গল্প :-মরে গেলে সব কিছুই এক নিমিষেই শেষ।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি জীবন কাহিনী। আমার শ্বশুর বাড়িতে একটি লোক ছিল নাম তার মোস্তফা। বিগত কয়েকদিন আগে তিনি মারা গেলেন। তবে এই লোকটি অনেক বুদ্ধিমান ছিল। যদিও তার বাবার সম্পত্তি অনেক ছিল এবং চাচার সম্পত্তি ও অনেক ছিল। তবে লোকটি লেখাপড়া করেছে এবং কাগজপত্র জায়গা জমি বুঝে। তবে তার কথাবার্তা খুব মিষ্টি অনেক সুন্দর করে কথা বলে সবার সাথে।
এবং এই লোকটি অনেক কৌশলে বাবার সম্পত্তি এবং চাচার সম্পত্তি তার নামে রেকর্ড করেছেন। যদিও রেকর্ড এর সম্পত্তি কখনো নিজের করতে পারে না। তবে একটা কথা আছে কাউকে দৌড়াতে হলে নিজেকেও দৌড়াতে হবে। তবে লোকটি কিভাবে বাবার চাচার সম্পত্তি তার নামে করেছেন। তবে লোকটি মারা যাওয়ার আগে সেই নিজে বলেছে জায়গা সম্পত্তি গুলো তার। তার বাবা থেকে সেই নিয়েছে। এই নিয়ে তার ভাইদের সাথে তার মোটামুটি অনেক ঝগড়া হইল।
এবং সবার সম্পত্তি সেই একাই ভোগ করলো। অথচ কিছুদিন আগে যখন সে মারা গেল তার এই সম্পত্তিগুলো কে দেখবে কে ভোগ করবে। এবং লোকটি মারা যাওয়ার পর মানুষ তার সুনাম সে দুর্নাম বেশি করতেছে। বলতেছে আজ সেই দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে এই সম্পত্তিগুলো নিয়ে যেতে পারে নাই। আপন ভাই ভাতিজার সম্পত্তির পর্যন্ত সেই নিজের করে নিলেন। তবে অনেকে বলতেছে রেকর্ড করা সম্পত্তি কখনো নিজের করতে পারে না।
তারপরও একটি কথাই হচ্ছে অন্যের জায়গা সম্পত্তি কেন নিজের নামে করবে। কেন বা মানুষকে পেরেশানি করবে। যে লোকদের সম্পত্তি নিজের নামে করেছে সেই লোকগুলো কত যে কষ্ট পেল। আর কাউকে মন থেকে আঘাত দিয়ে কখনো কেউ সুখী হতে পারে নাই। যদিও লোকটি মারা যাওয়ার সময় অনেকদিন কথা বলতে পারে নাই। আর এখন তার ছেলে দুটো বলতেছে জায়গা সম্পত্তিগুলো তার বাবার নামে। তারা কাউকে দেবে না। যদিও অনেকেই জোরে বলতেছে তাদের কাছে জায়গা দলিল আছে।
তারপরও তার দুই সন্তান বলতেছে সম্পত্তিগুলো তাদের। কিছুদিন আগে তার বড় ছেলের সাথে তাদের ফ্যামিলির লোক কথা বলেছেন। তাদের সম্পত্তিগুলো যেন ঠিকমতো বুঝিয়ে দিয়ে দেয়। নয়তো বা তারা আদালতে যাবে। এরপর তার বড় ছেলে বলতেছে যদি তাদের জায়গা সম্পর্কে দলিল নিয়ে যথার্থ প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে দিয়ে দেবে। এই কথা মোস্তফা ভাইয়ের ছেলে বলল। লোকটি মারা গেল ।তার সম্পত্তিগুলো কে দেখাশোনা করবে। তবে আমার মতে সবাই একদিন এই পৃথিবী থেকে চলে যাবে। তাই কাউকে কষ্ট না দাওয়াই উত্তম। আশা করি আমার পোষ্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1789606526279377159?t=-RoYJxcZ2xIDGOhOY2BFLQ&s=19
আসলে এই ঘটনা আমাদের সাধারন সমাজেও লক্ষ্য করা যায় । অনেক মানুষ রয়েছে যে অন্যায় ভাবে অন্য সম্পত্তি নিজের নামে রেকর্ড করে নেই যেটা সত্যি অনেক দুঃখজনক একটা বিষয়। মানুষ দুইদিন পৃথিবীতে বাঁচতে এসেছে তবে এর ভিতরে এমন ঘৃণ্য একটা কাজ করা কখনো উচিত নয়। গল্পটার মধ্যে অনেক শিক্ষা জড়িয়ে রয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে খুব চমৎকার একটা বিষয় সম্পর্কে লিখেছেন আপু। যদিও টাইটেল এ মরে গেলে সব এক নিমিষেই শেষ কিন্তু ভিতরে যে জমি সম্পর্কে আপনি লিখেছেন এটা সত্যি চিরন্তন। বর্তমান সময়ে নিজেদের মধ্যে জমি জামা নিয়ে বেশ ভোগান্তি হচ্ছে মানুষ। আর এই জমির জন্য মানুষ কেচ কাচারি এমনকি আদালত পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। তবে একটা বিষয় আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমরা এই আছি এই নেই। যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। সুতরাং আমাদের উচিত যেন আমাদের কাছ থেকে কেউ কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
