গল্প :- মাছ ধরার গল্প।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প। কিছুদিন আগে শুক্রবারে আমি আর আমার হাজব্যান্ড বিকাল বেলা পুকুরে ছোট বরশি দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করলাম। আমরা দুইজন দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া করে বলতেছি বিকেল বেলা পুকুরে বরশি দিয়ে মাছ ধরবো। যে বেশি মাছ পাবে তাকে দোকান থেকে নাস্তা এনে খাওয়াতে হবে। যদিও বাজি টি আমি এভাবে ধরেছিলাম। কারণ তার একদিন আগে দোকান থেকে ছোট পাঁচটি মাছ ধরার বড়ই এনেছে। যদিও আমরা বড়ই বলি মাছ ধরার বড়শিটিকে
এরপর আমরা বিকেল তিনটা বাজে দুইজনে দুটি বরশি নিয়ে বসে পড়লাম। যদিও পুকুরটি আমার হাজবেন্ডের ঘরের একদম পাশে। যেখানে তাদের পানির কল আছে তার সাথে পুকুর। এবং পানির কলের জায়গাটি পাকা থাকার কারণে সুবিধা হয়েছে। আবার কথা হইছে আসরের আযান দিলে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। যদিও আমি যে যে সত্যগুলো দিয়েছি সবগুলো আমার হাজব্যান্ড মেনে নিয়েছে। এরপর আমরা যখন পুকুরে বরসি পালাই তখন প্রথমে কারো বরশির মধ্যে মাছ ধরে নাই।
প্রায় বিশ মিনিট পর আমার বরশির মধ্যে একটি কৈ মাছ ধরেছে। এরপর আমি খুব আনন্দ পেলাম এবং খুশিতে হাততালি দিতে লাগলাম। এমন সময় আমার শাশুড়ি ঘর থেকে গিয়ে দেখতেছে কি কারন আমি এত খুশি। এরপর আমার শাশুড়িকে আমি আমাদের বাজির কথা বললাম। এরপর আমার শাশুড়ি ও বসে বসে দেখতেছে কে কয়টি মাছ পায়। প্রথম চল্লিশ মিনিটের মধ্যে আমি পাঁচটি কৈ মাছ পেয়েছি। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড একটিও মাছ পাই নাই। এবং সে অনেক চিন্তা করতেছে কেন মাছ পাইতেছে না।
তারপর সে বলতেছে বরশি চেঞ্জ করবে। এরপর আমি আমার বড়শিটি তাকে দিয়ে দিলাম তারটি আমি নিজে নিয়ে নিলাম। বরশি চেঞ্জ করার পর আমার বরশির মধ্যে অনেকগুলো মাছ ধরতেছে। তারপর আসরের নামাজের আগ পর্যন্ত আমি ১১ টি কৈ মাছ পেয়েছি। তবে পুকুর থেকে অন্য কোন মাছ আমার বরশির মধ্যে ধরে নাই। আর আমার হাজবেন্ডের বরসির মধ্যে একটি মাছও ধরে নাই। এরপর সে একটি বায়না ধরেছে তার একটি জরুরী কাজ আছে এই কথা বলে ওঠে গেলেন। চলে যাওয়ার পর আমি তার উপর অনেক ক্ষেপে গিয়েছি। কারণ সে বাজিতে হেরে গেল।
এরপর মাগরিবের নামাজের পর দোকান থেকে আসার সময়। সেই আলু পুরি ও পরোটা এবং ঠান্ডা নিয়ে আসলো। এই নিয়ে যখন বাড়িতে আসলো প্রথমে আমাদেরকে না বলে নাস্তাগুলো এক পাশে লুকিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে যখন তাকে দেখলাম সেই বলতে লাগলো অন্যদিন নাস্তা করাবে। আমি বলতেছি আজ নাস্তা করাতে হবে। পরবর্তীতে আমি গরম হওয়ার কারণে নাস্তাগুলো বের করে দিলেন। এবং আমি আমার শাশুড়ি ও শশুর সবাই খুব মজা করে নাস্তা গুলো খেলাম।
যদিও আমি যেটি বলি আমার হাজব্যান্ড সেটি দোকান থেকে আনার চেষ্টা করে। সত্যি বলতে ঐদিন বাজিতে জেতা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তাই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার বাজিতে জেতা পোস্ট পড়ে আপনাকে ভালো লাগে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1709188542084317484?t=O5Goh0sksNaZv3wlj1a1Cw&s=19
বরশি দিয়ে মাছ ধরার আনন্দ আলাদা। আর সেটা যদি হয় প্রিয়জনের সাথে তাহলে তো কোন কথাই নেই। তবে বেশি আনন্দ লাগে প্রিয়জন যখন ধরতে পারেনা নিজে যদি ধরতে পারি। ঠিক তেমনটাই আপনার ঘটনা পড়ে বুঝলাম। যাইহোক অনেক অনেক ভালো লাগলো মাছ ধরার ঘটনা পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
