নাটকের রিভিউ :- " নাইনটিজ পোলাপাইন " (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আমার তো প্রতিনিয়ত ভিন্ন ধরনের পোস্টগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে নাইনটিজ পোলাপাইন এই নাটকটির রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মাঝেমধ্যে সময় পেলে এরকম নাটক গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই সময় পাওয়ার সাথে সাথে আজকে এই নাটকে প্রথম পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | নাটকের রিভিউ |
---|---|
পরিচালনায় | আর্থিক সজীব |
অভিনয়ে | তামিম খন্দ, শায়লা সাথী, মিরাজ খান, শাকিব সিদ্দিক, শোয়েব শান্ত, রাফসান ইমতিয়াজ, তুহিন চৌধুরী, হিয়া তানিশা, অনন্যা ইসলাম, লামহা আনসু, আবদুল্লাহ রানা, রকি খান, আনোয়ার শাহী, ফারুক আল ফারাবি, হিন্দোল রায়, সম্পা নিজাম, |
চিত্রগ্রহণ | মামুন আর রশিদ |
গল্প সহকারী | অর্ণব জাকির |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন আর রশিদ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
সহকারি মিউজিক | ফাইয়াজ রাফি |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
প্রথমে নাটকের শুরুতে তামিম খন্দকার হিয়া তানিশার ছোট ভাইকে রাতের বেলা তাদের বাড়িতে পড়াতে গিয়েছিল। তখন তানিশার ছোট ভাই তানিশা কানে কানে বলতেছিল আলিফ লায়লা কিভাবে দেখবে। তখন তানিশা রাজুকে বলল চিন্তা করিস না ভাই কারেন্ট চলে আসবে। তারপর তাদের শিক্ষক তাদেরকে বকা দিয়ে পড়াতে বসাবো। তারপর লামহা তাদের ঘর থেকে আলিফ লায়লা দেখার জন্য টিভিটা ধীরে ধীরে বাহিরে নিয়ে আসতে বলল। লামহা তখন বলতেছিল টিভি ভেঙ্গে গেলে তার বাবা আলিফ লায়লা দেখা একেবারে বের করে দেবে। তার একটু পরে সাথী এবং তার ছোট বোনকে পড়তে বসতে দেখলাম।
তারপর রাফসান আর ফারুক সাথীদের বাড়িতে আসলো। তাদেরকে বলতেছিল আলিফ লায়লা দেখার জন্য তারা ব্যাটারি কিনে নিয়ে এসেছে। যাতে গ্রামের সবাই মিলে চাঁদা তুলে পাঠালে নিয়ে আসতে পারে তাই ফারুক সাথীদের কাছে আট আনা টাকা চাইলো। তারপর রাফসান বল তোমাদের টাকা দিতে হবে না তোমরা টাইম মতো আলিফ লায়লা দেখতে চলে এসো। তারপর রাফসানরা ওখান থেকে চলে আসলো। তার কিছুক্ষণ পরে তিশার তার ছোট ভাইকে আবারো ডাক দিয়ে গেল আলিফ লায়লা দেখার জন্য। কিন্তু তামিম তাকে আবারো পাঠিয়ে দিল বলল আলিফ লায়লা দেখতে যেতে হবে না রাজুর পড়া আছে।
তারপর অনন্যা সাথে কে বলল আপু চলো আমরা এখন আলিফ লায়লা দেখতে চাই আলিফ লায়লা শুরু হয়ে যাবে। তারপর সাথী বলল ঠিক আছে বাবাকে গিয়ে রাজি করায়। তারপর সাথী তার বাবাকে গিয়ে বলল আমরা আলিফ লায়লা দেখতে যাব। তখন তার বাবা বলল ঠিক আছে, তোরা তাড়াতাড়ি চলে আসবি তাহলে। তারপর সাথী আর আমার না সেই কথা শুনে ছুটে আলিফ লায়লা দেখার জন্য ওখানে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে শাকিব তারা দোকানে ব্যাটারি আনতে গেল। ভেবেছিল তারা দোকানদারকে ১০ টাকা কম দিয়ে ব্যাটারি নিয়ে চলে আসবে। কিন্তু দোকানদার তাদেরকে ব্যাটারি নিয়ে আসতে দিচ্ছিল না।
