গল্প:- মহা বাটপার চোর।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটা ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি কিছুদিন আগে ঘটেছিল। কিছুদিন আগে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে দাগনভূঁইয়া বাজারে গেলাম কিছু বাচ্চার জন্য কাপড়চোপড় কেনার জন্য। মূলত আমার ছোট মেয়েটির জন্য এবং নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা করাই উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমে আমরা কাপড় দোকানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করলাম ফ্যামিলির জন্য। এবং আমার শাশুড়ির জন্য কাপড় কিনলাম।
এরপর আমরা একটি জুতা দোকানে গেলাম। জুতা দোকানে গিয়ে জুতা দেখতে লাগলাম। কারণ আমার হাজবেন্ডের জন্য জুতা কিনতে হবে। দোকানের মধ্যে একটি মাত্র লোক ছিল। এবং আমরা কয়েকজন কাস্টমার ছিলাম। দোকানের মধ্যে ছি ছি ক্যামেরা ও আছে। যখন লোকটি আমাদেরকে পছন্দের জোতা গুলো দেখাচ্ছে আমরাও জুতা গুলো দেখতেছি। আমাদের পিছনে তিনটি ছেলে দাঁড়িয়ে রইল তারাও জুতা দেখতেছে। এরপর লোকগুলো কথা বলতে বলতে দোকানদারের ২ জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে দেখতেছে।
যখন লোকটি আমাদেরকে জুতা দেখানোর জন্য ব্যস্ত। তখন ওই তিনটি ছেলের দুই জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে চলে গেলেন। এমন সময় লোকটি খেয়াল করলেন তার জুতাগুলো নেই। এবং ২ জোড়া পুরনো জুতা দোকানের সামনে রইল। তখন দোকানদার দেখতে লাগল দোকানের ভিতরে তিনজন কাস্টমার আছে এবং ও আছে। সে দেখতেছে তার দোকানের সামনে ৬ জোড়া জোড়া আছে। সাথে সাথে দোকানদার বুঝে গেল তার দুই জোড়া জুতা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
দোকানদার দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে দেখতেছে লোকগুলো চলে যাচ্ছে। এমন সময় দোকানদার গিয়ে লোকদেরকে ধরলেন। লোক গুলো বলতেছে জুতা গুলোর টাকা তারা পেমেন্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। এবং দোকানদার ছেলেটি বলতেছে জুতার টাকার তারা না দিয়ে চলে যাচ্ছে। এমন সময় আরো কিছু লোক ওখানে একসাথে হলো এবং ছেলে তিনটিকে দোকানের সামনে নিয়ে আসলো। তখন লোক তিনটি আমাদেরকে বলতেছে তারা আমাদের সামনে দোকানে জুতার টাকা দিয়েছে। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল আমরা খেয়াল করিনি আমরা আমাদের জুতা দেখতেছি।
তখন ছেলে তিনটি বার বার বলতেছে তারা জুতার টাকা দিয়েছে। এমন সময় দোকানদার বলতেছে আপনারা যদি জুতার টাকা দেন তাহলে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরার মধ্যে দেখা যাবে। মহত্তের মধ্যে লোক তিনটি থমকে গেল। এমন সময় যখন সে সিসি ক্যামেরার মধ্যে দেখতেছে তাঁরা জুতাগুলোর টাকা দিছে কিনা। ওই সময় চোর ছেলে তিনটি এমন জোরে দৌড়িয়ে পালিয়ে গেলে তাদেরকে আর ধরতে পারল না। তবে চোখের সামনে এত বড় চোর বাটপার আর দেখিনি। তবে সিনেমার মধ্যে দেখেছি বাস্তবে এই প্রথম দেখলাম। এই হচ্ছে মহা বাটপার চোরের কাহিনী। আশা করি এই কাহিনী শুনে আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1682753832194048000?t=WhD2DKn_KG4mLVqd6SAKdg&s=19
বর্তমান সময়ে চোরের উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। আসলে তাদেরকে দেখলে একদমই বোঝা যায় না তারা চুরির উদ্দেশ্যে দোকানে এসেছে। অনেকে জুতা পরে চলে যায় আবার অনেকে দুই তিনটা গেঞ্জি একবারে গায়ে দিয়ে উপর থেকে একটা খুলে বাকিগুলো পড়ে চলে যায়। আসলে এই দৃশ্যগুলো এখন সচরাচর সব জায়গায় দেখা যায়।
ঠিক বলেছেন চোরগুলোকে দেখলে বোঝা যায় না। তারা ভাল নাকি খারাপ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মহা বাটপার চোর চমৎকার একটি বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিন জন ছেলে জুতার টাকা না দিয়ে জুতা নিয়ে চলে যায়। আবার ধরে নিয়ে আসে তার পরে পালিয়ে যায়। ভাইয়া কে লোকটি জিগ্গেস করেছিলো যে জুতার টাকা দিয়েছে কি না ভাইয়া বলেছে খেয়াল করেনি খুব ভালো হয়েছে। কারন এধরনের বখাটে ছেলেরা খুব খারাপ। সুন্দর করে পোস্ট টি সাজিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিকই বলেছেন এই ধরনের ঘটনাগুলো নাটক ছবিতে দেখেছি। বাস্তবে আসলে কখনো দেখিনি। তবে এই চোর ছেলেগুলোর অনেক সাহস আছে বলতে হয় টাকা না দিয়ে তারা জুতোগুলো নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা থাকায় লোকগুলোকে ধরতে পেরেছে না হলে তারা কখনোই স্বীকার করত না। আবার ধরা খাওয়ার পরেও আবার পালিয়ে গেল। আপনার মহা বাটপার চোরের গল্পটি পড়ে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এসব ঘটনা আমি নাটক এবং সিনেমায় দেখেছি বাস্তবে সামনে থেকে কখনো দেখিনি। তারা দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম ঘটনা তো আগে কখনো শুনিনি একেবারে নাটকীয় লেগেছে আমার কাছে ঘটনাটি । লোক গুলোর কত বড় সাহস দোকান থেকে একেবারে জুতাগুলো পড়ে তারপরে চলে যায় ।আবার ধরা খাওয়ার পরও মিথ্যা কথা বলে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেল ধরতে পারল না ।
চোর গুলোর গলার আওয়াজ এত বড় ছিল যে তারা চোর বলে মনে হচ্ছে না। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐদিন ঘটনাটি আমার চোখের সামনে ঘটেছে আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারতেছি না এরকম বাটপার চোর বাংলাদেশে আছে। আমরা যখন জুতো দেখতেছিলাম তখন এগুলো দুই জোড়া জুতা নিয়ে যাচ্ছে। অথচ যেভাবে কথা বলতেছে তারা জুতা গুলো টাকা দিয়েছে। ঠিক বলেছেন নাটক সিনেমায় দেখেছি এরকম চুরি কখনো সামনে থেকে দেখলাম না। যেভাবে লোক তিনজন দৌড়ে পালিয়েছে না হলে তাদের কপালে খুব দুঃখ ছিল।
তারা নাটক সিনেমাকেও হার মানিয়েছে। তাদের কথা শুনে মনে হল তারা টাকা দিয়ে এগুলো কিনেছে। সুন্দর মন্তব্য করেছ তাই তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।