ডাই :- নিজের হাতে সারপ্রাইজ বার্থডে গিফট তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদেরকে অন্যরকম একটি জিনিস তৈরি করে দেখাবো। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে সুন্দর জিনিসগুলো তৈরি করে আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। আপনারা অনেকেই জানেন আমি এক একটি দিন একেক ধরনের জিনিস তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে অনেক পছন্দ করি। কারন আমার কাছে একেক ধরনের জিনিসগুলো দেখতে ভালো লাগে না। তাই আজকেও ভিন্ন রকম কিছু নিয়ে হাজির হলাম। এখন যেটা বলবো এটা শুনলে আপনারা প্রায় অনেককেই অবাক হবেন।😱 এই চকলেটের তোড়া আমি প্রায় এক বছর আগে তৈরি করেছি। কিন্তু পোস্ট করা হয়নি। এই চকলেটের তোড়া আমি আগের বছর নাশিয়ার জন্মদিনে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু দেখতে দেখতে কিছুদিন পরে আবার নাশিয়ার জন্মদিন চলে এসেছে। কিন্তু আগের বছরে দেওয়া গিফটের পোস্ট আমি এ বছর করলাম। করবো করবো বলে আর করা হয়ে উঠল না। তাই অনেক চিন্তা করে আজকেই করে ফেললাম। নাশিয়ার তো এটা দেখে বেশ পছন্দ হয়েছিল। বিশেষ করে চকলেট দেওয়ার সাথে সাথে খেতে শুরু করলো। যাই হোক আশা করি আপনাদের সবার আমার তৈরি করা রঙিন কাগজের এই গিফট বেশ পছন্দ হবে।
উপকরণ
✓ রঙিন পেপার
✓ চকলেট
✓ শলা
✓ টেপ
✓ গ্লু গান
✓ পেন্সিল
✓ রাবার
✓ কাটার
✓ মার্কার
✓ কাঁচি
বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি কিছু ছোট বড় শলা নিয়ে নিলাম। তারপর চকলেট গুলোর অপর পাশে ব্লু গান লাগিয়ে শলা গুলো সুন্দর করে লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর প্রথমে পাঁচটি বড় শলার চকলেট গুলোকে একজোড়া করে সোলার একপাশে টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর প্রথমে পাঁচটি চকলেট জোড়া লাগিয়ে নিলাম। তারপর চারটা তারপর তিনটা এভাবে সবগুলো টেপ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর একটি বড় রঙিন কাগজের মাঝখানে চকলেট গুলোকে সুন্দরভাবে ভাঁজ করে রেখে শলা গুলোর মধ্যে আবারও টেপ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর নিচের হলুদ কাগজটাকে প্রথমে শলার মধ্যে ভাঁজ দিয়ে টেপ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর শলা গুলোর উপরে আরো একটি গোলাপী কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে টেপ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।আবার আরো একটি হলুদ কাগজ দিয়েও জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর উপরের হলুদ কাগজের মধ্যে কাঁচি দিয়ে কিছু সুন্দর ডিজাইন করে নিলাম যাতে দেখতে অনেকটা সুন্দর লাগে।
ধাপ - ৮ :
তারপর যাতে নিজের অংশটা চকলেটের তোড়ার মত মনে হয় তাই একটি গোলাপী রঙিন কাগজ ভাঁজ করে সুন্দর ডিজাইন করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে একটি চকলেটের তোড়া তৈরি করে নিলাম। আশা করি আমার তৈরি করা চকলেট এবং রঙিন কাগজ দিয়ে তোড়া আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আরে বাহ আপু! এত সুন্দর করে সাজিয়ে এতগুলো চকলেট উপহার দিলে তো যে কোন ছোট মানুষ কেন, বড়রাও বেশ খুশি হয়ে যাবে, কনফার্ম! আসলে উপহার পেলে তো সবারই ভালো লাগে। তবে এত সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন, যেটা দেখলেই যেন উপহারটি নন ছুয়ে যায়! বেশ ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন আমার নিজের কাছেও গিফটি বেশ ভালো লেগেছে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1751823801321656494?t=iE8o8H_PAx5hCUwrOMZNVQ&s=19
এক বছর আগে তৈরি করা পোস্ট এখন শেয়ার করেছেন দেখে সত্যি অবাক হলাম আপু। আসলে অনেক সময় অনেক কিছু তৈরি করা থাকলে হয়তো শেয়ার করার সময় হয়ে ওঠে না। এরকম উপহার পেলে সত্যি অনেক দারুন লাগবে।
ঠিক বলেছেন সময়ের অভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে একটু লেট হয়েছে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
বাহ্ অনেক সুন্দর একটি ইউনিক চকলেট ও রঙিন কাগজ দিয়ে বার্থডে গিফট পোস্ট করেছেন। তাও আবার এক বছর আগে করা। আসলে নিজের হাতে বানানো সুন্দর করে গিফট তৈরি করে কাউকে দিলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ আমি আপনার এ পোস্টের মাধ্যমে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে আমিও কাউকে এভাবে গিফট বানিয়ে দিব। ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার এত সুন্দর প্রতিভা দিয়ে খুব সুন্দর বার্থডে গিফট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন কাউকে এরকম কিছু চকলেট কিনে নিজের হাতে গিফট করলে সেটা যে কারণেই বেশ পছন্দ হবে।
নাশিয়ার জন্মদিনে তৈরি করা গিফট বক্স এক বছর পর শেয়ার করেছেন আপু।খুবই কিউট লাগছে দেখতে।চকলেট ছিল যেহেতু নশিয়ার নিশ্চয় অনেক পছন্দ হয়েছিল গিফট বক্স টি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
আসলে চকলেট থাকার কারণে নাশিয়া বেশ পছন্দ হয়েছে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নিজের হাতে সারপ্রাইজ বার্থডে গিফট তৈরি করেছিলেন, তাও আবার নাশিয়ার জন্য এটা দেখেছিলাম। সত্যি প্রায় এক বছর হয়ে গিয়েছে নাশিয়ার জন্মদিন এর। আপনি এতদিন পরে পোস্ট করেছেন দেখে আমার কাছেও কিছুটা অবাক লেগেছে। নাশিয়া কিন্তু আসলেই এটা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল। আর খুবই মজা করে চকলেট গুলো খেয়েছিল। এমনিতেই তার এই চকলেট গুলো খুবই ফেভারিট। অনেক সুন্দর হয়েছিল আপনার এই গিফট।
ঠিক বলেছেন চকলেট আসলেই নাশিয়ার বেশ পছন্দের তাই চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে গিফট করা জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে এবং দেখতে বেশ ভালই লাগে আমার কাছে। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে সারপ্রাইজ বার্থডে গিফট তৈরি করেছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এক বছর পর পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে একটু অবাক হলাম। যাইহোক নাসিয়া চকলেট গুলো পেয়ে নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এই চকলেটের গিফট নাশিয়া কাছে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এক বছর আগে তৈরি করা চকলেটের গিফট এখন পোস্ট করলেন তবে গিফটি খুবই সুন্দর হয়েছে ।আর গিফট টি পেয়ে নিশ্চয়ই নাশিয়া খুবই খুশি হয়েছে কারণ বাচ্চারা সব সময় চকলেট খুব পছন্দ করে। যাইহোক এক বছর পর হলেও পোস্ট টি তো করতে পেরেছেন। এত চমৎকার একটি গিফট দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি কেক তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করতে পেরে আমি নিজেও অনেক বেশি খুশি হয়েছি। কারণ পোস্টটি শেয়ার করতে একটু লেট হয়েছে তাই।
নাশিয়ার জন্মদিনের সময় আপনি এটা নাশিয়াকে গিফট করেছিলেন। অনেকদিন আগে আপনি এটা তৈরি করেছিলেন, কারণ নাশিয়ার জন্মদিন তো চলে গিয়েছে অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। আর নাশিয়াকে যখন এই গিফটটা আপনি দিয়েছিলেন তখন সে তো অনেক খুশি হয়েছিল আর আনন্দে নাচানাচি করছিল। সুন্দর করে এটা তৈরি করেছেন আর সবার মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনার মাধ্যমে এটা শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন নাশিয়াকে এই গিফটি দেওয়ার পরে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো। নাশিয়া ও বেশ খুশি হয়েছে।
গত বছর তৈরি করা বার্থডে গিফট আপনি আজ শেয়ার করলেন দেখে অবাক হলাম আপু। এত সুন্দর করে সারপ্রাইজ বার্থডে গিফটি সাজিয়েছেন এটা যে কেউ দেখলেই অনেক হ্যাপি হয়ে যাবে। চমৎকার এই পোস্টটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপনার মন্তব্য করে বেশ খুশি হয়েছি ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।