গল্প:-অতিরিক্ত রাগ কখনো ভালো না।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

hot-pepper-98945_1280.jpg

আজকে আমি শেয়ার করব অতিরিক্ত জিৎ কখনো ভালো না। এই বাস্তব কথাটি আমি শুনেছিলাম আমার শাশুড়ির মুখ থেকে। আমার শ্বশুর বাড়িতে একটি ফ্যামিলি আছে। তারা বাড়ির এক পাশে অনেক বড় একটি নতুন বাড়ি করে রইল। যদিও ওই বাড়িতে দেখাশোনা করার জন্য বাইরে একজন লোক থাকে। কারণ বাড়ির ফ্যামিলির সম্পূর্ণ পরিবার অ্যামেরিকায় থাকে। তাদের একটি বড় মেয়ে ছিল। যদিও ওই সময় মেয়েটির বিয়ে হয়নি। এবং মেয়েটি ছিল অনেকটাই রাগী। মেয়েটির নাম ছিল রুমানা। মেয়েটি দেখতেও খুব সুন্দর ছিল। এবং রুমানাকে তার পরিবার অনেক আদর করতো। বলতে গেলে মা-বাবা দুইজনের কলিজার টুকরা ছিল রুমানা।

ওই সময় রুমানা ক্লাস নাইনে পড়তো। এবং বাড়ির সবাই রুমানাকে খুব আদর করত। এবং রুমানার মা-বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। একদিন রাত্রে বেলা রুমানার মা ঘরে কাজ করতেছে। হঠাৎ করে রুমানাকে আওয়াজ দিল একটু হেল্প করার জন্য। রুমানা তার মায়ের কথা শুনে নাই। এরপর রুমানার মা তাকে ডাক দিলেন। তুমি পরিবারের বড় তুমি যদি কথা না শুনো তাহলে কিভাবে হবে। এর কিছুদিন পর রুমানার মা কাজ করতেছে। এমন সময় কি যেন জিনিস রুমানার হাতে দিল তার মা।

রুমানা জিনিসটি ফেলে ভেঙে দিয়েছে। সাথে সাথে রুমানার মা তাকে একটি থাপ্পড় মেরেছে। মা হিসাবে রুমানাকে তার মা শাসন করেছে। এরপর রুমানা বলতেছে আমি এই জীবন রাখবো না। হয়তো রুমানার মা চিন্তা করলো গরম মাথা এ কথা বলেছে। রাত্রে বেলা বাসার ছাদের উপর দিয়ে গিয়ে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও তার মা মনে করলো সেই ঘরের মধ্যে আছে। সকালবেলা অন্য এক লোক দেখতে পেলেন রুমানা গাছের মধ্যে ঝুলিয়ে আছে।

মুহূর্তের মধ্যে মহিলাটা অনেক জোরে চিৎকার করলো আশে পাশে মানুষ সবাই গিয়ে জোড় হল। সবাই দেখতেছে রুমানা কাছের মধ্যে ঝুলিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নামিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। যদিও প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তার আসলো। গ্রাম্য ডাক্তার বলতেছে সে মারা গেল। তারপরও তাদের মন বুঝতেছে না এই কারণে তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল। নেওয়ার পর ডাক্তার বলতেছে সে মারা গেছে অনেক আগে। এরপর গলায় দাগ দেখে ডাক্তার বলতেছে সে আত্মহত্যা করেছে।

তারপর তার লাশ নিয়ে সবাই বাড়িতে চলে আসলো। এটা নিয়ে আরো অনেক ঝামেলা হতে লাগলো। থানা পুলিশ নিয়ে আরো ঝামেলায় পরলো পরিবার। অনেক দৌড়াদৌড়ির পর তাকে বিকেলবেলা নিয়ে এসে বাড়িতে দাফন করলো। আসলে সুখের পরিবারে হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসলো। কারণ রুমানা পরিবারের বড় ছিল। ওই সময় তাদের পরিবারের সবাই দেশে থাকতেন। এরপর তার পরিবারের সবাই আমেরিকায় চলে গেল। আসলে অতিরিক্ত জিতের কারণে রুমানা তার জীবন নষ্ট করেছে। বলতে গেলে রুমানা নাকি অতিরিক্ত যে কোন ব্যাপারে জিদ করতেন। তবে এখনো নাকি রুমানার মা বাড়িতে আসলে রুমানার জন্য অনেক কান্নাকাটি করে। আজকে এটাই ছিল বাস্তব একটি গল্প। আশা করি এই গল্পটি পড়ে আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 months ago 

আসলে আপনি ঠিক বলেছেন যে অতিরিক্ত জেদ কখনো ভালো না। কারণ মানুষ অতিরিক্ত জেদের ফলে বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্মকান্ড করে ফেলে। আসলে মায়ের এই সামান্য বকুনিতে মেয়েটি যে কর্মকাণ্ড করেছে তা মোটেও ঠিক ছিল না। আসলে এখানে আমার কিছু বলার নেই। আসলে মা এখানে নিজেকে হয়তোবা সারাজীবন দোষী মনে করবে। আসলে আপু আপনার পোস্টটিতে দাড়ির ভুল রয়েছে অনেক জায়গায়। অর্থাৎ কোথায় দাড়ি বসবে এবং কোথায় কমা বসবে এই ভুলটা অনেক জায়গাতেই রয়েছে। এছাড়াও কিছু বানানেরও ভুল হয়েছে। আসলে কষ্ট না নিয়ে আপনি পরবর্তীতে হয়তোবা এই ভুলগুলো সংশোধন করে আরো নতুন নতুন পোস্ট আমাদের মাঝে নিয়ে আসবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