তবে বর্তমান সময়ে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে অনেক জায়গাতে ঝগড়া হয়। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
আসলে আপু কিছু মানুষ মনে করে দুনিয়ায় সব, তারা কখনো মৃত্যুর কথা ভাবেনা।তারা তাদের শক্তির জোড়ে অন্যের সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা জানে না জায়গা সম্পদ সব থাকবে কিন্তু একদিন তারাই চলে যাবে। আমাদের সবারই উচিত মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
এটি একদম ঠিক বলেছেন আপু কিছু মানুষ মনে করে দুনিয়ায় সব। আর এই মানুষগুলো অতিরিক্ত লোভ করে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম যথার্থ কথা বলেছেন। পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু শেখা গেল।
আসলে কাউকে ঠকিয়ে সাময়িক সুখ হয়তো পাওয়া যায়, কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে সুখী হওয়া যায় না।
যে ব্যাক্তিটি চতুরতা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে বাকিদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করলো সে কিন্তু আখেরে কিছুই পেল না, বরং তা তার পরবর্তী জীবনের জন্য পথের কাঁটা হয়ে রইলো।
এ লেখাটি সবার জন্যই একটি বাস্তবসম্মত শিক্ষা হয়ে থাকবে আশা করি।
আপনি আমার পোস্টটি পড়ে অসাধারণ মন্তব্য করেছেন। সত্যি আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
মৃত্যু হলো সব সমস্যার সমাধান এবং এই মৃত্যুকেই আমরা ভুলে যাচ্ছি। আমরা মনে করি আমরা এই পৃথিবীতেই সারা জীবন বেঁচে থাকবো, তাইতো বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ি এবং অন্যদেরকে ধোঁকা দেই। এই বিষয়গুলো সত্যি অনেক খারাপ অনেক, চমৎকারভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
আপু অনেক মানুষ আছে মনে করে এই পৃথিবীতে সারা জীবন বেঁচে থাকবে। তারা মানুষকে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে। ভালো থাকবেন আপু।
যতক্ষণ বেঁচে আছেন ততক্ষণ আপনার অনেক বড় চাওয়া পাওয়া অধিকার আর সবকিছুই রয়েছে। আর যখনই আপনি মরে যাবেন তখনই আপনার সবকিছু দাফন হয়ে যাবে একদিন সে। আমার বলে কোন শব্দ আর থাকবে না। যাইহোক খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করেছেন দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো আমার। সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মরে গেলে সব শেষ কথাটি সত্যি ।কিন্তু তার কাজে কর্মে মানুষ কষ্ট পেয়েছে এই নিয়ে অনেক ধরনের কথা হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
প্রথম কথা হচ্ছে যে আপু, বাবার সম্পত্তি একা ভোগ করবো এই কনসেপ্টটাই তো খারাপ। আর যে লোকটা এই কাজ করেছে, সে অবশ্যই খারাপ মানুষ। সেটা না হলে সে কখনোই সব সম্পত্তি কৌশল করে একার নামে লিখে নিতে পারত না। এবার সে লোক মরে যাওয়ার পর পাড়া-প্রতিবেশী তো খারাপ কথা বলবেই তার নামে। জীবনে আসলে সৎ থাকা অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট। বেশি লোভ করলে সব শেষে গিয়ে এরকম অবস্থাই হয়।