গল্প:-ননদের জ্বালায় ভাবি অতিষ্ঠ।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago (edited)

Blue Paint & Paper Sales Ad Instagram Post_20231010_214250_0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমার শ্বশুরবাড়ি এবং আমার হাসবেন্ডের চাচার ঘরে। আমার হাজব্যান্ডের চাচাতো ভাই দেলোয়ার বিয়ে করেছে তার দুটি মাত্র সন্তান আছে। সন্তান দুইটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং খুব ভদ্র। যদিও বড় ছেলে আমার হাজব্যান্ড যে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে ওখানে পড়ালেখা করে। রাত্রেবেলা আমাদের ঘরে প্রাইভেট পড়ে আমার হাজবেন্ডের কাছে। ছেলেটির নাম হচ্ছে জিদান। তার ছোট ভাইয়ের নাম হচ্ছে জিসান। জিদান আমাদের ঘরে লেখাপড়া করে এবং আমাদের ঘরে রাত্রে নাস্তা খায়।

আমার শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই জিদানকে অনেক আদর করে। জিদান বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। তার বাবার পাঁচটি বোন আছে। এবং একটি বোন সব সময় বাবার বাড়িতে থাকে। যদি ও একটি ভাই পাঁচটি বোন তাদের সংসারে। বোন সবগুলো বিয়ে হয়ে গেছে। তিন নম্বর বোন বাবার বাড়িতে থাকে এবং তার দুটি মাত্র মেয়ে আছে। অন্য বোন গুলো সব সময় আসা-যাওয়ার মধ্যে আছে। যেই বোনটি বাবার বাড়িতে থাকে তার নাম হচ্ছে আয়েশা। সেই সারাক্ষণ ভাবির পিছনে লেগেই থাকে। ঘরের কোন কাজ কাম কিছুই করে না। নাস্তা হতে খাওয়া দাওয়া সবগুলো রেডি হলে সেই আগেই খাওয়া-দাওয়া করে তার মেয়ে দুটি নিয়ে।

খাওয়া দাওয়া করতে করতে শুধু বদনাম করে খাওয়া স্বাদ হয় নাই নাস্তাগুলো ঠিকমতো তৈরি করে নাই। আর কিছু ভুল দেখলে সাথে সাথে তার মা-বাবার কাছে বলে ভাবির নামে। এবং জিদানের দাদা দাদী তার ফুফুর কথায় বিশ্বাস করে। কিছুদিন আগে জিদানের আম্মু নুডুলস বানিয়েছিল তার ছোট ছেলের জন্য। এবং জিদানের আম্মু নুডুলস গুলো রাখলো সবাই একসাথে এসে খাবে। এবং জিদানের ফুফু তার মেয়ে দুটি এবং নিজে সবগুলো খেয়ে ফেলেছে। এবং জিদানের ছোট ভাই জিসানকে নুডুলস দেয় নাই। তখন জিদানের আম্মু বলতে লাগলো ছোট বাচ্চাকে কেন নুডুলস দেয়া নেই।

বলার সাথে সাথে জিদানের আম্মুর উপর ছড়া হয়ে তার সাথে ঝগড়া লেগে গেল। এমন সময় জিদানের আম্মু আয়েশার সাথে ঝগড়া লেগে গেল। জিদানের আম্মু বলতেছে নাস্তা আমি তৈরি করেছি আমার ছেলেকে না দিয়ে তুই কেন এই নাস্তা খেয়ে ফেললি তোর মেয়েদেরকে নিয়ে। তখন আয়েশা বলতেছি তুই ঘর থেকে বাহির হও এখানে তোর কোন কথা নেই। এই টাকা পয়সা সব আমার ভাইয়ের বাড়ি ঘর তোর এখানে কথা বলার কিছুই নেই। এরপর ভাবী এবং ননদ অনেকক্ষণ ঝগড়া করল। এমন সময় জিদানের আম্মু তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যেতেছে। এবং যাওয়ার সময় তার শাশুড়ি দেখে ফেলেছে জিদানের আম্মুকে।

যদিও জিদানের আম্মু না বলে ছেলে দুটি নিয়ে চলে যেতেছে। এমন সময় জিদানের দাদু আমার হাজব্যান্ড কে ডাকলেন। যদিও আমার শ্বশুরবাড়িতে বড় ছেলের মধ্যে আমার হাজব্যান্ডে আছে। এরপর আমার হাসবেন্ড এবং আমার শাশুড়ি গিয়ে আয়েশা এবং তার ভাবিকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে ঝগড়া না করার জন্য বলল। যদি এখানে সব দোষ তার ননদ আয়েশার। কারন সেই তার ভাবি এবং ভাতিজার খাওয়া-দাওয়া একদম দেখতে পারেনা। এবং তার ভাবি ভালো কিছু খাওয়া দাওয়া করুক সেই একদম সহ্য করতে পারে না। সারাক্ষণ বাড়িতে মানুষের কাছে তার বদনাম করে। এবং বলতে থাকে ভাবির বংশে নীচু বংশ। এই হচ্ছে আমার বাস্তব গল্প ননদের অত্যাচারে ভাবি অতিষ্ঠ। আশা করি বাস্তব গল্পটির পড়ে অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 9 months ago 

