গল্প:-প্রেমের কারণে জীবন নষ্ট। ( শেষ পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এরকম ঘটনা প্রায় আমাদের চোখের সামনেও ঘটে যায়। তাই আজকে প্রেমের কারণে জীবন নষ্ট ওই গল্পটির শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এরপর আবদুল হাই মিয়া তার বাবার সাথে রাগ অভিমান করলো। এবং সে বলতেছে যতদিন পর্যন্ত বাবা বেঁচে থাকবে সে ততদিন পর্যন্ত বিয়ে করবে না। কথাটি এইভাবে তার বাবাকে সে বললেন। যদিও আব্দুল হাই মিয়া পড়ালেখা বন্ধ করেন নাই। এরপর সে অন্য জায়গা থেকে পড়ালেখা করেছেন এবং কখনো বাড়িতে আসতেন না। এবং বাবার সাথে কথা বলতেন না। এরপর সেই লেখাপড়া যখন শেষ করল তখন তার বাবা তাকে বিয়ে করানোর জন্য চেষ্টা করলেন। সে বলতেছে সে কখনো বিয়ে করবে না।
এবং সে আবারও তার বাবাকে বলল সেই জীবিত থাকলে বিয়ে করবে না। তার বাবাকে তার ওয়াইফ কখনো দেখাবে না। এরপর তার বাবার মনে অনেক কষ্ট গেল। বলতেছে তুমি ছেলে হয়ে আমার সাথে এরকম ব্যবহার করলে। এরপর আব্দুল হাই মিয়া একটি স্কুলের চাকরি নিলেন এবং ওখানে চাকরি করেছেন। তবে বোনদের বাড়িতে আসেন এবং বোনদের সাথে দেখাশোনা করে। এবং বাবার সাথে কথা বলে না তার সাথে দেখাও করে না।
এভাবে যেতে যেতে প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল তার স্কুল জীবনের চাকরি। তারপরও সেই বিয়ে করলেন না। বিগত কয়েক বছর আগে আব্দুল হাই মিয়ার বাবা মারা গেল। তবে সে ওই সময় বিয়ে করলেন না। এবং মরে যাওয়ার সময় আব্দুল হাই মিয়ার বাবা বলে গেল সে কখনো বিয়ে করলে সুখী হবে না। যদিও নয়নের ছেলে মেয়ে তিনজন নিয়ে সেই সুখে আছে। নয়ন বিয়ের পর থেকে আব্দুল হাই মিয়ার সাথে আর কথা বলে না। তাকে দেখলে সে ওই দিকে আর তাকায় না।
এরপর আব্দুল হাই মিয়ার বাবা যখন মারা গেলেন তখন অনেকে বলল তার বাবা এই কথা বলেছেন। সেই বিয়ে করলে সুখী হবে না। তারপর আব্দুল হাই মিয়া সিদ্ধান্ত নিলেন সে আর বিয়ে করবে না। কারণ সে জানে তার বাবা একজন আলেম মানুষ যেটা বলে ওটাই হয়। তারপর সে বিয়ে করা বাদ দিলেন। যদিও তার ফ্যামিলির মা ভাই বোনেরা অনেক চেষ্টা করল তাকে বিয়ে করানোর জন্য। সে বলে দিল আর বিয়ে করবে না। এভাবে তার জীবন যেতে লাগলো।
বর্তমানে সে নিজের খাওয়া-দাওয়া নিজে রান্না করে খায়। তবে বাবার উপরে মনে কষ্ট নিয়ে তার জীবনটা সেই নষ্ট করে দিলেন। বর্তমানে তার বয়স ৫০ বছর হয়ে গেল সে এখনো বিয়ে করল না। অনেক সময় প্রেমের কারণে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। যেমনটি আব্দুল হাই মিয়ার জীবন হয়ে গেল। আসলে বাবার উপর মনে কষ্ট নিয়ে সে জীবনে বিয়ে করল না। এভাবেই আবুল হাই মিয়া জীবন কাটতে লাগলো। এই হচ্ছে বাস্তব একটি ঘটনা। চেষ্টা করলাম সুন্দরভাবে বাস্তব ঘটনাটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আশা করি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1748916340512244047?t=a7PklZg3RHe-xJvoTfOgvQ&s=19
আব্দুল হাই মিয়া দেখছি তার বাবার উপরে রাগ করে বিয়ে করলেন না। সত্যি বলতে সে যখন বলেছে তার বাবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিয়ে করবে না তখন আসলে খুবই খারাপ লেগেছে। তবে তার বাবা মারা যাওয়ার পরেও দেখছি তিনি বিয়ে করলেন না। একটার আগের জন্য সারাটা জীবন এইভাবে কাটিয়ে দিলেন। একেকজন একেক রকম ভাবে নিজের জীবনটাকে নষ্ট করে। যদি সেদিনের রাগটা ভুলে যেত হয়তো এরকম হত না।
