লাইফ স্টাইল:- জন্মদিনের গিফট কেনার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। এমনিতেই আমার কাছে একই ধরনের পোস্ট করতে ভালো লাগেনা। তাই সবসময় নিজের মতো করে সাজিয়ে চেষ্টা করি ভিন্নরকম পোস্ট গুলো করার জন্য। জানুয়ারির ১০ তারিখে আমার হাজবেন্ডের জন্মদিন ছিল। কিন্তু তখন আমি পোস্টটি করতে পারলাম না। তাই আজকে পোস্টটি করলাম। আশা করি এই পোস্টটা আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আমার হাজব্যান্ড প্রায় সময় আমাদেরকে অনেক কিছুই গিফট করে। তাই আমিও ভাবলাম টাকা জমিয়ে এই জন্মদিনে আমার হাজব্যান্ডকে কিছু গিফট করব। আসলে আমরা নিজেদের পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলেই তাতেই অনেক হ্যাপি থাকি। আমাদের পরিবারে আমার শ্বশুর শাশুড়ি আমার হাজব্যান্ড আমার মেয়ে আর আমি থাকি। আমরা সবাই একজন আরেকজনের খেয়াল রাখি। যখন যার যা কিছু প্রয়োজন হয় সবাই তাদেরকে হেল্প করি। তাই চেষ্টা করলাম এবারে নিজের হাজবেন্ডের জন্মদিনে তাকেও কিছু গিফট করার। আমার হাজবেন্ডের জন্মদিনের কয়েকদিন আগেই আমরা বাজারে গিয়েছিলাম।
যখন আমাদের বাড়িতে ছিলাম তখন আমি সোনিয়া আপুর সাথে বাজারে যাই। কারণ আমি আমার হাজব্যান্ড কে না জানিয়েই উনার জন্য এই শপিং করেছিলাম। আমি আর সোনিয়া আপু একদিন বিকেলে এই সবকিছু কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছিলাম। তারপর আমি আর সোনিয়া আপু গিয়ে অনেক দোকানেই ঘুরাঘুরি করলাম। আসলে কোন দোকানে আমাদের কিছু পছন্দ হচ্ছিল না। তারপর হঠাৎ করে রকি ভাইয়া সোনিয়া আপুকে ফোন দিয়ে বলল ওনাদের একটা পরিচিত দোকান আছে ওখানে যাওয়ার জন্য। তারপর আমি আর আপু ওই দোকানে গেলাম। আসলে ওই দোকানটা অনেকটাই পুরন।
রকি ভাইয়েরা ছোট থেকেই ওই দোকানে কেনাকাটা করে। আমি নিজেও কয়েকবার গিয়েছিলাম ওই দোকানে। ওই দোকানে কাকু আর কাকুর ছেলেটাও বেশ ভালোভাবেই কথা বলে। অনেকটাই ভদ্র আছে তারা। তারপর আমরা অনেক শার্ট দেখেছিলাম দোকানের মধ্যে। তারপর আমি আর সোনিয়া আপু মিলে তিনটি শার্ট পছন্দ করলাম। অনেকদিন ধরে ভাবতেছিলাম আমার হাজবেন্ড কে কয়টি শার্ট একসাথে গিফট করবো। তারপর আমরা ভেবেচিন্তে ৩ ডিজাইনের তিনটি শার্ট নিয়ে নিলাম। আসলে আমরা আমার হাজব্যান্ড কে না জানিয়ে ওনার জন্য এই শার্ট গুলো কিনে নিলাম। আমার তো ওই শার্টগুলো বেশ পছন্দ হয়েছিল।
তারপর আমরা শার্টগুলো কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। আসলে তখন আমি আমাদের বাড়িতে ছিলাম। কারণ ওখানে থাকাকালীনই আমি ওই শার্টগুলো কিনে রেখেছিলাম। আসলে শ্বশুরবাড়িতে আসলে একা তেমন বাজারে যাওয়া হয় না। তাই আমাদের বাড়িতে সোনিয়া আপুর সাথে গিয়ে কিনে নিয়েছিলাম। শার্টগুলো আমার তো বেশ পছন্দ হয়েছিল। তারপর যখন আমার শ্বশুর বাড়িতে আমরা চলে আসলাম তখন আমি লুকিয়ে শার্ট গুলো নিয়ে এসেছিলাম। আমার হাজব্যান্ড তখনও জানতো না আমি ওনার জন্য শার্ট কিনেছি। তারপর দশ তারিখ যখন ওনার জন্মদিন ছিল তখন আমি হঠাৎ ওনাকে শার্ট গুলো দেখালাম।
