গল্প :- ভাইয়ের শত্রু ভাই।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে ভাইয়ের শত্রু ভাই। এই গল্পটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছি। আমার শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি ঘটনা। আমার শ্বশুর বাড়ির পাশে একটি ফ্যামিলিতে দুটি ভাই ছিল। তবে ওই মানুষ দুটি বাবা মা শিক্ষিত ছিল। এই কারণে তাদের ছেলে দুটি ও পড়ালেখা করেছে। বলতে গেলে এলাকার প্রতিষ্ঠিত লোক ছেলে দুটি। বিয়ের আগে ভাই দুজন খুবই মিইল ছিল। বলতে গেলে দুই ভাই এক আত্মায় ছিল। সব সময় হাসিখুশি কথা বলতে এবং যেদিকে যেতেন একসাথে যাওয়া হতো তাদের।
যদিও ভাই দুইজন বয়সের দুই বছরের বড় ছোট ছিল। বড় ভাই যখন বিয়ে করেছেন ওই সময়ও তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। এর দুই বছর পর ছোট ভাই বিয়ে করলেন। তবে তাদের দুজনের বউ পড়ালেখা করেছেন। এবং ভাই দুজন বিয়ে হওয়ার ৬ মাস পর থেকে তাদের সংসারের দ্বন্দ্ব শুরু হল। এক পর্যায়ে দুই বছরের মাথায় তারা আলাদা হয়ে গেলেন। এরপর ভাই দুজন এবং ভাই দুজনের ওয়াইফ জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব চালু করে দিলেন। তবে ভাই দুইজন নাকি ওয়াইফদের কথা উঠে আর বসে। এক সময় জায়গা সম্পত্তি নিয়ে ভাড়াটিয়ার সন্ত্রাস দুজন ভাই লোকও ঠিক করেছেন একজনকে একজন শায়েস্তা করার জন্য।
তারপর ভাই দুজন সব সময় বলতে মা-বাবার চোখ সমান নেই। তারা একজন বলে একজনকে মা বাবা তোমাকে দেখতে পারে। যদিও এক সময় মা-বাবা দুইজন দুই ভাইয়ের কাছেই ছিল। হঠাৎ করে একদিন রাত্রে ছোট ভাইকে কে যেন আঘাত করেছেন। এরপর তাদের ঝগড়া আরও বড় হয়ে গেল। এবং বিগত প্রায় ২২ বছর পর্যন্ত তারা দুইজন ভাই একজনের সাথে একজন কথা বলেন না। আর ভাই দুজনের ছেলে মেয়েও বড় হয়ে গেল। এবং ভাই দুইজনের ছেলে-মেয়ের কোন অনুষ্ঠানেও একজন অপরজনের দাওয়াতে যেতেন না। এবং কি যে কোন অনুষ্ঠান ঈদেও তারা একজনের সাথে একজন কথা বলতেন না।
এবং তাদের ওয়াইফ গুলো আজও পর্যন্ত কথা বলে না। এবং ভাই দুইজনের ছেলে-মেয়ে বিয়ে-শাদী পর্যন্ত দিলে কিন্তু কোন ভাই এবং ভাইয়ের ওয়াইফ কথা বলে নাই। এখনো একজন ভাই আরেকজন ভাইয়ের পিছে বদনাম করে। বলতে গেলে তারা একজন আরেকজনের সামনে পড়লে অচেনা মানুষ। আর অনেক জনে বলে এক সময় তারা অনেক মিল ছিল। কিছুদিন আগে বড় ভাই হঠাৎ করে মারা গেল। তবে বড় ভাইয়ের শরীর যখন খারাপ করেছিল তখন ছোট ভাইকে খবর দিল আসার জন্য কথা বলার জন্য। কিন্তু ছোট ভাই বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলতে আসে নাই। কারণ রাগ অভিমান তাদের এতই বেশি ছিল।
মূলত ছোট ভাই মনে করল হয়তোবা এমনিতে শরীর খারাপ। এবং সেই কল্পনাই করে নাই তার বড় ভয় মারা যাবে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে মারা যাওয়ার পরপর ছোট ভাই বড় ভাইয়ের কাছে আসলেন মৃত্যুর খবর শুনে। তবে অনেক কান্নাকাটি করেছেন এবং বলতেছে আমরা বিয়ের আগে অনেক মিল ছিলাম। যেকোনো কারণে আমরা একজনের সাথে একজন অনেক দিন পর্যন্ত কথা বলিনি। তখন অনেক লোক বলতেছে এখন কান্নাকাটি করে কোন লাভ নেই। তোমার ভাই এই পৃথিবী থেকে চলে গেল। সে আর কখনো আসবে না এই পৃথিবীতে। পারলে তুমি তার জন্য দোয়া কর। এ হচ্ছে একটি বাস্তব ঘটনা। আশা করি এই পোস্টটা আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1863099225342689584?t=pJ3kU7YDZgOV6IiwfxS9ew&s=19
আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকে মনে করি এই মেয়ে মানুষ একটি পরিবারকে সুশীল রূপ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট আবার এই মেয়ে মানুষই একটি সংসার কে নরকে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। যা আপনার গল্পের মূলভাব থেকে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ এখানে ওই দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত জীবনে নিজেদের উপর নিজের কোন প্রভাব ছিল না তাদের উপর তাদের বউ রাই সব প্রভাব বিস্তার করেছিল যার ফলে এত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। এগুলো সমাজে নিন্দনীয়। যাইহোক আমি এটাই আশা করব আপনার গল্পের মত এরকম কাহিনী আর যেন কারোর জীবনে না ঘটে।
কেমন যেন সম্পর্ক গুলো বদলে যাচ্ছে দিনের পর দিন। রক্তের ভাইকেও আজকাল স্বার্থের কারনে মানুষ অস্বীকার করছে। আপনার গল্প শুনে বেশ খারাপ লাগলো। সত্যি বলতে আমাদের রাগ জেদ ইগো আমাদের কে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে।
এমন ঘটনা আমাদের আশেপাশে অনেক থাকে আপু। কিছু কিছু মহিলা আছে যারা বিয়ের পর স্বামীকে পরিবার থেকে আলাদা করতে চায়। আর তাদের জন্য একটা সময় ভাই ভাইয়ের শত্রু হয়ে যায়। যেমনটা আপনি শেয়ার করেছেন।তবে এমনটা মোটেই উচিত না। ধন্যবাদ আপু বাস্তব একটি ঘটনা আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
অপ্রিয় হলেও সত্যি যে ভাইয়ের শত্রু ভাই হয় কখনো কখনো আর বেশি ভাগেই এই শত্রুতা শুরু হয় বিয়ের পর।বিয়ের আগে যেই ভাইকে ছারা কিচ্ছু বোঝে না বিয়ের পর তারাই আবার পরম শত্রু হয়ে যায়।আপনার গল্প টিতে ও সেরকমই বুঝতে পেলাম।ধন্যবাদ গল্পটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।