মাছ ধরার দারুন একটা প্রতিযোগিতার গল্প পড়লাম। যেখানে ভাই একটা মাছও বড়শিতে ফেলাতে পারেনি আর আপনি এগারোটি মাছ ধরেছেন যেটা আপনার কাছে অনেক আনন্দের ছিল। এর আগে আমরা এইরকম একটি প্রতিযোগিতা করেছিলাম অনেক মজা হয় ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
প্রিয়জনের সাথে যে কোন প্রতিযোগিতা করলে জিততে পারলে খুব ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে।
আপু, পুকুরের মাছও বোঝে লেডিস ফার্স্ট। আর তাইতো আপনার হাজবেন্ডের বড়শিতে মাছ না ধরে, আপনার বড়শিতে আগে মাছ ধরেছে। আবার পুকুরের মাছ এটাও বোঝে আপনি না জিততে পারলে আপনার হাজবেন্ডের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে😁। এজন্যই বেচারা মাছ আপনার স্বামীকে সহযোগিতা করার জন্য আপনার বড়শিতেই ধরা দিয়েছে হাহাহা মজা করলাম আপু। যাইহোক, দুজনে মিলে বড়শিতে মাছ ধরার সময়টুকু বেশ উপভোগ করেছেন তা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারছি। যদিও বা আপনার হাজব্যান্ড আপনাকে সব কিছুই কিনে এনে খাওয়ায়, তবুও বাজির খাওয়া খেতে সত্যি আলাদা একটা মজা পাওয়া যায়। আপু, আপনার মাছ ধরার গল্প পড়ে খুবই ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া বাজিতে জিতা খাওয়ার মজাই আলাদা। পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর করে উৎসাহিতমূলক মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও মাঝে মাঝে পুকুরে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরি। যাইহোক আপনার ভাগ্য ভালো তাই এতো মাছ পেয়েছেন। আর ভাইয়ার ভাগ্যটাই খারাপ। শাশুড়ির কথায় আপনারা দুজনে বাজি ধরে ভালো করেছেন আপনি গরম গরম নাস্তা পেয়ে গিয়েছেন। যাই হোক আমি ভাইয়ার ভাগ্য খারাপ বলবো না কারণ ভাইয়ের ভাগ্য খারাপ হলে আপনার মত বউ কপালে যুটতো না। 🙂
আপনাদের ভাইয়া আমাকে পেয়ে কতটুক ভাগ্যবান তবে আমি জানিনা। তবে ঐদিন বরশি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক মজাই হয়েছে। এবং কি আমার শাশুড়ি পর্যন্ত বসে ছিল মাছ ধরা দেখতেছে। যাইহোক অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বরশি দিয়ে মাছ ধরার গল্পটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বরশি দিয়ে মাছ ধরার মজাটাই আলাদা। এবং ১১ টি মাছ পেয়েছেন খুবই আনন্দের কথা । বাজিতে জিতে আপনি গরম গরম নাস্তা পেয়ে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এদিকে ভাইয়া বাজিতে হেরে নিশ্চয়ই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তবে কেউ বাজিতে হেরে গেলে মন তো এমনিতেই খারাপ হয়ে যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
বড়শি দিয়ে মাছ ধরা আসলে অনেক মজার একটি ব্যাপার। আপনি বাজিতে যেতে গিয়েছেন ব্যাপারটা বেশ আনন্দের। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য
ঠিক বলেছেন বরশি দিয়ে মাছ ধরা অনেক মজার ব্যাপার। পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বরশি দিয়ে মাছ ধরা একটা ধৈর্য পরীক্ষা দেওয়ার মত যেমন আপনি ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরে আপনার বড়শিতে একটি কৈ মাছ ধরেছিল। তবে যখন বড়সিতে ধরা পড়ে মাছ তখন সেই দীর্ঘ অপেক্ষার দুঃখটা আর থাকে না।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মাছ ধরার গল্প পড়ে বেশ মজা পেলাম।আসলেই এটা ঝুঁকিপূর্ণ যেমন তেমনি মজার।আপনি তাহলে অনেকগুলো কৈ মাছ পেয়ে জিতেছিলেন।আর আপনার স্বামী হেরে গিয়ে আপনাদের খাওয়ালো এই চ্যালেঞ্জটি দারুণ বলতে হয়।তাছাড়া আপনারা বড়ই বলেন বড়শিকে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু আমরা গ্রামের বাসা বড়শীকে বড়ই বলি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।