গল্প:- বউয়ের কারণে ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট ( প্রথম পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
ঘটনাটি আমাদের একদম নিজস্ব লোকের ঘটনা। একটি ফ্যামিলিতে দুটি ভাই আর একটি বোন আছে। বাই দুটি বড় এবং বোনটি ছোট। ভাই দুটি বোনকে অনেক আদর করে। বড় ভাই ছোট ভাই এবং বোনের প্রায় ১০ বছরের বড়। বড় ভাই ছোট ভাই ও বোনকে সত্যি অনেক আদর করত। তাদের মা বাবার সংসারে খুব সুখের দিন যাচ্ছিল। এদিকে বড় ছেলে পড়া লেখা শেষ করে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষাগতা করে।
তখন বড় ভাই ছোট বোন ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ ও ফ্যামিলি খরচ সব দিতেছেন। তাদের বাবা হাফেজ সে একটি মসজিদে নামাজ পড়া এবং আজান দেয়। এরপর তার বাবা চিন্তা করলো বড় ছেলেকে বিয়ে করাবে। এদিকে তাদের ছেলে তিনটির নাম হচ্ছে। রাসেল আর রাকিব এবং ছোট বোনের নাম হচ্ছে জেসমিন। বড় ছেলে রাসেলকে যখন বিয়ে করানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন তারা অনেক জায়গাতে পাত্রী দেখতে চাই। এরপর তাদের বাড়ি থেকে প্রায় সাত আট কিলোমিটার দূরে একটি পাত্রী পছন্দ করেছে। মোটামুটি পাত্রী পড়ালেখা করেছে।
এরপর দিন তারিখ ঠিক করে। তাদের প্রথম ছেলের বিয়ে এই কারণে অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করেছে। এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে বিয়েতে দাওয়াত দিলেন। এবং বড় ছেলের রাসেলকে বিয়ে করাবেন। বিয়ের আগে ছোট ভাই রাকিব পড়ালেখার কারণে বড় ভাইয়ের কাছে থাকবেন। যখন বড় ভাই রাসেল বিয়ে করলেন এক মাস যেতে না যেতে। তার ওয়াইফ ঘরের কারো সাথে কথা বলে না। এবং তার স্বামীর ইনকাম কেন ফ্যামিলির সবাই খাবে এই নিয়ে ফ্যামিলিতে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং দেবর ও ননদের সাথেও ঝগড়া করতেছে।
এবং রাসেলের ওয়াইফ রাসেলের মায়ের খাওয়া পর্যন্ত দেখতে পারে না। এভাবে তাদের সংসারে পাঁচ থেকে ছয় মাস সবাই একসাথে ছিলেন। এরপর বড় ভাই রাসেল একদিন বউয়ের কথা শুনে তার ওয়াইফকে নিয়ে বাসায় চলে গেলেন। এবং রাসেল ফ্যামিলিতে এক টাকাও আর দেই না। এবং বলে দিয়েছে শেষ সংসারে এক টাকা দিতে পারবে না। এবং মাঝেমধ্যে তাদের বাসায় মা-বাবা গেলে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন না রাসেলের ওয়াইফ।
ছোট ভাই রাকিব এবং জেসমিন বড় ভাইয়ের উপর এত মনে কষ্ট আসলো। এবং তারা তার নাম শুনতে পারে না। কারণ বড় ভাইয়ের ওয়াইফ যে কথা বলে রাসেল সেই কথা শুনে। মোটকথা রাসেলের ওয়াইফ যদি বলে আজ শুক্রবার তাহলে রাসেলও বলবে আজ শুক্রবার। ছোট ভাই রাকিব যখন এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তখন পরীক্ষার কেন্দ্র বড় ভাই রাসেলের বাসার পাশে। তখন বড় ভাই রাসেল বলেছে তাদের বাসা থেকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
এরপর রাকিব তাদের বাসায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গেলেন। এরপর বিকালে যখন রাকিব বাসায় গেলেন। বড় ভাইয়ের ওয়াইফ তার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া লেগে গেল। এরপর রাকিব কিছুদিন তাদের বাসায় ছিলেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বড় ভাইয়ের ওয়াইফ সকাল-বিকাল নাস্তা বানালে রাকিবকে নাস্তা দিতেন না। এবং কি দুপুরে তার বড় ভাই স্কুলে থাকতেন। তখন রাকিবকে সে দুপুর বেলা ভাত খেতে দিতেন। এমনকি নাস্তা না দিয়ে বলে তাকে নাস্তা দিয়েছে। আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরে পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে পোস্টটি পড়ে ( চলবে )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1678768771744546817?t=KnrEs_w_ki1U3s05E3UfoA&s=19
রাসেলের ওয়াইফের মত অনেক মহিলা আছে। তারা স্বামীর সংসারে এসে তাদের সংসার কে নষ্ট করেদে। সুখের সংসারে রাসেলের ওয়াইফ এসে অশান্তি সৃষ্টি করে দিয়েছে। অথচ রাসেলকে কে ছোট থেকে বড় করেছে। আজ সরকারি চাকরি কিভাবে সেই পেল। যদি রাসেলের উপর কারো দাবি থাকে তা প্রথমে মা বাবার দাবি থাকবে। রাকিব এবং জেসমিন বড় হয়েছে তাদের সাথে রাসেলের ওয়াইফ যে আসার ব্যবহার করেছে তা একদম ঠিক করে নাই। দেখি পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষার রইলাম। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন রাসেলের উপর যদি প্রথম কারো অধিকার থাকে তাহলে মা-বাবার অধিকার আছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, কি বলবো আর এ দুঃখের কথা। আপনার ঘটনাটি পড়ে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। কেননা এরকম ঘটনার স্বীকার আমি নিজেও। যাক ওসব কথা আর বলতে চাই না, তবে মনের মধ্যে আক্ষেপ আসে, নতুন একটি মেয়ে অন্য পরিবার থেকে এসে স্বামীর পরিবারকে নিজের মনে না করে, সুখের সেই পরিবারটাকে ধ্বংস করে ফেলে। এমনটি হওয়া কখনোই উচিত নয়। তবুও প্রতিটি ঘরেই যেন এরকম অশান্তির আগুন লেগেই রয়েছে। যাইহোক রাকিব ও রাসেল এ দুই ভাইয়ের সম্পর্কের কি হলো তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে রইলাম।
এরকম মহিলাগুলোর কথার আওয়াজ অনেক বড় বড়। তারা মানুষকে কথা বলে মন জয় করে ফেলে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।