ভাইয়া আমি ভুলগুলো ঠিক করে নিয়েছি। যাইহোক আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।

 2 months ago 

আসলে বাবা মার উপর যারা জিদ করে গলায় ফাঁস দেয় তারা মরে যাওয়াই ভালো, তারা বেঁচে থাকলে জ্বালিয়ে যাবে। হয়তো অতি সহজে কথাটা বলে ফেললাম তবে কথাটা কষ্টের হলেও এটাই সত্যি। কারণ তাদের যদি সেই জ্ঞান থাকতো তারা ভাবতো, একদম জন্মের পূর্বে থেকে তিলে তিলে একটা মা কত কষ্ট করে মানুষ করতে থাকে। আর সামান্য একটু জিদে এমন রাগ করে বসবে তা তো বেঁচে থাকারই অধিকার নেই।

 2 months ago 

আসলে মরে গেলে কোন সমাধান নেই। তবে মা বাবা সব সময় আফসোস করে। অসাধারণ মন্তব্য করেছেন আপনি।

অতিরিক্ত রাগ কিংবা জেদ কখনোই কারো সুফল বয়ে আনতে পারে না। বরং পারে তাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিতে। যারা রাগ কিংবা অভিমানকে কন্ট্রোল করতে পারে, তারা কখনো রোমানার মত এমন বুদ্ধিহীন কাজ করতে যাবে না। রুমানার রাগ কিংবা জেদ কন্ট্রোলের বাইরে ছিল, তাই মায়ের উপরে রাগ করে এমন নির্বুদ্ধিতার কাজ করে ফেলেছিল। মা মেয়েকে শাসন করতেই পারে, আর তার জন্য এত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নেয়াটা রোমানার কিছুতেই উচিত হয়নি। সারা জীবন হয়তো রোমানার মা নিজেকে অপরাধী মনে করবে। যাইহোক আপু, রুমানার পরিবার যেন রোমানার শোক ভুলে গিয়ে, সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে এই প্রত্যাশা করছি।

 2 months ago 

এটি একদম ঠিক বলেছেন অতিরিক্ত রাগ কিংবা জেদ কখনো কারো সুফল ভয়ে আনতে পারেনা। তবে কিছু কিছু ভুলের কারণে সারা জীবন কাঁদতে হয়।

 2 months ago 

আপু আপনার শাশুড়ি ঠিকই বলেছেন। অতিরিক্ত রাগ কিংবা জেদ কোন কিছুই ভালো না। আমাদের জীবন ধ্বংস করার কারণ। আমাদের সবাইকেই রাগ কন্ট্রোল করা উচিত। নিজের রাগ কন্ট্রোল করলেই ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো। দারুন লিখেছেন আপু।

 2 months ago 

হ্যাঁ নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলে অনেক কিছু অর্জন করতে পারবে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।

 2 months ago 

এখনকার সময়ে ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি সেনসিটিভ। এদের কিছু বলাই যায় না। আগেকার দিনে বাবা মায়েরা সন্তানকে কত শাসন করেছে তখন এরকম ঘটনা শোনাই যেত না। রোমানার মা সামান্য একটা থাপ্পড় দেওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করে বসলো। খুব খারাপ লাগলো জেনে। তার মায়ের অবস্থা কি রকম হয়েছিল তাই চিন্তা করছি।

 2 months ago 

আপু মা-বাবা ছেলেমেয়েদেরকে শাসন করবে এটি স্বাভাবিক। তবে পরিস্থিতি অনেক কিছু বদলে গেলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আমাদের সবার মা বাবাই আসলে আমাদের অনেক বেশি কথা বলে কিংবা বকাবকি করে। তাই বলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে, এটা তো একেবারেই ঠিক নয়। আপনি এখানে যে মেয়ের কথাটা বললেন, সে রাগী ছিল এটা আমি মেনে নিলাম। তবে আত্মহত্যা করতে হবে কেনো😥! সে হয়তো রাগের বশবর্তী হয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে, এইটুকু সে করতেই পারে। তবে নিজের জীবন দিয়ে দেওয়ার মত বোকামি যে করে, তার জন্য কিছু বলার আর ভাষা নেই আমার।

 2 months ago 

খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। একদমই বাস্তবিক কিছু কথা আপনার পোস্টের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে রাগ মানুষের জীবনকে সবসময় ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়৷ অতিরিক্ত রাগ হলে সেই মানুষের জীবন একেবারে তছনছ হয়ে যায়৷ আমাদেরকে অনেক সময় অনেক মানুষ অনেক ধরনের কথা বলে তবে আমাদেরকে সেই কথার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে৷ তবে সেই কথাকে কখনোই রাগের পরিণতি হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত নয়৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 67475.08
ETH 3475.54
USDT 1.00
SBD 2.65