গল্প:- মানুষ আর কি খাবে।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আতা ফল নিয়ে দামাদামি। কালকে রাত্রেবেলা আমার হাজব্যান্ড নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গেলেন। মসজিদটি তাদের বাড়ির সামনে এবং বাড়ির পাশের দোকান আছে। সে মূলত নামাজ পড়ে দোকানে যাই এরপর ওখানে বসে চা প্রাণ করে বাড়িতে আসে। দোকানে যাওয়ার পর আমাকে মোবাইলে কল দিলো কি লাগবে। তখন আমি তাকে বললাম বাড়িতে পেঁয়াজ কম পারলে পেঁয়াজ আনতে। তখন আমাকে আবার জিজ্ঞেস করল খাওয়ার কোন জিনিস আনার দরকার।
আমি তখন তাকে বললাম তোমার মন যা চায় নিয়ে আসো। কিছুদিন আগে আমি বলেছিলাম অনেকদিন হলো আতা ফল খেলাম না। এই কারণে দোকানে যাওয়ার পর গাড়িতে পেঁয়াজ বিক্রেতার দুটো আতা ফল বিক্রি করতেছে। ওখান থেকে আমার হাজব্যান্ড একটি আতাফল কিনে নিল। আর পেঁয়াজ ও কিছু বিস্কুট কিনে আনলেন। এরপর সে আমাকে বলতেছে তোমার পছন্দের আতা ফল আমি কিনে এনেছি। সত্যি কথা আমি আতা ফল কত দিয়ে কিনে আনলো জিজ্ঞেস করলাম না। আতা ফল দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
পরের দিন সকাল বেলা আমি তাকে মাদ্রাসা যাওয়ার আগে জিজ্ঞেস করলাম আতা ফল কোথায় থেকে আনলে। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতেছে দোকান থেকে কালকে রাত্রে কিনে আনলাম। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আতা ফল কত টাকা। সে আমাকে বলল এই আতা ফল ২০০ টাকা দিয়ে কিনে আনলো। আমি প্রথমে বিশ্বাস করি নাই হয়তোবা সে আমার সাথে দুষ্টামি করতেছে। এরপর আবার জিজ্ঞেস করলাম আতাফল কয় টাকা। সে বললো এই আতাফল ২০০ টাকা।
আমি সাথে সাথে রেগে গিয়ে বললাম তুমি দুষ্টামি করার একটা সীমা আছে। সে আবারও বলতেছে আমি দুষ্টামি করতেছি না এই আতাফল এর দাম ২০০ টাকা। সত্যি বলতে আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম ছোট্ট একটা আতা ফল দুশো টাকা। সে বলতেছে আমি এই আতা ফল দর দাম করে এনেছি। সে আমার কাছে এই আতা ফল ২৫০ টাকা চাইলো। তবে আমি তাকে ২০০ টাকা দিলাম এই আতা ফলের দাম। সত্যি আতা ফলের দাম শুনে আমি আর কিছু বলার নেই।
কারণ আমাদের ওই দিকে আমাদের যখন আতা ফল গাছ ছিল আমরা এমনিতে দিয়েছি মানুষকে খাওয়ার জন্য। আর আমার হাজবেন্ডের বাড়িতে আতা ফল গাছ নেই সেই দোকান থেকে এত দাম নিয়ে আতা ফল এনেছে শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। এবং আমার শাশুড়ি বলতেছে এখন সবকিছু স্বর্ণের দামে বিক্রি হয়। আসলে আমার শাশুড়ির কথাই বাস্তব সবকিছু আসলে স্বর্ণের দামি বিক্রি হচ্ছে। সত্যি মানুষ আর কি খাবে। সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছড়া। মানুষের চলাটাই এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাই হোক আমার আতা ফল খাওয়ার শখ মিটে গেল। এই হচ্ছে বাস্তব কাহিনী। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনার অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1768273042504134959?t=XbvcENttsgqoYVawa_Ujvw&s=19
হুমমম আপু কি বলেন একটা আতা ফল ২০০ টাকা আমার তো মাথা ব্যথা শুরু করে দিলেন ৷ আমাদের এই দিকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নিবে ৷ যা হোক আসলে বর্তমান সময়ে যে যেমন পারছে দাম নিচ্ছে ৷ যা হোক কিছু করার বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম আকাশ চুম্পি ৷
হ্যাঁ ভাইয়া একটা আতা ফল ২০০ টাকা নিয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু শুধু আতাফল নয় সব কিছুই এখন স্বপ্নের দামের দাম। তবে একটা আতাফল ২০০ টাকা সত্যি অনেক দাম। যাইহোক আপু আপনি খাবেন তাই হয়তো ভাইয়া এনেছে। যাইহোক সব কিছু আমাদের এভাবে খেতে হবে সোনার বাংলাদেশে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা এভাবেই খেতে হবে। সত্যি আতা ফলের দাম শুনে আমি নিজেও হতবাক হয়ে গেলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রতিটা জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেশি। আতাফলের দাম ২০০ টাকা এটা আমাকে অবাক না নির্বাক করেছে। আমাদের এলাকায় আতাফলের গাছ আছে। সত্যি বলতে এটা খুব একটা বাজারে বিক্রিও হতে দেখা যায় না। কিন্তু দাম এতো বেশি যেটা আমাকে অবাক করেছে। তবে আপনার স্বামীর ব্যাপার টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনি খেতে চেয়েছেন সেজন্য সে বেশি জেনেও নিয়ে এসেছে সেটা।
আসলে ভাই কোন কিছু যদি বলি আনার জন্য সাথে সাথে সে নিয়ে আসে। অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা আপনার পোস্ট পড়ে মোটামুটি কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম। একটা আতা ফল এর দাম ২০০ টাকাতে পৌঁছে গেছে, তাহলে আর কিছু বলার নেই। আমরা তো ছোটবেলায় একটা আতা ফল ৫ টাকা দিয়ে কিনে খেতাম। এখন সেটা কত গুনে বেড়েছে, সেটাই আমি শুধু চিন্তা করছি! আপনার হাসবেন্ড তো কিনে এনেছে আপু, আমি হলে তো ওইখানে হার্ট ফেল করে পড়ে যেতাম।🤭
হ্যাঁ সবকিছু এখন দাম অনেকগুণ বেড়ে গেছে। ভাইয়া হার্ট ফেল করার কিছু নেই। আমরা এভাবে খেতে হবে। আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু! বরই, আতা কিংবা চালতা জাতীয় ফলগুলো গ্রামে সবাইকে এমনি এমনিই দিয়ে দেয়া হতো। অথচ সেই দেশি ফলগুলোই এখন আসলেই যেন স্বর্ণের দামে বিক্রি হচ্ছে! খুবই খারাপ বিষয়। সবকিছুই যদি এভাবে দাম বাড়তে থাকে, মানুষ কিছুই খেয়ে শান্তি পাবে না। খাবে আর ভাববে এত টাকা দিয়ে এই খাবার কিনে খেতে হচ্ছে!! আর বেশিরভাগ মানুষ তো কিনতেই পারবে না তাদের চাহিদামতো জিনিস।
হ্যাঁ আপু এখন বেশিরভাগ মানুষই কোন জিনিস কিনতে পারে না কারণ চিন্তা ভাবনা করে। আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।