তাই পরবর্তীতে পুরো টাকা দিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসতে হলো। তারপর সাথী টা আলিফ লায়লা দেখতে চলে আসলো। তারপর রাফসান আর শাকিব সবাই টিভির পিছনে ব্যাটারি লাগাতে গেল। কিন্তু লামহা সবাইকে বলতেছিল আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখো কারণ আসে কিনা। তখন শাকিব ফারুক ভাই কে বলল গিয়ে টিভি এন্টেনার টা নেড়েচেড়ে দেওয়ার জন্য। তারপর ফারুক ভাই বলল সব কাজ শুধু আমাকে বলিস বাকি সবাই বসে আছে তাদেরকে বলতে পারিস না। তারপর হঠাৎ করে কারেন্ট চলে আসলো। তারপর রাফসান ফারুককে চেয়ার থেকে সরিয়ে সাথীদেরকে চেয়ারে বসতে দিল।
তারপর সবাই মিলে আলিফ লায়লা দেখা শুরু করল। কিছুক্ষণ পরে তামিম রাজুকে বলল তোর বোনকে নিয়ে আলিফ লায়লা দেখতে যা আজকে আর পড়াবো না। কিন্তু তানিশা রাগ করে বসে আছে বলতেছে আলিফ লায়লা দেখতে যাবে না। তখন তামিম বলল ঠিক আছে তাহলে চল রাজু আবার পড়তে বস। কিন্তু রাজু তখন বলল চল না আপু কেন রাগ করতেছি। তখন তানিশা বলল যখন যেতে চাইলাম তখন যেতে দিল না আমি আর যাব না। তারপর তামিম রাজুকে নিয়ে আবার পড়াতে চলে গেল। যখন আলিফ লায়লা বলে টিভির মধ্যে আওয়াজ দিল তখনই তানিশা রাজু হাত টেনে নিয়ে আলিফ লায়লা দেখতে চলে গেল।
তারপর ওখানে গিয়ে ওরাও আলিফ লায়লা দেখতে বসে পরলো। কিন্তু কারেন্ট আসার কারণে শাকিব তার এক বন্ধুকে বলল ব্যাটারি দোকানদারকে ফিরিয়ে দিয়ে দশ টাকা নিয়ে চলে আসতো। কারণ তারা ভেবেছিল কারণ হয়তো আর যাবে না। কিন্তু আলিফ লায়লা কিছুক্ষণ দেখার পরেই আবার হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল। তখন সবাই চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করল বলতেছিল ব্যাটারি লাগানোর জন্য। তখন তারা বলল ব্যাটারি তো আমরা ফেরত দিয়ে চলে আসলাম। ভেবেছিলাম কারেন্ট আর যাবে না। তারপর সিন চলে গেল সাথীর বাবাদের জমিতে চেয়ারম্যানের লোকেরা খুঁটি লাগাচ্ছিল।
তারপর হঠাৎ শান্তির বাবা দেখতে পেরে দূরে এসে তাদেরকে বলল এটা আমার জমি তোমরা কেন খুঁটি লাগাচ্ছ। তারপর চেয়ারম্যানের লোক গুলো বলতেছিল চেয়ারম্যানের বাবা জমিদার ছিল তাই এই গ্রামের সকল জমি তাদের। তারপর কথা কাটাকাটির একপাশে চেয়ারম্যানের লোকেরা সাথীর বাবাকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দিল। তখন একজন লোক হঠাৎ দেখতে পেরে দূরে গিয়ে সাথীদের কে ডেকে নিয়ে আসলো। তারপর সাথী ও সেই লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে জমিতে ফেলে দিল। তখন চেয়ারম্যানের লোক বলতেছিল তোরা দ্বারা জমিদার বাবুরা আসতেছে তোদের খবর আছে।
তারপর চেয়ারম্যানের ছোট আর বড় ছেলে ওখানে গাড়ি করে এসেছে। তারপর চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে হঠাৎ বলল আমার জুতায় কাদা লেগে গেল কেউ কি নেই আমার জুতা পরিষ্কার করার জন্য। তখন সাথীর জেঠু বলল উনি পরিষ্কার করে দেবে। কিন্তু চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে বলতেছে আমার জুতো সাথীর বাবা পরিষ্কার করে দেবে। তারপর সাথীর বাবা চেয়ারম্যানের ছোট ছেলের জুতা পরিষ্কার করে দিতে লাগলো। যখন সাথীর বাবা বড় ছেলের জুতা পরিষ্কার করতে গেল তখন ও বলল আমার জুতো পরিষ্কার করতে হবে না কি হয়েছে বলুন।
