অন্যের বউ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। (পর্ব -১)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক বেশি আসলে অনেক সময় দেখা যায় এই ধরনের ঘটনাগুলো আমরা কখনো চিন্তাও করি না। আবার আগে দেখতাম অনেক দূরে দূরে ঘটনা গুলোর কথা শোনা যেত। কিন্তু এখন যখন চারপাশে দেখতে পাই তখন খুবই খারাপ লাগে। আবার এই বিষয়গুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেক কিছুই থাকে। এজন্য ভাবলাম আশেপাশের কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি একটি ঘটনা শেয়ার করতেছি। ঘটনাটি ঘটেছে আমার হাজবেন্ডের এলাকার একটি ঘটনা। একটি ফ্যামিলির দুইটি ছেলে মেয়ে। ছেলেটির নাম হৃদয় এবং মেয়েটির নাম হচ্ছে সাথী। ছোট কাল থেকে বাইবোন দুজনে খুব মিল ছিল। ভাইয়ের দুই বছরের ছোট হচ্ছে বোন। হৃদয় তার ছোট বোনকে অনেক আদর করে। কারণ ছোটকালে তাদের বাবা মারা গেছে। তার মায়ের তাদেরকে লালন পালন করেছে। ছেলে এবং মেয়ে দুটোকে তার মা লেখাপড়া করিয়েছে।
তার মা হাতের কিছু কাজ জানত। তা দিয়ে ছেলে মেয়েকে পড়ালেখা এবং বড় করেছে। যখন সাথী ইন্টারে পড়তেই। তখন সাথীকে একটি ছেলে পছন্দ করে। ছেলেটি হচ্ছে তাদের এলাকার। এর পর সাথী ও ছেলেটিকে মোটামুটি পছন্দ করে। কিন্তু মুখ দিয়ে কিছুই বলতেছে না। তারপরও ছেলেটি সাথীর পিছনে পিছনে কলেজে যেতেন এবং বাড়িতে আসতেন। ব্যাপারটি সাথীর মা ও ভাই ও জানে। এবং ছেলেটিও মোটামুটি ভালই। কিছু দিন যাওয়ার পর শোনা যাচ্ছে সাথী ছেলেটিকে ভালোবাসে।
তারপর সাথীর ভাই যখন ইন্টার পাশ করলো। তখন সে কোরিয়া রাষ্ট্রে চলে গেছেন। এরপর থেকে সাথীদের ফ্যামিলিতে আর কোন অভাব ছিল না। তারপর সাথে যখন ইন্টার পরীক্ষা দিলেন। তার জন্য ফ্যামিলিগত যে ছেলেকে পছন্দ করতেন তারা বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। এরপর দুটি ফ্যামিলি রাজি হয়েছে। কারণ ছেলেটির ফ্যামিলিও অনেক ভালো। এর কিছুদিন পরে অনেক বড় করে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করল। কারণ সাথী তার মায়ের একটি মেয়ে। তাই হৃদয়ও তার বোনের পছন্দকে সাপোর্ট করল।
এদিকে হৃদয় তার বোনের বিয়েতে অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করল। খুব সুন্দর করে তাদের বিয়েটা হল। তারপর সাথী এবং সাথীর হাসবেন্ড খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো। তার এক বছর পর সাথীর একটি বাচ্চা হল। বাচ্চাটি দেখতে অনেক সুন্দর। এবং সাথী ও তার হাজব্যান্ড বাচ্চা টির নাম রাখল জয়। এর কিছু দিন পরে তার ভাই হৃদয় বিদেশ থেকে আসলো। বিদেশ থেকে আসার পর সাথী সাথে হাসবেন্ড ও তার মা দেখেশুনে তাকে বিয়ে করানোর জন্য চেষ্টা করতেছে।
এর কিছুদিন পরে একটি মেয়ে তাদের পছন্দ হলো। সেই মেয়েটিকে হৃদয়কে বিয়ে করালো। এবং অনেক বড় করে অনুষ্ঠান ও করল তাদের বিয়েতে হৃদয়ের মা। হৃদয়ের স্ত্রী অনেক সুন্দর এবং লেখাপড়া করে। এরপর হৃদয়ের মা তার ছেলের বউকে নিয়ে অনেক সুখেই আছে। বিয়ের দুই মাস পর হৃদয় আবার কোরিয়ায় চলে গেলেন। এর কয়েক মাস পর হৃদয়ের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান হল। মেয়েটিকে হৃদয়ের আম্মা অনেক আদর করত সারাক্ষণ তার কাছে কাছে রাখতো। ( চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
এখন পর্যন্ত তো দেখছি গল্পটা বেশ ভালই এগোচ্ছে। হৃদয় কোরিয়া যাওয়াতে ওদের ফ্যামিলিটা বেশ সচ্ছল হয়ে গেল। তাছাড়া দুই ভাই বোনের বিয়ে হল বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু পরবর্তীতে কি থেকে কি হবে এটাই বুঝতে পারছি না। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
কিছু কিছু সময় সুখের সংসারেও অশান্তি সৃষ্টি হয়। অপেক্ষায় থাকেন পরের পরের জন্য। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1620735378524372993?t=3VLYYCCqwRmW28dAC8vWsw&s=19
সাথী এবং হৃদয় দুই ভাই বোনের সম্পর্কটা ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া সবকিছু তো দেখছি খুব সুন্দর ভাবেই এগোচ্ছে। দুই ভাই বোনের বিয়ে খুব সুন্দরভাবেই হল। বিশেষ করে দুজনের বিয়েটাও বেশ অনুষ্ঠান করে করা হয়েছে। বিশেষ করে হৃদয় কোরিয়া যাওয়ার কারণে তাদের অনেক ভালো হলো। কি সমস্যাটা কোথায় সেটাই বুঝতে পারলাম না। তাই জন্য পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। খুব সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মাঝে মধ্যে কিছু ঘটনা শুনলেে অবাক হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না ৷ যা হোক গল্পটা শেষ পযন্ত পরলাম যদিও পালানোর কথা দেখলাম না ৷ অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য ৷ দেখি কি হয়
আশা করি পরের পর্ব সম্পূর্ণ ক্লিয়ার জানতে পারবেন। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।