে পারবে কিন্তু সত্যি কারের ফুল কখনোই দিতে পারবে না।
তারপর লামারা চলে যাওয়ার পরে তারা আবার পাখি ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তারপর চেয়ারম্যান একটি লোককে থাপ্পড় মেরে বলল তোদের মত লোকদেরকে মাথায় তুলে যা হয়। তখন ছেলেটাকে ধাক্কা মেরে বলো চলে যাওয়ার জন্য। তারপর চেয়ারম্যান আর তার ছেলে দুটো বসে পরিকল্পনা করতে লাগলো কিভাবে সাথীদেরকে পরাজিত করবে। তখন চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে বলল তারা তিন বোন তখন চেয়ারম্যানের বড় ছেলে বলল জমির কথা বলতে মেয়েদের কথা না বলতে। তারপর চেয়ারম্যানের বড় ছেলে উঠে চলে গেল ওখান থেকে। তারপর চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে বলল যেখানে হাত দিলে কাজ হবে সেখানে কথা বলতেছি তাই না বাবা।
তখন চেয়ারম্যান বলল ঠিকই বলেছিস তুই। তারপর আবার সাকিবরা পাখি পেড়ে দোকানে গেল চা খাওয়ার জন্য। ওখানে গিয়ে বলল এত কিছু হয়ে গেল তোমরা আমাদেরকে কিছু জানালে না কেন। তখন ফারুক বলল তোরা তো সারাদিন পাখি নিয়ে ব্যস্ত থাকিস তোদেরকে কি আর বলবো। তখন শান্ত বলল কোন দিন আমি চেয়ারম্যানের ছেলেদের মাথা ফাটিয়ে দি কে জানে। তখন ফারুক বলল চেয়ারম্যানের ছোট ছেলের কাছে একটি বন্দুক আছে দেখবি কখন মেরে দেয়। তারপর ওখানকার মাস্টার তামিম এসে দোকানে বসলো। তখন তামিম বলতে লাগলো কে কাকে মেরে ফেলবে। তখন শান্ত বলল চেয়ারম্যানের ছেলেরা বড্ড বার বেড়েছে সবাইকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখায়।
তখন তামিম বলল নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে কেউ যে কোন জিনিস ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু কাউকে অকারনে মেরে ফেলতে পারবেনা। তাহলে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। তারপর অনন্যা এবং সাথী আরো তাদের বান্ধবীরা সবাই মিলে মাঠের মাঝখানে খেলতে লাগলো। তখন তারা খেলতে খেলতে দেখতে পায় চেয়ারম্যানের বড় ছেলে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে ওখান দিয়ে। তখন সাথী একটা মেরে চেয়ারম্যানের বড় ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিল। তখন চেয়ারম্যানের বড় ছেলে এসে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলো কে তার মাথা ফাটিয়ে দিল। তখন সাথী বলল আমরা তো খেলতে ছিলাম আমরা দেখিনি। পরে বলল আমি ইচ্ছে করে তোমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছি।
তুমি আমার বাবাকে মেরেছো আমি কি তোমাদেরকে দেখব তোমাদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তাই। তারপর চেয়ারম্যানের বড় ছেলে তা থেকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে। তখন রাফসান আর চা দোকানদার এসে বলল রাস্তার মাঝখান থেকে ওদেরকে তুলে নিয়ে গেলে গণপিটুনি দিবে তারা। চেয়ারম্যানের বড় ছেলেকে তখন তারা ভয় দেখাতে লাগলো। তখন হঠাৎ করে চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে বাইক নিয়ে চলে আসলো হাতে পিস্তল নিয়ে। তখন সে এসে বলল আমার ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে কে। তখন চেয়ারম্যানের লোক বলল সাথী বড় ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দিল। তখন চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে সাথীদেরকে দিয়ে তার পায়ের জুতো মুছাতে লাগলো।