তখন সাথীর বাবা কি কি হয়েছে তা বলতে লাগলো ওর হাত ধরে। কিন্তু চেয়ারম্যানের বড় ছেলে তখন সাথীর বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপর সাথী এসে চেয়ারম্যানের ছেলেদের শার্টের কলার ধরে বলল তোমরা কেন আমার বাবাকে ধাক্কা দিলে। তখন চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে সাথে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলল ছোটলোকের বাচ্চা তোরা কেন আমার ভাইয়ের কলার ধরতেছিস। এপর্যন্তই আজকের পর্ব ছিল। তাই ভাবতেছি পরবর্তীতে আবার অন্য কোনদিন পরের পর্ব নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হব। আশা করি সবাই ভাল থাকবেন।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। এমনিতে আমি সুযোগ পেলে এই নাটকগুলো দেখে থাকি। আমার কাছে বিশেষ করে নাটকের মধ্যে পুরো একটি টিম থাকার কারণে নাটকটি দেখতে ভালো লেগেছে। নাটকের কাহিনীটা একটু কঠোর ছিল কিছু কিছু জায়গায়। কারন আগেকার জমিদার কেমন ছিল আমরা জানি না কিন্তু শুনেছি তারাও এরকম মানুষের উপর অত্যাচার করত। এই নাটকের মধ্যেও চেয়ারম্যানের ছেলেরা কৃষকদের উপরে অনেক অত্যাচার করতেছে। এই বিষয়টা একটু খারাপ লাগলো। তাও চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে নাটকটি দেখে নাটকের প্রথম পর্বটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার কাছে ভালই লাগলো নাটকটি দেখে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকটি আমি দেখিনি। তবে নাটক টি পরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নাটকের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার করার নাটকের রিভিউ প্রথম পর্ব পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য শুনে আমি নিজেও অনেক উৎসাহিত হলাম আপু।
মিরাজদের নাটক দেখতে বেশ ভালো লাগে। তারা খুব সুন্দর ভাবে অভিনয় করে থাকে। আর নতুন প্রজন্মের নাটক গুলো আমাদের মত অনেকেই পছন্দ করে থাকে। সুন্দর একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর ছিল আপনার রিভিউ করা।
ঠিক বলেছেন এখনকার সময় এরাও বেশ ভালো অভিনয় করতেছে। অনেকেই এদের নাটক গুলো দেখে থাকে। আপনার মন্তব্য পড়ে আরো ভালো লাগলো।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1748213243368358026?t=XuPfTkjti9CR8KJMv2_HXg&s=19
নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকের রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকের প্রথম পর্বটা আমিও দেখেছিলাম। নাটকটিতে আসলে অনেক বছর আগের কাহিনী তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আগের মানুষগুলোকে দেখা যেত আলিফ লায়লা দেখার জন্য গ্রামের সবাই একটা টিভি নিয়ে বসতো। তেমন কাহিনী গুলো এই নাটকেও দেখা গেছে। নাটকটি আমার কাছে খুবই দারুণ লেগেছে। আমাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আগেকার দিনে এরকম সিন গুলো আমরা প্রায় দেখে থাকতাম। এখনকার সময় একেবারেই দেখা যায় না। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক উৎসাহিত হলাম।
নাইনটিজ পোলাপাইন নাটকটির ট্রেইলার ভিডিও দেখেছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য নাটকটি এখনো পর্যন্ত দেখতে পারিনি। তবে দেখছি এই নাটকটি অনেক বছর আগের কাহিনী সাজানো হয়েছে। কোন এক সময় আমরাও কিন্তু আলিফ লায়লা দেখতে খুবই পছন্দ করতাম । এই বিষয়টাই মূলত নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। ভাবছি এই নাটকটা সময় পেলে অবশ্যই দেখে নেব।
ঠিক বলেছেন ছোটবেলা আমরাও টিভির মধ্যে আলিফ লায়লা দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতাম। এই নাটকটি দেখার পরে আমার নিজেরও আলিফ লায়লা দেখার কথা মনে পড়ল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।