গল্প :- আজকাল গাড়ির ভাড়া দিতে হলেও চিন্তা ভাবনা করে দিতে হয়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। কিছুদিন আগে ঘটনাটি আমাদের সাথে ঘটে গেল। আমি আর আমার হাজবেন্ড ব্যক্তিগত কাজের জন্য দাগনভূঞা বাজারে গেলাম। ওখানে গিয়ে আমরা আমাদের বাচ্চার জন্য কেনাকাটা করেছিলাম। তারপর আমরা বাড়িতে আসার জন্য চিন্তা ভাবনা করলাম। তখন আমার হাজব্যান্ড বললো নাস্তা করে তারপর যাবে। এরপর আমরা একটা রেস্টুরেন্ট ঢুকে খাওয়া-দাওয়া করলাম।
যখন আমরা বাড়িতে আসবো তখন একটি সিএনজি ঠিক করলাম। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে দাগনভূঞা বাজার রিক্সা ৩০ টাকা ভাড়া। আমরা যখন সিএনজি ড্রাইভারকে বললাম আমাদের বাড়ির কথা। তখন সে বলল বরাবর সে আমাদের বাড়িটা চিনলো না। যখন আমরা জায়গার নাম এবং রাস্তার নাম বললাম তখন বলল সে আমাদের বাড়ি চিনল। এরপর আমরা যখন তাকে বললাম ভাড়া কত টাকা। লোকটি আমাদেরকে বলতেছে আপনারা যা দেন।
তারপর আমার হাজব্যান্ড আবার বলল ভাড়া কত। এরপর আমার হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করল ওখানে ভাড়া কত টাকা। আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল অটো রিক্সা 30 টাকা ভাড়া। যদিও আমার হাজব্যান্ড ড্রাইভারকে চিনে না। এরপর সে বলতেছে মাগরিবের পর হয়ে গেছে কিছু টাকা বাড়িয়ে দিয়েন। আমার হাজব্যান্ড বলতেছে ঠিক আছে আপনাকে ৫০ টাকা দিব। এরপর আমরা সিএনজি গাড়িতে আমাদের জিনিস গুলো তুলে বসলাম। যদিও বাজার থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা।
এরপর আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাড়ির সামনে চলে আসলাম। আসার পর আমি বাজারগুলো নিয়ে সিএনজি থেকে নেমে গেলাম এবং আমার হাজব্যান্ড নিচে নেমে ড্রাইভারকে টাকা দিতেছে। ৫০ টাকা ভাড়া আমাদের কাছে ভাংতি টাকা ছিল না। এই কারণে ৫০০ টাকা ড্রাইভারকে আমার হাসবেন্ড দিল। ৫০ টাকা রেখে বাকি টাকাগুলো দেবে সিএনজি ড্রাইভার। যদিও মাগরিবের পর এই কারণে রাস্তার মধ্যে তেমন গাড়ি নেই। হঠাৎ করে সিএনজি ড্রাইভার গাড়িটি নিয়ে চলে গেল।
ড্রাইভারকে টাকা দেওয়ার সময় গাড়ি বন্ধ ছিল না। যদিও আমরা টাকা দেওয়ার সময় একটু অন্য মনস্ক ছিলাম এই কারণে তাড়াতাড়ি সে গাড়িটি নিয়ে চলে গেল। আমাদের ৪৫০ টাকা না দিয়ে। তবে আমার মতে গাড়ি থেকে না নেমে গাড়ির মধ্যে বসে ভাড়া দেওয়াই উত্তম। যদি আমরা গাড়ির মধ্যে বসে ভাড়া দিতাম তাহলে সে আমাদের টাকাগুলো নিতে পারত না। আসলে লোকটি আমাদের টাকাগুলো নিয়ে হয়তো দুই ঘন্টা খরচ করবে। এরপর টাকাগুলো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মনের ভিতর কষ্ট অনেকদিন থাকবে। এই হচ্ছে আমার বাস্তব একটি অভিজ্ঞতা। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1742140395507666947?t=03krxscllNgKpicjyaJjkA&s=19
এধরনের ঘটনা গুলো মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। আসলে যারা প্রকৃত পক্ষে গাড়ি চালায় তারা কখনো এধরনের কাজ গুলো করে না। আর যারা নতুন কয়েকদিন এর জন্য গাড়ি চালায় তারাই এইসব কাজ গুলো করে। যদিও আপনার পোস্ট পরে খারাপ লাগলো। তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেকেই সতর্ক থাকবে। আপু আপনিও সতর্ক থাকবেন। টেনশন করবেন না আপু ৪৫০ টাকা কোন না কোন ভাবে ঠিক পেয়ে যাবেন।