হ্যাঁ আপু আব্দুল হাই মিয়া বাবার উপর রাগ করে বিয়ে করলেন না। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আব্দুল হাই মিয়ার এই সিদ্ধান্ত একদম উচিত হয়নি নেওয়া। বাবার উপর রাগ করে সে আর বিয়ে করলেন না। আসলে সে একজন শিক্ষিত মানুষ তার এমন সিদ্ধান্ত একদম বোকামি ছাড়া কিছুই না। তবে বাড়ির মধ্যে দূর সম্পর্কের ভাতিজিকে পছন্দ করে এটা হয়তো কোন অভিভাবক মেনে নেবে না। এখন বর্তমানে তার বয়সও ৫০ বছর হয়ে গেল। আসলে এরকম ঘটনাগুলো শুনলে নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। যাহোক গল্পটি দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
তার এই সিদ্ধান্ত শুনলে সবাই অবাক হয়ে যায়। রাগ করে সে তার জীবনটাই নষ্ট করে দিল। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আব্দুল হাই মিয়া তার বাবার উপরে রাগ করে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করলেন না। আসলে আমি মনে করি আব্দুল হাই মিয়া তার বাবার উপরে এতটা রাগ করা উচিত হয়নি। কারণ মা বাবার মনে কষ্ট দেওয়ার ভালো না। বাবার কাছে জীবিত থাকতে মাপ চেয়ে বিয়ে করা উচিত ছিল। বর্তমানে এখন তার পঞ্চাশ বছর হয়ে গেছে তাও নিজেই রান্না করে খাওয়া লাগে। আসলে এ ধরনের ঘটনা গুলো পড়লে বেশ খারাপ লাগে। তার জীবনটা এভাবে নষ্ট হয়ে গেল।
ঠিক বলেছেন আব্দুল হাই মিয়া তার বাবার উপরে এতটা রাগ করা উচিত হয়নি। আর মা-বাবা কখনো সন্তানের খারাপ চাই না। যাইহোক অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম। আব্দুল হাই মিয়া নিজের বাবার সাথে রাগ করে, শেষ পর্যন্ত বিয়ে করলো না। এটা মোটেই উচিত হয়নি। নয়ন দূরের আত্মীয় হলেও তো ভাতিজী হয়,আর এই ধরনের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না। আমার মতে আব্দুল হাই মিয়ার বাবা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এদিকে নয়ন তো সুখের সংসার করছে। শুধু শুধু আব্দুল হাই মিয়া তার বাবাকে কষ্ট দিলো এবং এখন নিজেও কষ্ট করছে। আসলে শেষ বয়সে হলেও সবার সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ নয়ন দূর সম্পর্কে ভাতিজি হয় বাড়ির মধ্যে। তবে এরকম সম্পর্ক গুলো কেউ মেনে নিতে চায় না। হয়তো আব্দুল হাই মিয়ার বাবা তাই করলেন। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। সে পর্বের মধ্যে আপনি খুব ভালোভাবে সবগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন। আজকের এই শেষ পর্বের মধ্যেও আপনি খুব সুন্দর ভাবেই সব বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে আব্দুল হাই মিয়া যখন তার ভাতিজির সাথে অজান্তেই প্রেম করেছিল তখন তিনি সেটি বুঝতে পারেনি৷ পরে যখন তিনি বুঝতে পারেন তখন তিনি বা তার বাবার উপরে রাগ করে বিয়েই করলেন না। অন্যদিকে তার ভাতিজি বিয়ে করে সুখের সংসার করছে। ফলে তিনিও যেরকম কষ্ট পাচ্ছেন, তার বাবাকেও অনেক কষ্ট দিয়েছেন৷
আমার গল্পটি পড়ে আপনি খুব অসাধারণ মন্তব্য করেছেন। আশা করি সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন।