বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতের শুরু থেকে শেষের সুন্দর মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। কারণ আমার কাছে যেমন একই ধরনের পোস্ট বারবার দেখতে ভালো লাগে না ঠিক তেমনি আপনাদেরও দেখতে ভালো লাগে না। তাই আমি সব সময় একেক রকম পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করি। সেজন্য আজকে আমাদের বাড়ির পাশের ছোট বাগানের কিছু ছবি আর কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। এই বাগানটি আমার খুবই প্রিয় একটি বাগান। আশা করি আপনাদেরও আমাদের বাগানের গল্পটি শুনে অনেক ভালো লাগবে।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি আর আমার হাজবেন্ড মিলে আমাদের বাড়ির পাশে খুবই ছোট্ট একটি সবজি বাগান করেছি। এই সবজি বাগানে আমরা অনেক ধরনের চারা গাছ লাগিয়েছি। আমরা চেষ্টা করলাম এই সবজি বাগানে কাঁচামরিচ গাছ, টমেটো গাছ, বেগুন গাছ লাগানোর জন্য। আরো অনেক ধরনের শাকসবজিও লাগিয়েছিলাম কিছুদিন আগে। কিন্তু ওগুলো সব খাওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন যখন বেগুন কাঁচা মরিচের সিজেন তাই আমরা এই গাছ গুলো লাগিয়েছি। তার পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া আর লাউ গাছও লাগিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের এই সবজি বাগানের মধ্যে সব ধরনের কিছু গাছ লাগানোর জন্য। কারণ গাছপালা থেকেই আমরা আমাদের নিঃশ্বাস নিতে পারি। যদি গাছপালা আমাদের চারপাশে না থাকে তাহলে আমাদের অক্সিজেনের খুবই অভাব হয়ে পড়বে।
তাই আমি আর আমার হাজবেন্ড চেষ্টা করেছি আমাদের বাড়ির সামনে এই ছোট বাগানটি সুন্দরভাবে করার জন্য। আমার হাজব্যান্ড সকাল বিকেল এই ছোট ছোট চারা গাছ গুলোর মধ্যে পানি দিয়ে থাকে। আমরা তো সকাল বিকেল বাগানের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। যেন বাগানের পাশে গিয়ে দাঁড়ালে দেখতে অনেক ভালো লাগে। মনটাও অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। আমার হাজব্যান্ড তো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে ওখানে চলে যায়। আমরাও প্রায় সময় ওখানে দাঁড়িয়ে থাকি আর সময় কাটায়। আমাদের এই ছোট্ট কাজগুলো ধীরে ধীরে এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে তো আমরা আমাদের টমেটো গাছ থেকে কিছু পাকা টমেটো নিয়েছি।
তাই আজকে সকাল বেলা আমার শশুর আমাকে বলেছিল আমাদের কাছ থেকে পেরে নেওয়া পাকা টমেটো গুলো দিয়ে টমেটোর ভর্তা তৈরি করার জন্য। তাই আমিও আজকে আমার শ্বশুরের কথা অনুযায়ী আমাদের কাছ থেকে পারা টমেটো গুলো দিয়ে ভর্তা তৈরি করলাম। সত্যি বলতে ভর্তাটা খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। আসলে নিজের কাছ থেকে পেরে রান্না করার মজাটাই আলাদা। তখন যেন আলাদা একটা ফিল হচ্ছিল। কয়েকদিন পরে আমরা আমাদের বাকি কাজগুলো থেকে আরো টমেটো নিতে পারব। এবং কি কিছুদিন পর অন্যান্য গাছগুলো থেকে আরও সবজি নিতে পারব। আমার হাজব্যান্ড সবসময় চেষ্টা করে আমাদের গাছগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য। অনেক ধরনের জৈব সার দিয়ে থাকে।
লাউ গাছ আর মিষ্টি কুমড়া গাছগুলোর মধ্যেও এখন ছোট ছোট ফুল বেরিয়েছে। কিছুদিন পরে হয়তো সেই লাউ আর মিষ্টি কুমড়া গুলো অনেকটা বড় হয়ে যাবে। আমার তো কাজগুলোর সামনে গিয়ে গাছের ছোট ছোট ফলগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তখন কেন জানি মনে হয় আমাদের নিজের চাষ করা এই গাছ গুলো। এভাবেই চেষ্টা করতেছি আমাদের গাছগুলোকে আরো বড় করে তোলার জন্য। যদি গাছের যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে গাছগুলো তেমন একটা বড় হয় না। তাই আমি আর আমার হাজবেন্ড আমাদের গাছগুলোর সব সময় যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করি। আসলেই নিজের সবজি ক্ষেত করার মুহূর্তটা যেন নিজের কাছেই অনেক ভালো লাগে।
তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথেও আমাদের এই সবজি ক্ষেতের সুন্দর কিছু ছবি আর সুন্দর মুহূর্তটা ভাগ করে নেওয়া যাক। আমি আমার সাধ্যমত আমাদের সবজি ক্ষেতের কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ছবিগুলো তুলতে গিয়েও আমার কাছে অনেকটাই ভালো লাগলো। আমাদের সবারই উচিত বাড়ির চারপাশে এরকম সুন্দর সবজি ক্ষেত করার। তাহলে নিজের কাছেও অনেকটাই ভালো লাগবে। আমরাও নিজের মতো করে এই সবজি ক্ষেতটাকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আজকে আমাদের সবজি ক্ষেতের সুন্দর এই মুহূর্তটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সবারই অনেকটাই ভালো লাগবে আমাদের সবজি ক্ষেতের গল্পটা শুনে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1634847602452856838?t=Ka3dNfKmoKHqZKdHxl1f8Q&s=19
ধন্যবাদ আপু আপনার এত সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। গাছ লাগাতে আমিও খুব পচ্ছন্দ করি।কিন্তু জায়গার স্বল্পতার কারণে করতে পারি না।কিন্তু আপনাদের এতো সুন্দর একটা জায়গা এবং এটাকে ফেলে না রেখে আপনি এবং ভাইয়া অক্লান্ত পরিশ্রম করে খুব সুন্দর একটা বাগান তৈরি করেছেন।খুব ভালো লাগলো আপনাদের বাগান দেখে।
আসলেই আমরা চেষ্টা করেছি জায়গাটি খালি না রেখে চাষবাস করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ খুব সুন্দর একটি পদক্ষেপ গাছের চারা লাগাচ্ছেন এবং লাগানো থেকে শুরু করে ফসল ধরা পর্যন্ত ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সব সময় এই কামনা করি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এত চমৎকার একটি কমেন্ট করার জন্য।
তুমি তো খুবই দারুণভাবে ঘরের পাশে সবজি ক্ষেত তৈরি করে ফেলেছ। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। মরিচ ধরলে এবং বেগুন ধরলে আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিও। রমজান মাসে বেগুনের দাম এবং মরিচের দাম অনেক বেশি হবে।
বেগুন টমেটো কাঁচামরিচ সব গাছের মধ্যে ধরেছে আমরা তো কিছু কিছু পেরে খেয়ে ফেলেছি।
আগে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে দিতে হয়, তারপর নিজেরা খেতে হয়।
বাহ আপু আপনি তো খুব ভালো কাজ করেছেন। বাজার থেকে ফরমালিন যুক্ত সবজি না খেয়ে নিজে গাছ রোপণ করে খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো। আপনার সবজি বাগানে অনেক সবজি লাগিয়েছেন। সবজি হলে আমাদের জন্যও একটু পার্সেল পাঠিয়েন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন বাজারে সব সবজির মধ্যে শুধু ফরমালিন দেওয়া থাকে। আমরা ফরমালিন মুক্ত খাবার খেতে পারব।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গাছ লাগাতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার বারান্দায় অনেক কিছু গাছ লাগাই। কিন্তু জায়গা স্বল্পতার কারণে চাইলেও অনেক গাছ লাগাতে পারে না। নিজের গাছের সবজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। মিষ্টি কুমড়া এবং লাউয়ের গাছের ফুল এসেছে ঠিকই বলেছেন কয়েক দিন পরে হয়তো ধরবে। কিছু কিছু সবজি আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ও বারান্দায় অনেক ধরনের গাছ লাগিয়েছেন যেন খুবই খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার সবজি ক্ষেত দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি তো দেখছি অনেক সবজি লাগিয়েছেন। ভাইয়া হেল্প করে আপনাকে জেনে খুব ভাল লাগলো। সবজি গাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপনার ভাইয়া হেল্প না করলে আমরা এই ক্ষেত কখনো তৈরি করতে পারতাম না। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হলাম।