গল্প:- শাশুড়ির অশান্তি ( শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

1_20230501_195009_0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। কিছু দিন আগে এই পর্বে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। তাই আজকে বাকি পর্ব শেয়ার করেছি। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

বড় ছেলের ওয়াইফ কে সে দেখতে পারে। এই কথা বলে বলে মন্নান এর মাথা খারাপ করে দিল। এদিকে বড় ছেলে দেশে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করে। এবং বড় ছেলে স্কুল থেকে আসলে তার ওয়াইফ বলতে লাগে তার শাশুড়ি ছোট বউকে ভালো পায়। এই কারণে সারাক্ষণ তাকে কাজ করতে বলে এবং তার বাচ্চাটিও দেখতে পারে না। এই কথাগুলো শুনে বড় ছেলে আব্দুল হাই সব সময় তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমত অবস্থায় ছেলে দুটির মায়ের অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে।

এভাবে প্রায় আরো দুটি বছর গেল। এমত অবস্থা ছোট ছেলে আবার বিদেশ থেকে আসলো। এরপর সব সময় বউ দুটি ঝগড়া করে থাকে। এবং কারো সাথে কেউ কথা বলতেও রাজি নয়। তারপর তাদের শাশুড়ি বলতে লাগলো ছেলে দুটিকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য। এই বলে বাড়ির আরো কয়েকজন লোককে ডেকে ছেলের দুটিকে ফ্যামিলি আলাগ করে দিল। এবং বাড়ির লোক গুলো ঠিক করে দিল তাদের মা ১৫ দিন করে বড় ছেলের দিকে খাবার খাবে। বাকি ১৫ দিন ছোট ছেলের ঘরে খাবার খাবে। এবং ডাক্তারি খরচ দুইজনে বহন করতে হবে।

যখন তাদের শাশুড়ি বড় ছেলে এবং ছোট ছেলের ঘরে খাবার খায়। সারাক্ষণ বউ দুটি তার শাশুড়িকে দিয়ে ঘরের কাজগুলো করায়। এবং একটু এদিক অধিক হলে শাশুড়ির সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এবং তাদের হাজবেন্ডের দিও খারাপ ব্যবহার করতো। কিন্তু ছেলে দুটি বোঝে না তাদের মা এত কষ্ট করে তাদেরকে বড় করলেন না খেয়ে। এভাবে তাদের শাশুড়ির অনেক কষ্টের দিন যেতে লাগলো। হঠাৎ করে একদিন ছেলে দুটির মা অসুস্থ হয়ে পড়লো।

যখন তাদের মা অসুস্থ হলো ওই সময় ছোট ঘরে খাওয়া দাওয়া করত তাদের মা। এই কারণে বড় ছেলে এবং বড় ছেলের ওয়াইফ কোন ডাক্তারের চিকিৎসা এবং দেখাশুনা করতেছে না। কিছুদিন পর তাদের শাশুড়ি মারা গেল। এরপর বড় ছেলের বউ সবসময় বলতে থাকে ছোট ছেলের ওয়াইফ ঠিকমতো দেখাশোনা করে নাই এ কারণে মারা গেল। এবং বউ দুটি সব সময় একজনের পিছে একজন লেগেই আছে। এবং শাশুড়ি মারা গেল তাদের কোন আফসোস নেই কিন্তু সব সময় দুজন ঝগড়া করে থাকে।

এবং এখনো সব সময় দুইজন বউ এবং ভাইগুলো ঝগড়া করে কোন মিল নেই। একজনের ছায়া একজন ও দেখতে পারেনা। বড় ছেলের ওয়াইফ বলতে লাগে ছোট ছেলের ওয়াইফ তার শাশুড়িকে দেখতে পারতো না। এবং ছোট ছেলের ওয়াইফ বলে বড় ছেলের ওয়াইফ তার শাশুড়িকে দেখতে পারতো না। অতসব দুইজনে ই তার শাশুড়িকে দেখতে পারত না এবং ঠিকমতো খানাও দিত না। সবথেকে বড় কথা হলো মান্নান এবং আব্দুল হাইকে এত কষ্ট করে লালন পালন করলো তার মা। ছেলে দুইটি ও তার মায়ের কষ্ট বুঝলো না। এতএব শাশুড়ি অনেক কষ্ট করে পৃথিবী থেকে চলে গেল। এই হচ্ছে শাশুড়ির অশান্তি এবং মৃত্যুর ঘটনা।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago 

আপু বেশ সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাস্তবে খোঁজ করলে এরকম অনেক পরিবারে পাওয়া যাবে। যারা শাশুড়ির কোন খোঁজ খবর রাখে না। বেশ কষ্ট হচ্ছে মহিলাটির জন্য। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 2 years ago 

সমাজে অনেক বউ আছে যারা শাশুড়িকে দেখতে পারে না।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে আমার পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

সত্যি আপু আমাদের সমাজে এমন কিছু ছেলেরা আছে তারা ভাবে যে তাদের বউই সব।আসলে মার কথা কেউ মনে রাখেনা। তারা ভাবে না মায়ের জন্য আজ তারা পৃথিবীর আলো দেখেছে।যাইহোক অনেক কষ্ট নিয়ে শাশুড়ি পৃথিবীতে থেকে বিদায় নিল।সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন এমন ছেলে আমাদের সমাজে আছে যারা বউকে সব মনে করে। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। মান্নান এবং আব্দুল হাই তাদের বউদের কথা শুনে মায়ের ঠিকমতো কেয়ার করত না। আপনার পোষ্টের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছি। মা এত কষ্ট করে তাদের মা বাবা মারা যাওয়ার পর তাদেরকে লালন পালন করে বড় করলো। অথচ মায়ের মৃত্যুর সময় তারা ঠিকমত ডাক্তারও দেখা নাই। তবে এদের বিচার একদিন হবে। তবে আজকে আপনার পোস্টটি অনেক কষ্টের।

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 89601.89
ETH 3380.22
USDT 1.00
SBD 3.05