তখন আমার হাজব্যান্ড তো বেশ খুশি হয়েছিল। আসলে নিজেদের কাছের মানুষদেরকে কিছু গিফট করলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় নিজের জীবনসঙ্গী তাহলে তো সুন্দর মুহূর্তটা আরো বেড়ে যায়। আমার হাজব্যান্ডকে শার্টগুলো দেওয়ার পরে উনার খুশি দেখে আমি নিজেও অনেক খুশি হলাম। আমাদের সবারই উচিত এভাবেই নিজেদের কাছের মানুষগুলোকে কোন না কোন গিফট দিয়ে হাসিখুশি রাখার। যাইহোক নিজের কাছের মানুষটাকে হাসিখুশি দেখে নিজের আনন্দ বেড়ে যায়। এভাবেই সকলেরই উচিত নিজের কাজের মানুষের খেয়াল রাখার। যাইহোক আশা করি আমার হাজব্যান্ড কে জন্মদিনের উপহার দেওয়ার মুহূর্তটা হয়তো আপনাদেরও ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1746529903770755263?t=tVRgiV64hWCLdrgaHdUeoQ&s=19
প্রথমেই ভাইয়া কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জন্মদিনের গিফট কেনার মুহূর্ত পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার কাছে থেকে ভাইয়া গিফট পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছে যেনে খুশি হলাম। আপনার পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।
প্রথমে ভাইয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার সুন্দর প্লানিং ছিলো আপু।ঠিক বলেছেন জীবন সঙ্গীকে গিপ্ট দেয়ার মজাই আলাদা।আপনিও আপু চুপিসারে সুন্দর সুন্দর শার্ট কিনেছেন। সত্যি কিন্তুু শার্ট গুলো অনেটাই সুন্দর। জন্মদিনের গিপ্ট পেতে কার না ভালো লাগে। ভাইয়ারও অনেক ভালো লেগেছে তাই শার্ট গুলো পেয়ে।ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন নিজের প্রিয় মানুষগুলোকে গিফট করলেন নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে।
আসলেই আপু, নিজের পরিবারের, নিজের কাছের মানুষ কে কোন ভাবে খুশি করতে পারলে বা তাদের জন্য কিছু করতে পারলে খুবই খুশি খুশি লাগে! আর আপনারা পরিবারের সকলেই সকলের যত্ন নেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু! আর ভাইয়াকে বেশ সারপ্রাইজ দিয়েছেন!
আমি আমার সাধ মত চেষ্টা করি নিজের পরিবারের খেয়াল রাখার জন্য।
আপনার হাজব্যান্ড আপনাকে প্রায় সময় গিফট দেয়, এটা তো বেশ ভালো ব্যাপার। ভালো হাজব্যান্ড পেয়েছেন আপু। আপনি আপনার হাজব্যান্ড কে উপহার দেওয়ার জন্য যে ৩ টি শার্ট কিনেছিলেন সেই শার্টগুলো উপরের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে কি আছে আপু? ব্লগটি পড়ে জানতে পেলাম আপনার হাজব্যান্ডও অনেক খুশি হয়েছে এইগুলো দেখে। এরকম খুশির মুহূর্ত গুলো জীবনের জন্য অত্যন্ত দরকারি। এসব ছোট ছোট গিফট মানুষের মুখে হাসি এনে দিতে পারে। এই ব্যাপারগুলো একে অন্যের প্রতি ভালোবাসাও বাড়িয়ে দেয়।
এটা শার্টের দোকান। আর আমরা ওখানে গিয়ে আমার হাজবেন্ডের জন্য শার্ট কিনলাম।
হ্যাঁ আপু সেটা তো বুঝতে পেরেছি।
আমি এটা জিজ্ঞেস করেছিলাম আর কি আপু।