এতো দেখছি দিনে দুপুরে ডাকাতি। এ কেমন দেশে আছি আর কেমন মানুষের মন মানসিকতা।আসলে মানুষেরর মাঝে আর মনুষ্যত্ববোধ নেই বল্লেই চলে।ঠিক বলেছেন এভাবে টাকা নিয়ে কয় ঘন্টা আর চলতে পারবে কিন্তুু আপনাদের কষ্ট সারাজিবন থাকবে এবং ওনার অবশ্যই জিবনে সফলতা আসবে না কোনদিন।
আপু এই লোকগুলো সব সময় ডাকাতি করতে পারে। তাকে টাকা দেওয়ার সাথে সাথে সেই টাকাগুলো নিয়ে চলে গেল গাড়ি নিয়ে। পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আহারে! মানুষের কষ্টের টাকা মেরে দিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পারে না আপু। সেই সিএনজি ড্রাইভার এর যতই প্রয়োজন থাকুক না কেন, এই টাকার বিনিময়ে তার ভালো কিছুই হবে না। এইটা ভালো বলেছেন, যদি গাড়ির ভেতর বসে থেকেই ভাড়া দিতেন তাহলে আর টাকাটা মেরে দিতে পারতো না।আপনার এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরাও সচেতন হতে পারলাম। আর আমার মনে হয়, আপনাদেরও হয়ত এই উছিলায় বড় কোন বিপদ কেটে গিয়েছে আপু।
এটি একদম সত্য কথা বলেছেন মানুষের কষ্টের টাকা মেরে দিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পারে না। আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
এমন বাটপার টাইপের লোকদের উচিত সিএনজি না চালিয়ে চুরি ডাকাতি করা। এখনকার বেশিরভাগ মানুষের মনমানসিকতা এতো জঘন্য যে,কাউকে ঠকাতে দ্বিধাবোধ করে না। মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা শোনা যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই মনে হয় যে, সিএনজির ভিতরে থেকেই ভাড়া দেওয়া উত্তম। তবে কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো জিততে পারে না। হয়তো সিএনজি ড্রাইভারের ৪৫০ টাকার চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয়ে যাবে এমনি এমনি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া গাড়ির মধ্যে বসে টাকা দাওয়াই উত্তম। কারণ কোন মানুষ ভালো কোন মানুষ খারাপ বোঝাই যায় না। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐদিন এই ঘটনার পর আমি নিজে এখন সচেতন হয়ে গেলাম। তবে আমি চিন্তা করি নাই সিএনজির ড্রাইভার এভাবে টাকাগুলো নিয়ে চলে যাবে। আসলে ভালো এবং খারাপ মানুষ সিনা বড় কষ্টকর। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের মানুষ আছে যেগুলো চিন্তা খুব কষ্ট হয়। তবে সে আমাদের ৪৫০ টাকা নিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। তার বিবেক বলতে কিছু নেই সেটাই বড় কথা। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছ তাই ধন্যবাদ তোমাকে।
সচেতন না হয়ে কোন উপায় নেই। কারণ মানুষকে ভালো মন্দ বোঝাই যায় না। ঐদিন এই ঘটনার পর আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগলো। তোমার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।