আপনার এই লেখাটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো আপনার ওই ভাবীর জন্য। তবে আপু, বাবা-মায়ের ভালোবাসা যেমন প্রয়োজন, তেমনি শাসনও প্রয়োজন। সেই ননদ যদি সবসময় এমন ব্যবহার করে তার ভাবীর সাথে, তাদের বাবা-মায়ের অবশ্যই বিষয়টিকে প্রতিহত করা উচিত। এবং যে ভুল, তাকে শাসন করা উচিত।
আর আপু, কাইন্ডলি ক্যাপশন টা ঠিক করে নিবেন। হয়তো শব্দটা " ঝালাই" এর পরিবর্তে "জ্বালায়" বা " যন্ত্রণায়" হবে..

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। আর ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 9 months ago (edited)

আসলে যে মেয়ে বিয়ের পরে বাবার বাড়িতে থাকে সেই মেয়েগুলো একটু ঝগড়াটে টাইপের হয়। এটি চিরাচরিত নিয়ম। আরে এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে ওহরহ দেখা যাচ্ছে। ননদ ভাবির ঝগড়া এটা নতুন কিছু নয়। এক্ষেত্রে ভাইরা একটু শক্ত হলে বোন গুলো ভাবিদের সঙ্গে এত খারাপ আচরণ করার সাহস পায় না। নতুবা ভাবীর জীবন ছারখার করে ছাড়ে। তবে আপু আপনার টাইটেলে লেখায় ভুল আছে ঠিক করে নেবেন।ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ঠিক বলেছেন যে মেয়েরা বিয়ের পরে বাবার বাড়িতে থাকে তারা একটু ঝগড়াটে হয়। আর আপু ভুলটি আমি ঠিক করে নিয়েছি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

আপনার শাশুড়ি এবং আপনার হাসবেন্ড গিয়ে অবশেষে ননদ ভাবিকে বুঝিয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে ননদ ভাবির মাঝে এই ঝগড়া আমরা সব সময় দেখি। তবে সব কিছুর সমাধান আছে। সবারই চেষ্টা করা উচিত সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার।

 9 months ago 

আমার হাসবেন্ড এবং শাশুড়ি গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বলেছে ঝগড়া না করার জন্য। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

তুমি বাস্তব একটি গল্প আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। যে ঘরে বিয়ের পর মেয়ে থাকে কোন দরকার ছাড়া ওই ঘরে কখনো সুখ পাওয়া যাবে না। কারণ তারা ভাবির পিছনে সব সময় লেগেই থাকে। তবে আয়েশা এমনি তো অনেক খারাপ মানুষ। তবে শশুর শাশুড়ি যেমন মেয়েকে ভালবাসবে তেমন ছেলের ওয়াইফ কেউ ভালবাসতে হবে কারণ তাদের এটি কর্তব্য। যাইহোক ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করে ননদ ভাবি আবার এক হয়ে যাবে এই কামেনা করি। যেহেতু ঘটনাটি আমাদের বাড়ির আমি সম্পূর্ণ জানি। তবে তুমি বাস্তব গল্পটি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে লিখে যাও।

 9 months ago 

তুমি গল্প নিয়ে অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছো তাই তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

সংসারের মধ্যে এমন কিছু কাঁটা থাকলে সে সংসারে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকে। এমন ঝামেলা গুলো প্রায় সময় মাঝে মধ্যে সব সংসারে হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের বিয়ে করানোর পর মেয়ে বাচ্চা নিয়ে সংসারে থাকলে ভীষণ ঝামেলা হয়। তাছাড়া সে তো সব সময় অন্যায় করতেছে। এক সাথে থাকলে তো ভাগাভাগি করে কাজকর্ম করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করলেন।

 9 months ago 

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ননদ বিয়ের পরে বাবার বাড়িতে পড়ে থাকলে সেসব ননদ এভাবে ভাবিদের পিছনে লেগে থাকে। এই কাহিনী আমি প্রায় জায়গায় লক্ষ্য করি। আপনার শাশুড়ি এবং আপনার হাসবেন্ড অবশেষে যে তাদের থামিয়েছে এটা শুনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু একটি বাস্তব কাহিনী আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।

 9 months ago 

ঝগড়ার মধ্যে কেউ না কেউ এসে ঝগড়া থামানো দরকার। আমার হাসবেন্ড এবং শাশুড়ি ঝগড়া থামিয়েছেন এটি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর করে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

এরকম একটা ননদ যদি ঘরে থাকে তাহলে সংসারটা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ভাইয়া এবং আন্টি গিয়ে ননদ এবং ভাবিকে বুঝিয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম সংসার গুলোতে এই ধরনের সমস্যা হলে সংসারটা নষ্ট হয়ে যায় একে অপরের প্রতি বিশ্বাস হয়ে যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে বাস্তবিক এই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

 9 months ago 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66895.91
ETH 3499.24
USDT 1.00
SBD 2.89