লাইফ স্টাইল :- মেলায় গিয়ে চিকেন চাপ খাওয়ার মুহূর্ত (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাই আমরা মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। কিছুদিন আগে আমরা বসুরহাট মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে ঘুরাঘুরি কেনাকাটা খাওয়া-দাওয়া সবই করলাম। তাই আজকে শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আশা করি এই পর্বটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আপনারা অনেকেই জানে কিছুদিন আগে আমরা বসুরহাট বাজারের ওদিকে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি এই নিয়ে প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছি। তাই মেলায় গিয়ে কি কি খাওয়া দাওয়া করলাম আজকে তাই আরেকটা পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা তো প্রথমে মেলায় গিয়ে কিছু ঘুরাঘুরি করলাম পার্কের মধ্যে। তারপর মেলার ভিতরে গিয়ে নিজেদের এবং বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম। তারপর কেনাকাটা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সবাই মিলে ভাবলাম কিছু খাওয়া যাক। তারপর আমরা মেলা থেকে বেরিয়ে একটি বড় রেস্টুরেন্টের মধ্যে চলে আসলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে প্রথমে রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে একটি বসার জায়গা খুঁজে নিলাম। তারপর দেখলাম আর কোনায় এটি সুন্দর জায়গা খালি আছে। তারপর আমরা সবাই গিয়ে ওখানে বসে পড়লাম। আসলে সবাই অনেক ঘুরাঘুরি এবং মেলায় গিয়ে হাঁটাহাঁটি করার কারণে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নাশিয়া এবং মাইসুনের ও খিদে লেগেছে। তারপর মাইসুনের আব্বু নাশিয়াকে নিয়ে গিয়ে কিছু কিনে দিল খাবার জন্য। তারপর তারাও আমাদের সাথে এসে বসে পড়ল। মাইসুন অনেকটাই ছোট সে বাহিরের খাবার খেতে পারবে না। তাই আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় মাইসুন এর জন্য ফুটন্ত পানি নিয়ে গেলাম।
যাতে তাকে একটু হলেও পানি খাওয়াতে পারি। তারপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ বসে ওখানে রেস্ট নিয়ে নিলাম। তারপর এটি ওয়েটার এসে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল কি খাব। তারপর রকি ভাইয়া বলল আমাদের জন্য পরোটা এবং চিকেন চাপ নিয়ে আসার জন্য। তারপর সবাই বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করলাম। তাছাড়া সাথে সবাই চা ও খেলাম। তারপর সবাই মিলে বেশ খাওয়া-দাওয়া এবং মজা করতে লাগলাম। কে কে মেলায় গিয়ে কি কিনলাম সবাই একজন আরেকজনের সাথে বলাবলি করতে লাগলাম। তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবং অনেক কথাবার্তা বলে ভাবলাম বাড়ির দিকে রওনা দেওয়া যাক।
কারণ প্রায় রাত ৮:০০ টা বেজে গিয়েছে। কারণ আস্তে আস্তে ও প্রায়ই টাইম লেগে যাবে। তাই আমরা আর দেরি না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তারপর সবাই মিলে বেশ মজা করতে করতে আমরা গাড়িতে উঠে পড়লাম। কিছুক্ষণ পরেই আমরা বাড়িতে চলে আসলাম প্রায় এক দেড় ঘন্টা লেগে গেল। কারণ তখন আমরা আমাদের বাবার বাড়িতে ছিলাম। ওখান থেকেই মেলায় গিয়েছিলাম। তাই ওখানে যেতে যেতে একটু টাইম লেগে। তারপর সবাই মিলে বেশ মজা করেই বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসেও সবাই কে কি কিনলাম সবকিছু সবাইকে দেখাতে লাগলাম। আসলে মেলায় গেলে এরকম টুকিটাকি বেশ ছোটখাটো জিনিস কেনা হয়।
আমরাও অনেক কিছু কিনেছিলাম। আসলে আমার কাছে এরকম মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া মেলায় গিয়ে বেশ কিছু কেনা হয়। কারণ ওখানে গেলে অনেকটাই কম দামে পাওয়া যায়। যেটা আমি কোন মার্কেট থেকে কিনতে গেলে বেশ দামে নিয়ে নেয়। যাই হোক এই ছিল আমার মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি এবং কেনাকাটা তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটা। আশা করি আমাদের মেলায় এগিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটা আপনাদের ভালো। আজ এই পর্যন্তই পরবর্তীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1751603865554919492?t=I0OgsCSJf18KQmHJmsbJsw&s=19
মেলায় গিয়ে দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন এবং উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে আপনি এবং আপনার পরিবারের ও স্বজনদের নিয়ে চিকেন চপ খাওয়ার মুহূর্তটি নিশ্চয়ই অনেক বেশি উপভোগ্য ছিল। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সবাইকে এক টেবিলে দেখে।
ঠিক বলেছেন নিজেদের প্রিয় জনদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে সবারই কম বেশি ভালো লাগে।
দারুণ এক মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আসলে মাঝেমধ্যে বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক কিছুই খাওয়া হয়ে যায়। আর প্রিয়জন যদি পাশে থাকে তাহলে তো সত্যিই অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে।
আসলে মেলায় গিয়ে কেনাকাটা করার পরে সবাই মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা কাটালাম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বসুরহাট মেলায় গিয়ে সবাই অনেক ঘুরাঘুরি করলেন। তাছাড়া মেলায় গেলে তো অনেক কিছু কেনাকাটা করা হয়। আপনারা সবাই মিলে অনেক কেনাকাটাও করলেন। কিন্তু শেষমেষ অনেক মজার খাওয়া দাওয়া করলেন। চিকেন চাপ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। চিকেন চাপের কালার গুলো দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না আপু।
মেলায় গিয়ে অনেক কিছু কেনাকাটা করার পরে আমরা সবাই মিলে চিকেন চাপ খেয়ে আসলাম বেশ মজা হলো আপু।
ঐদিন কিন্তু মেলায় গিয়ে আসলেই বেশ ভালো মুহূর্ত কাটানো হয়েছিল, এবং খাওয়া-দাওয়াটাও ভালোভাবে করা হয়েছিল। চিকেন চাপ সবাই মিলে খাওয়ার কারণে খুব ভালো লেগেছিল। সবাই একসাথে কোথাও গেলে কিন্তু বেশি ভালো লাগে। আপনি পর্বের মাধ্যমে মেলায় ঘুরাঘুরি, কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্ত ,সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সম্পূর্ণটা সুন্দর করেই লিখলেন।
আমার কাছেও মেলায় কেনাকাটার পরে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটা বেশ ভালো লাগলো আপনারও ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।