সুস্বাদু রুই মাছ ভুনা রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজের করা রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হচ্ছে। তাই সব সময় ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে খেতে যেমন নিজেরও ভালো লাগে না। তেমনি একই রকম রেসিপি দেখতেও ভালো লাগেনা। তাই আজকে আমি রুই মাছ ভুনার রেসিপিটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। রুই মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু রুই মাছের মধ্যে কাটা থাকার কারণে খেতে একটু অসুবিধা হয়। আমাদের বাড়ির সবাই কাঁটাওয়ালা মাছ খেতে পারে না। বেশিরভাগ সময় আমরা পাঙ্গাস মাছ অথবা তেলাপিয়া মাছ রান্না করি। বাড়িতে মেহমান আসার কারণে ঐদিন রুই মাছ রান্না করলাম। শুধুমাত্র মেহমান রাই রুই মাছ খেয়েছিল। তারপর দু-তিন পিস মাছ তাও রয়ে গিয়েছিল।
দিনে রাতে মিলি সব মাছ আমি খেয়ে শেষ করলাম। কাটার ভয়ে কেউ খাচ্ছিল না মাছগুলো। কিন্তু আমি আস্তে আস্তে কাঁটা বেজে মাছটা খাওয়া শেষ করলাম। মাছটা খেতে আমার কাছে ভীষণই ভালো লাগলো। তাই কাউকে না দিয়ে নিজে বসে বসে পুরো মাছটি খেয়ে শেষ করলাম। আমার তো এরকম রেসিপিগুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সবারও খুবই পছন্দ হবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছ | বড়গুলো ১টি |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
মরিচ গুঁড়ো | ৩ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১.৫ চা চামচ |
রসুন | ২ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
ধনিয়া পাতা |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি পাতিল নিলাম। এরপরে পাতিলে মাছগুলো কেটে নিলাম। তারপরে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম মাছগুলো।
ধাপ - ২ :
এরপর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম মাছের উপর। তারপরে পরিমাণ মতো হলুদের গুড়া দিয়ে দিলাম। এরপর ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে তেল গরম করে নিলাম। তারপরে একটি একটি করে মাছগুলো গরম তেলে দিতে লাগলাম।
ধাপ - ৪ :
এভাবে সবগুলো মাছ দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ পর মাছগুলো এই পিঠ ওপিঠ করে ভাজা করে নিলাম। এভাবে সবগুলো মাছ ভাজা করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আরেকটি পাতিল চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে নিলাম। তারপরে তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুঁচি এবং মরিচ কুঁচি গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর পরিমাণমতো রসুন, লবণ এবং হলুদের গুড়ো, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম। তারপরে ভালোভাবে নেটেচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর কিছুক্ষণ পরে পাতিল এর মধ্যে একটি একটি করে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে এভাবেই কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। তারপরে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
রান্না শেষ হওয়ার পরে অন্য একটি পাতিলে নিয়ে নিলাম পরিবেশনের জন্য।
শেষ ধাপ :
এইভাবে পুরো রান্না করা রেসিপিটি শেষ করে নিলাম। আশা করি আমাদের রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
পাঙ্গাস মাছ ভাজা করে খেতে কিন্তু আপু ভালোই লাগে। তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না! আর রুই মাছ কড়া করে ভেজে না নিলে আমি খেতে পারি না! যেকোনো কিছুর সাথে রান্না করে খাওয়া যায়! ধাপে ধাপে রেসিপিটি সুন্দর করে দেখালেন
আমি তো প্রায় সময় পাংকাস মাছ রান্না করে খাই।
আপনার মত আমারও ক্ষেত্রে ভীষণ ভালো লাগে।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1618591477151715329?t=w5LdvieWLuoBCVSpLywdfQ&s=19
যে সুস্বাদু করে রেধেছেন তা যে কেউ দেখলেই পাগল হয়ে যাবে খাওয়ার জন্য। সত্যি দারুন এক রেসিপি হয়েছে আপু। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুস্বাদু রুই মাছ ভুনার রেসিপি দেখে। শুভেচ্ছা রইলো।
ঠিক বলেছেন রুই মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
আপনি খুব সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন।আমার রুই মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আর রুই মাছের ভুনাও আমার ভীষণ পছন্দের।আপনার তৈরি রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
রুই মাছ ভুনা খেতে আমারও ভীষণ ভীষণ ভালো লাগে।
যেই মাছগুলোতে কাঁটা বেশি অনেকেই সেই মাছগুলো খেতে পারেনা। রুই মাছের কাঁটা বেশি হলেও খেতে কিন্তু ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এভাবে রুই মাছ ভুনা করা হয়। খেতে বেশ ভালো লাগে। পাঙ্গাস মাছ এবং তেলাপিয়া মাছের কাঁটা কম হলেও এই মাছগুলো কেন জানি খেতে পারি না। অনেকদিন থেকে এই মাছগুলো খাওয়া হয় না।
আমার কাঁটাওয়ালা মাছ খেতে ভীষণ ভয় লাগে।
কিন্তু পাংকাশ মাছ মাছ খেতে একটু বেশি সুস্বাদু লাগে আমার কাছে।
রুই মাছ আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে আম্মার হাতে রুই মাছ ভুনা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে রুই মাছ ভুনা করেছেন দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রণালী বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। প্রত্যেকটির ধাপ খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
রুই মাছ আমারও খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
অনেকেই কাঁটাওয়ালা মাছ খেতে পারেনা কিন্তু আমার কাছে কাঁটাওয়ালা মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে।খেতে বসে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ বেঁছে খেতে অনেক পছন্দ করি আমি এবং আমার বড় মেয়ে। রুই মাছ বড় সাইজের গুলোতে কাঁটা একটু কম থাকে সেগুলো কিনবেন আপু তাহলে দেখবেন সবাই খেতে পারবে।রুই মাছ ভেজে খুব সুন্দর করে ভুনা করেছেন আপু দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে আশাকরি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আমিও কাটাওয়ালা মাছ খেতে ভীষণ ভয় পাই।
আপু ঠিক কথা বলেছেন, রুই মাছ আসলেই কাটা ওয়ালা মাছ। আর কাটা ওয়ালা মাছ খেতে আমার ও ভাল লাগে না। বাড়িতে মেহমান আসায় আপনি অনেক সুন্দর করে রুই মাছ রান্না করলেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের হয়েছে।
ঠিক বলেছেন বাড়িতে মেহমান আসলে রুই মাছ রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
রুই মাছ ভুনা করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। রুই মাছ অনেক সুস্বাদু একটি মাছ। তবে আপনার মত আমিও কাটাগুলোকে অনেক ভয় পাই মাছের। ঐদিন রুই মাছগুলো আমি খেয়েছি। খেতে অনেক মজা হয়েছে। কাটার ভয়েও আমিও পাঙ্গাস মাছ বেশি খাই।খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে রেসিপি শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন রুই মাছ খুবই সুস্বাদু একটি মাছ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপনি ঠিকি বলেছেন মাছ হলো পাঙ্গাশ যার কোনো কাটা নেই ৷ খেতেও বেশ ভালোই লাগে ৷ তবে রুই মাছের স্বাদ কিন্তু কম নেই ৷ বাড়িতে মেহমান আসার জন্য আপনি রুই মাছের এতো সুন্দর করে রেসেপি করেছেন ৷ রেসেপির রং দেখেই জিভে জল এনে দিল৷ অনেক কষ্ট হয়েছে খেতে না কি ৷ যে পরিমান কাটা ৷
তাইতো আমার পাংকাস মাছ খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে