হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো চলে আসলাম আপনাদের সামনে একেবারে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আর রেসিপিটা হচ্ছে খেজুরের টক -ঝাল-মিষ্টি গলানো আচার। আচার এমন একটি রেসিপি যা ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে। তার সাথে ছেলে থেকে মেয়ে সবাই কিন্তু আচারের ভক্ত। অনেকে বলে শুধুমাত্র আচার মেয়েরাই পছন্দ করে। কিন্তু এখন দেখা যায় মেয়েদের থেকে ছেলেরা আরো বেশি পছন্দ করে। এবারের প্রতিযোগিতা দেখেই তো আমি ভেবে ফেললাম যে জয়েন করব।

কিন্তু প্রতিযোগিতায় জয়েন করার জন্য তো একটা রেসিপি ঠিক করতে হবে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা খুব সুন্দর রেসিপি বের করলাম। কারণ খেজুরের আচার তৈরি করলে বেশ ভালোই হবে। বিশেষ করে আমি এর আগে খেজুরের আচার তৈরি করিনি। আর আচার তৈরি করাটা এত কঠিন কাজ কি বলবো। দেখা যায় যে আচার তৈরি করলে সব সময় পারফেক্ট হয় না। কিন্তু এবার সাহস করে নিজেই তৈরি করে ফেললাম। দেখলাম বেশ ভালোই হয়েছে। আর আমি মনে করি খেজুর আমাদের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল। আর খেজুরের প্রায় অনেক রকমের উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে খেজুরের কিছু উপকারিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।

• খেজুরে কিন্তু কোন ধরনের কোলেস্টোরেল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। যার ফলে এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ ভালো।
• খেজুর আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ঘাটতি পূরণ করে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
• আর খেজুর আমাদের শরীরে আয়রনের শূন্যতা পূরণ করে। একজন সুস্থ মানুষের দেহে খেজুর আয়রন চাহিদা পূরণ করে।
• আর ভিটামিন তো অবশ্যই রয়েছে খেজুরের মধ্যে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

যদিও খেজুরের উপকারিতা অনেক কিন্তু সবকিছু বলা সম্ভব নয়। আর শিশুদের জন্য কিন্তু খেজুর অনেক বেশি উপকারী একটি ফল। সেক্ষেত্রে এই আচারটা বড় থেকে ছোট সবাই কিন্তু মজা করে খেতে পারে। আমি কিন্তু এই আচারটা তৈরি করার সাথে সাথেই প্রায় অনেকটা পরিমাণে আচার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাহলে বুঝেন কতটা মজার হয়েছে। আর কথা বাড়াবো না, চলুন দেখে নিবেন কিভাবে আমি পুরো রেসিপিটা প্রস্তুত করলাম। আশা করব রেসিপিটি আপনাদের বেশ ভালই লাগবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণ	পরিমাণ
খেজুর	৫০০ গ্রাম
তেঁতুল	১/২ কাপ
গুড়	২৫০ গ্রাম
পাঁচফোড়ন	২ টেবিল চামচ
ভিনেগার	২ টেবিল চামচ
সরিষার তেল	২৫০ গ্রাম
বিট লবণ	১ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া	১ টেবিল চামচ
লবন	পরিমাণমতো
শুকনা মরিচ	৫/৬ টা

বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি খেজুর গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর একটা ছুরি দিয়ে মাঝখান থেকে কেটে ভিতর থেকে খেজুরের আঁটি বের করে নিলাম। এভাবে সবগুলো খেজুরের আঁটি আলাদা করে নিলাম।

ধাপ - ২ :

এরপর আমি গুড়টাকে একটা গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিলাম।

ধাপ - ৩ :

এরপর আমি শুকনো মরিচ গুলোকে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিলাম। মরিচ গুলোকে আমি শুকনো অবস্থায় ব্লেন্ড করেছি।

ধাপ - ৪ :

এরপর আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিলাম।

ধাপ - ৫ :

সরিষার তেল কিছুটা গরম হয়ে আসলে এরপর এর মধ্যে খেজুর গুলোকে দিয়ে দিলাম। হালকা একটু নাড়াচাড়া করে ভেজে নিব।

ধাপ - ৬ :

এরপরে আমি এর মধ্যে তেতুলের পাল্প দিয়ে দিলাম। এগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেজুরের সাথে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপ - ৭ :

এরপরে আমি এর মধ্যে গ্রেট করা গুড় দিয়ে দিলাম। গুড় দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিলাম।

ধাপ - ৮ :

এরপরে আমি এর মধ্যে মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম। মরিচের গুড়া দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব। এই আচারটা অনবরত নাড়তে হবে।

ধাপ - ৯ :

এরপরে এর মধ্যে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার দিয়ে দিলাম। ভিনেগারটা দিলে একটু পানির মত বের হবে। এরপর নাড়াচাড়া করে দিব।

ধাপ - ১০ :

এ পর্যায়ে আমি এর মধ্যে লবণ এবং বিট লবণ দিয়ে দিলাম। দুটোর পরিমাণ হিসাব করে দিতে হবে। সাথে সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিব। নাড়তে নাড়তে দেখা যাবে খেজুরটা একেবারে গলে যাবে।

ধাপ - ১১ :

এ পর্যায়ে আমি পাঁচফোড়ন টেলে তারপর গুঁড়ো করে রেখেছিলাম। সেখান থেকে 2 টেবিল চামচ দিয়ে দিলাম। মসলাটা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব।

ধাপ - ১২ :

এরপরে আমি এর মধ্যে শুকনো মরিচ ব্লেন্ড করা দিয়ে দিলাম। এগুলো দিলে ফ্লেভার টা অনেক সুন্দর দেখায়। সাথে সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব।

ধাপ - ১৩ :

একটা একটা করে সবগুলো উপকরণ দেওয়া হয়ে গেলে দেখব এই আচারটা একেবারে গলে গিয়েছে। তার সাথে একেবারে তলানি থেকে উঠে আসছে। যখন একেবারে আলাদা হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নেব।

শেষ ধাপ :

এরপরে আমি পরিবেশন করলাম। এটা খেতে কিন্তু বেশ মজা হয়েছিল। আশা করি আমার খেজুরের আচার রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	রেসিপি
ডিভাইস	Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফার	@bdwomen
লোকেশন	ফেনী

ধন্যবাদ সবাইকে