তখন সাথীর বাবা বলল আমি তোমার পায়ের জুতা মুছে দেব। তারপর ওখানে ওদের গ্রামের মাস্টার তামিম এসে বলল কি হয়েছে এখানে। তখন সবকিছু তাকে খুলে বলল সবাই। তখন চেয়ারম্যানের ছেলেকে বলল আমি তোকে পাঠালাম তাহলে আমি শাথীকে নিয়ে যেতে দেব না তাহলে তুই আমাকে গুলি করে দে। তখন এই সবকিছু চেয়ারম্যানের ছেলেকে তামিম বলতে লাগলো। বলল আমি যখন তোকে সাথীকে নিয়ে যেতে বারণ করলাম তাহলে তুই আমাকে গুলি কর। কিন্তু তখন চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। আজ এই পর্যন্তই পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার কাছে তো নাটকটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। কারণ এরকম ভাবে দলবদ্ধ হয়ে নাটক করলে সেগুলো অনেক মজার হয়। বিশেষ করে এই নাটকের মধ্যে পুরনো দিনের কাহিনীটা তুলে ধরার চেষ্টা করল। যেমন আগেকার দিনে ইংরেজরা শাসন করতো ঠিক একই রকম ভাবে জমিদাররা নাটকটির মধ্যে শাসন করতেছে। কিন্তু জমিদারের ছেলে নাতি এখন চেয়ারম্যান। তাই চেয়ারম্যানের ছেলেরা গ্রামবাসীর উপরে খুবই অত্যাচার করতেছে। এরকম অত্যাচারের কাহিনী গুলো দেখলে বেশ কষ্ট লাগে। তাছাড়া নাটকের মধ্যে যারা যারা অভিনয় করেছে তারা বেশ সুন্দর অভিনয় করেছে। সেজন্য নাটকটি দেখতে বেশ ভালই লাগতেছে। এখনকার সময় কম বেশি সবাই এই ধরনের নাটক গুলো দেখে থাকে। আমার কাছেও ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1750759824168833102?t=Bhi_KdYg439JVNqpHInn5A&s=19
নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকটার প্রথম দুইটা পর্ব আমি দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নাটকের প্রথম পর্বটা আপনার রিভিউর মধ্যেও আমার পড়া হয়েছিল। আর আজকে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এত সুন্দর করে প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বটাও সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমার কাছেও নাটকটি দেখতে বেশ ভালই লেগেছে তাই আপনাদের মাঝেও চেষ্টা করেছি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য।
আমার কাছে এরকম নাটকগুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ফ্রাঙ্ক কিং এর নাটক গুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকটার কয়েকটা পর্বের বেশ কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম। আমি তো যখন দেখেছিলাম এই নাটকটার পর্ব বের হচ্ছে, তখনই ভেবে নিয়েছিলাম একসাথে অনেকগুলো পর্ব হলে তারপরে দেখে নেব। আপনি দেখলাম অনেক সুন্দর করেই এই নাটকের পর্বগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। নাটকের পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আমিও ফ্রাঙ্ক কিং এর নাটক গুলো বেশ পছন্দ করি। আপনার মন্তব্য পড়ে আরো ভালো লাগলো।
আপনি খুব সুন্দর নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। ফ্রাঙ্ক কিং এর নাটক গুলা আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে। এই নাটকের প্রথম পর্বের রিভিউ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়েছিলাম। আজ দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। নাটকটির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
চেষ্টা করব আপু নাটকটির পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকের রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আগামীতে সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবো। আর নাটকটি সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত মতামতটি জানার অনেক আগ্রহ ছিল আমার।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক বেশি উৎসাহিত হলাম।
এই নাটকটির সাতটি পর্ব এখন পর্যন্ত এসেছে।সবগুলো পর্বই আমি দেখেছি। আপনি আজ দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আমার করা নাটকটির দ্বিতীয় পর্ব দেখে আপনার কাছে বেশ ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
আপু আপনি বেশ সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকের কিছু অংশ দেখছি।তবে এখনো তার পুরো নাটক টি দেখি নাই। আজকে আপনার নাটক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে বেশ খুশি হয়েছি।