সুস্বাদু কুঁচো চিংড়ির রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি গুলো আপনাদের মাঝে নিয়ে তুলে ধরার জন্য। তাই আজকে কুঁচো চিংড়ির রেসিপিটি তৈরি করার চেষ্টা করলাম। এই চিংড়িগুলো একেবারে ছোট ছোট থাকার কারণে অনেকেরই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ এই কুঁচো চিংড়িগুলোর মধ্যে তেমন একটা কাটা থাকে না। তাই আমারও এই কুঁচো চিংড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজের করা রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হচ্ছে। তাই সব সময় ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে খেতে যেমন নিজেরও ভালো লাগে না। তেমনি একই রকম রেসিপি দেখতেও ভালো লাগেনা। তাই আজকে আমি এই রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করলাম। শীতকালের সময় এই কুঁচো চিংড়ি গুলো অনেক পাওয়া যায়। খেতেও ভীষণ ভালো লাগে।
তাই নিজেই আজকে প্রথমবার কুঁচো চিংড়ি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো রেসিপিটি পুরোপুরি সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারবোনা। কিন্তু চেষ্টা করার পরে পুরো রেসিপিটি সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারলাম। কুঁচো চিংড়ি খেতেও ভীষণ ভালো লাগলো। আমার তো এরকম রেসিপিগুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সবারও খুবই পছন্দ হবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কুঁচো চিংড়ি | ৫ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
মরিচ গুঁড়ো | ৩ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১.৫ চা চামচ |
ধনেপাতা | স্বাদমতো |
কাঁচামরিচ | ৩-৪ টা |
রসুন | ২ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি কুঁচো চিংড়ি গুলোকে একটি ডালায় নিয়ে ভালোভাবে বেছে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর একটি পাতিল চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম। এরপর তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিয়ে গুড়ো মরিচ, গুঁড়ো হলুদ, রসুন এবং লবণ তারপরে যাবতীয় মসলা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর সেগুলো ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নেওয়ার পর কুচো চিংড়ি মাছগুলো পাতিলে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর কিছুক্ষণ পরে চিংড়ি মাছগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর পরিমাণ মতো পানি নিয়ে পানি দিয়ে দিলাম। এরপর আবার ভালোভাবে নেটে ছেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপরে কয়েকটি ধনিয়া পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটে দিয়ে দিলাম। তারপরে ভালোভাবে নেটে ছেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর চুলায় বেশ কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। তারপরে ডেকোরেশনের জন্য অন্য একটি পাতিলে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এইভাবে পুরো রান্না করা রেসিপিটি শেষ করে নিলাম। আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপনি চমৎকার কুঁচো চিংড়ির রেসিপি করেছেন। এই কুঁচো চিংড়ি গুলো এভাবে রান্না করে ধনিয়া পাতা দিলে খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ধনিয়া পাতা দিলে রান্না করা রেসিপিগুলো খেতে আরো ভীষণ ভালো লাগে
https://twitter.com/bdwomen2/status/1613866568630566913?t=EmwOLnX_7xYNKScT1vFdkQ&s=19
কুঁচো চিংড়ি হোক আর বড় চিংড়ি মাছ হোক চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। চিংড়ি মাছ যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে গোপনীয় লাগছে। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু শেয়ার করার জন্য ।
ঠিক বলেছেন কুঁচো চিংড়ি হোক বা চিংড়ি মাছ হোক সেটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমারও।
সত্যি বলেছেন আপু একই ধরনের রেসিপি খেতে যেমন ভালো লাগে না দেখতেও তেমন ভালো লাগে না।আপনার
সুস্বাদু কুঁচো চিংড়ি রেসিপি চমৎকার হয়েছে। এধরণের রেসিপি দেখলে আসলে খেতে মন চায় আপু।আর শীতে তরকারিতে ধনে পাতা দিলে স্বাদ আরো অনেক বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার তো এইসব ধরনের রেসিপিগুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
আপু আপনি অনেকগুলো ছোট ছোট চিংড়ি মাছগুলো একত্রিত খুবই সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। এভাবে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।যদিও এলার্জিজনিত কারণে আমি চিংড়ি মাছ খাই না। কিন্তু আপনার রান্না দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রান্নাটি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার রান্নাটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আপনার রান্নাটি আমাদেরকে দেখিয়েছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন শীতকালে এরকম রেসিপি গুলো তৈরি করে খেতে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব উৎসাহিত হলাম
কুঁচো চিংড়ির রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এরকম ছোট ছোট কুঁচো চিংড়িগুলো আমাদের এখানেও প্রচুর পাওয়া যায়। আর এই কুঁচো চিংড়ি আমার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি প্রতিনিয়ত এমনিতেই অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিয়ে থাকেন। আপনার রান্না গুলো যেমন খেতে সুস্বাদু হয় রেসিপি গুলো দেখতেও অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে আপনার এই রেসিপি গুলো দেখতে। আজকেও দারুণ রেসিপি শেয়ার করলেন আমাদের মাঝে।
ঠিক বলেছেন দেশিভিটি দেখে আসলেই বোঝার খুবই মুশকিল যে এগুলা কুঁচো চিংড়ি।
রেসিপিটি তৈরি করার পরে খেতে ভীষণ ভালো লাগলো
কুঁচো চিংড়ির রেসিপিটি দারুন হয়েছে আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো আপনার নিজের কাছেই ভালো লেগছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইলো আপু।
চেষ্টা করি আপনাদের সবার মাঝে সুন্দর রেসিপি তৈরি করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
সুস্বাদু কুঁচো চিংড়ির রেসিপি খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুবই খুবই ভালো লাগলো
কুঁচো চিংড়ি দিয়ে যে কোন রেসিপিই মজাদার। আপনার রেসিপি নতুন জামাই যারা নিশ্চিত ভজে যাবে।আপনার রেসিপির কালার অনেক সুন্দর হয়েছে। গরম ভাতের সাথে রেসিপি হলে আর কিছু চাই না।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি গরম ভাতের সাথে এইসব রেসিপিগুলো খেতে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগে।
এগ ধরনের চিংড়ি মাছগুলো খেতে সব থেকে বেশি সুস্বাদু হয়। আর যদি এগুলো ধনিয়া পাতার সমন্বয়ে রান্না করা যায় তাহলে তো কোন কথায় থাকে না। অনেকদিন পর এই ধরনের কুচো চিংড়ির রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত মূলক মন্তব্যের জন্য।