দুই বন্ধুর মাঝে ফাটল।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।

IMG_20221004_212048.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করব। আমার স্বামীর কলেজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার কথা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার স্বামীর মুখ থেকে ঘটনাটা আমি শুনলাম। ছেলেটির নাম ছিল রফিক। ওর স্কুল জীবনে এক বন্ধু ছিল তার নাম ছিল আকাশ। দুইজন খুব ভালো বন্ধু ছিল যেদিক যেতো একসাথে এদিক ওদিক চলাফেরা করতেন। দুই বন্ধু একসাথে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রফিক এসএসসি পরীক্ষা পাস করলেন। তার বন্ধু আকাশ পরীক্ষায় ফেল করলেন। এরপর রফিক কলেজ জীবন শুরু হয়ে গেলো। আকাশ আর পড়ালেখা করলেন না তার পড়ালেখা সে বন্ধ করে দিলেন ।

তারপর আকাশের মা-বাবা চিন্তা করতে লাগলেন। আকাশ এখন পড়ালেখা করতেছে না, তাকে বাহিরে কোথাও পাঠিয়ে দিবেন। রফিক এবং আকাশ দুজন এত ভালো বন্ধু একসাথে খায় একসাথে ঘুমায়। এরপর আকাশের মা-বাবা আকাশকে চিন্তা করল আফ্রিকা পাঠিয়ে দিবেন। এরপর কয় মাস পর আকাশকে আফ্রিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং আকাশের বাড়িতে তার বাবাও বাইরে ছিলেন মাঝেমধ্যে কিছু দিনের জন্য দেশে আসতেন।

এমতাঅবস্থায় রফিক তাদের বাড়িতে সব দেখাশুনা করে এবং তাদের বাজার খরচ সবকিছুই করে দিতেন। আকাশের একটি ছোট বোন ছিল। রফিক যখন কলেজ ইন্টার এ ছাত্র ছিল। আকাশের বোন তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রথম অবস্থায় তারা দুইজন ভালো সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির নাম ছিল লিপি। মেয়েটি রফিককে বড় ভাইয়ের মতো সম্মান করে এবং রফিক তাকে ছোট বোনের চোখে দেখেন।

মাঝেমধ্যে রফিক স্কুলে যেতে তার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতেন। এদের মাঝে আকাশ মাঝেমধ্যে রফিককে ফোন করে তাদের ফ্যামিলির সব খোঁজখবর নেই। রফিক সবসময় তার বন্ধুদের বাড়িতে যেতেন। এভাবে কিছু মাস যেতে না যেতে। রফিকের সাথে লিপির প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেলো। কিছুদিন তাদের এরকম সম্পর্ক যেতে লাগলেন প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত। একসময় আকাশের ফ্যামিলি ও রফিকের ফ্যামিলি সবাই জানতে পারলেন ঘটনাটি।

আকাশের মা আকাশকে ঘটনাটি বলে। আকাশ রফিকে ঘটনাটি জিজ্ঞেস করলেন এবং বললেন আমার বোন মানে তোর বোন। রফিক কোনমতে ঘটনাটি স্বীকার করে নাই। এরপর আরো কিছুদিন যেতে লাগলো তাদের সম্পর্ক টি। এক সময় লিপির আম্মা রফিককে সামনে থেকে জিজ্ঞেস করল। রফিক ব্যাপারটি স্বীকার করলেন লিপির মাও বাবার কাছে। লিপি তার মায়ের কাছে ঘটনাটি স্বীকার করলেন।

এরপর রফিক এর ফ্যামিলির লোকজন এবং লিপির ফ্যামিলির লোকজন একজনের বাড়িতে একজন আসতেন এবং কোন অনুষ্ঠান হলে খুব সুন্দর করে যেতেন। তাদের দুই ফ্যামিলির অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠলেন। লিপির মা এবং বাবা দুইজনের সম্পর্কটা ভালো চোখে দেখলেন। শুধু আকাশ সম্পর্কটা মানতে রাজি হচ্ছে না। অনেকদিন ধরে রফিক ও আকাশের সাথে তেমন কথা আর হয় না মোবাইলে। এরপর কিছুদিন পর আকাশ সম্পর্কটা মেনে নিলেন। কিছুদূর যেতে না যেতে হঠাৎ লিপির জন্য অনেক বড় একটি সম্বন্ধ আসলো বিয়ের জন্য।

এর পর লিপির মা ওখানে বিয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা শুরু করে দিলেন। এবং লিপির মা-বাবার ওই ছেলেটি পছন্দ হলো কারণ ছেলেটি বিদেশ থাকে তার অনেক পয়সা আছে। লিপিকে বুঝিয়েসুঝিয়ে রাজি করে ফেললেন। এরপর লিপির ওইখানে বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো এবং দিন তারিখ ঠিক করে ফেললেন। এমন সময় রফিক ব্যাপারটি জেনে লিপির বাড়িতে গেলেন। লিপির মাকে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বললেন এবং খুব কান্নাকাটি করে বললেন রফিক লিপিকে না পেলে সে মারা যাবে। লিপির আম্মা কোনমতে রাজি হচ্ছে না এবং রফিককে বলতে লাগলেন তুমি আমার মেয়ের যোগ্য না।

এ অবস্থায় রফিক তাকে বললেন আমাকে তো কখনো আগে এ কথা বলেন নাই। লিপির আম্মা তাকে বললেন রফিক নামে একটা ছেলে আমাদের কাজের ছেলের মত আছে। এই শুনে রফিক তাদের একটি টিভি ছিল তা ভেঙে ফেললেন। এরপর লিপির মা বাড়িতে কয়জনকে ডেকে রফিককে এনে গায়ে হাত তুললেন। রফিক ব্যাপারটি মেনে নিতে না পেরে এরপর অন্য কিছু চিন্তা ভাবনা করতে লাগলেন। বাকি ঘটনাটি ইনশাআল্লাহ পরের পর্বে শেয়ার করব।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago 

আপু আপনার গল্পটা পড়ে প্রথম দিকে অনেক ভালো লেগেছে। আকাশ ও রফিক যেতেতু ভালো বন্ধু, আকাশ যেহেতু পড়াশোনা করে না তাই ওর বাবা মা ওকে আফ্রিকা পাঠিয়ে দিল।রফিক আকাশের বাড়িতে দেখাশোনা করতো ও বাজার পযন্ত করতো।আকাশের বোন লিপির সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাই দুই পরিবার ব্যাপারটা জানে, দুই পরিবারে মধ্যে ভালো সম্পর্ক হয়েছে। তবে লিপির বাবা মার অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা উচিত হয়নি। রফিকের গায়ে যেহেতু হাত তুলেছে রফিক কেনো অন্য যেকেউ হলো এধরনের চিন্তা করত।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

 2 years ago (edited)

আসলে দুনিয়া এটাই এমন। যেটি আপনার হাতে আছে তার চেয়ে ভালো পেলে ওই দিকে অনেকই ঝুঁকি দেয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

কি থেকে কি হয়ে গেল! দুজনই তো দুজনকে পছন্দ করে তাহলে মেনে নিতে প্রবলেম কোথায়! আবার বাইরের লোকজনকে দিয়ে মারধর করানো এটা কেমন ধরনের! লেখাটা পড়ে কেমন একটা লাগলো আপু। যে একসময় সবকিছু দেখে শুনে রাখল আজকে সেই অপরাধী ! দেখা যাক এর পরের পর্বে কি অপেক্ষা করছে

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64373.04
ETH 2775.53
USDT 1.00
SBD 2.66