(এসো নিজে করি) রেসিপি :- আলু আর মুলার স্বাদে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আবারো অন্যরকম সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। যতদিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজের করা রেসিপিগুলো অনেক সুন্দর হচ্ছে। তাই সব সময় ভিন্ন ভিন্ন রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। কারণ সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে খেতে যেমন নিজেরও ভালো লাগে না। তেমনি একই রকম রেসিপি দেখতেও ভালো লাগেনা। তাই আজকে আমি আলু আর মুলার সাথে পাঙ্গাস মাছ দিয়ে রান্না করলাম। আমার কাছে এমনিতে পাঙ্গাস মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছের মধ্যে কাটা না থাকার কারণে কমবেশি সবাই খেতে পছন্দ করে।
আমাদের পরিবারের সবারও পাঙ্গাস মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। আমরা তো প্রায় সব সময় পাঙ্গাস মাছ খেয়ে থাকি। অন্য কোনো রেসিপি আপনাদের মাঝে না শেয়ার করে নিজেদের পছন্দের একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্না করা রেসিপি শেয়ার করলাম। এই রেসিপিটি তৈরি করার পরে খেতে কিন্তু বেশ মজা হয়েছিল। বিশেষ করে এরকম রেসিপি দুপুরের গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। আমার তো এরকম রেসিপিগুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার এই রেসিপিটা আপনাদের সবারও খুবই পছন্দ হবে।
রান্নার উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাস মাছ | বড় ফ্রিজ ৫-৬টা |
মুলা | বড় গুলো ২টা |
আলু | বড় গুলো ২-৩ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টা |
লবণ | স্বাদমতো |
মরিচ গুঁড়ো | ৩ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়ো | ১.৫ চা চামচ |
রসুন | ২ চা চামচ |
রাঁধুনি মসলা | ১চা চামচ |
তেল | পরিমাণ মত |
পানি | পরিমাণ মত |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি পাঙ্গাস মাছ গুলোকে ভালোভাবে কেটে ধুয়ে নিলাম দিয়ে দিলাম। তারপর লবণ, হলুদ মেখে কিছুক্ষণ রেস্টে রেখে দিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর পাঙ্গাস মাছগুলোকে এক এক করে গরম তেলের মধ্যে ভালোভাবে ভেজে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর অন্য আরেকটি কড়াই এর মধ্যে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ, মরিচ, মসলা এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেটে চেটে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর কেটে রাখা আলু এবং মুলা গুলোকে সেই মসলা গুলোর মধ্যে ঢেলে নিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর অল্প কিছু ফানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ডেকে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর মুলা আর আলু গুলো একটু সিদ্ধ হয়ে আসলে তার মধ্যে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে আবারো নেটে চেটে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর রানা টা হয়ে আসলে তার মধ্যে কুঁচি করে রাখা কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে পুরো রান্নাটা শেষ করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে পুরো রেসিপিটা তৈরি করা শেষ করে নিলাম। আশা করি আমাদের রেসিপিটি আপনাদের সবার খুবই পছন্দ হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আলু আর মুলা সাথে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি দেখে একদম ইউনিক লেগেছে। কারণ আলু ও মুলা দিয়ে কখনো পাঙ্গাস রেসিপি তৈরি আমি করিনি। তাই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। পাঙ্গাস মাছ আমার মোটামুটি পছন্দের।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
https://twitter.com/bdwomen2/status/1775014317865513160?t=biQ3XHJZPj3W5e6R1lbHwg&s=19
আলু এবং মূলা দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এ ধরনের রেসিপি গুলো গরম ভাত দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেসিপিটি দেখতেও খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু গরম ভাতের সাথে রেসিপিটি খেতে কিন্তু বেশ দারুন লেগেছিল
আলু আর মুলার সাথে পাঙ্গাস মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। যদিও আমি পাঙ্গাস মাছ খুব একটা পছন্দ করি না। তবে আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখেই পাঙ্গাস মাছটি অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদুভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমারও কিন্তু পাঙ্গাস মাছ খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া মূলা অথবা ফুলকপি এসব দিয়ে রান্না করলে খেতে আরো ভালো লাগে।
আলু আর মুলা দিয়ে পাঙ্গাস মাছের খুব মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। পাঙ্গাস মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। রেসিপি পরিবেশন টা খুবই চমৎকার ছিল। শো প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি তো ভাবতেছি মুলার সিজন চলে গিয়েছে সেই কখন। আর আপনি পাঙ্গাস মাছ দিয়ে মুলার রেসিপি কিভাবে করলেন। এখন তো কোথাও মুলা পাওয়াই যায় না। তবে যাই হোক পাঙ্গাস মাছ কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। পাঙ্গাস মাছ এরকম ভাবে রান্না করলে এমনিতেই খুব সুস্বাদু হয়। রেসিপিটার পরিবেশন অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন। রেসিপিটা দেখেই তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এই রেসিপিটা কিন্তু গরম গরম ভাতের সাথে একেবারে জমে যাবে। নিশ্চয়ই এটা অনেক মজা করে খেয়েছিলেন আপনারা।
আসলে রেসিপিটা আমি অনেক আগে তৈরি করেছিলাম শুধুমাত্র শেয়ার করা হয়নি তাই আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আলু আর মূলো দিয়ে যে এমন করে পাঙ্গাস মাছ রান্না করে খাওয়া যায় সেটাই তো জানা ছিল না। আজ আপনার রেসিপি দেখে তো পুরা থো। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় মনে হচেছ। দারুন একটি রেসিপি আজ আপনি শেয়ার করেছেন ধাপে ধাপে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন রেসিপিটি আসলেই বেশ মজা ছিল। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার বেশ হাসি পায়।
আলু ও মুলার সাথে পাঙ্গাস মাছের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এ ধরনের রেসিপিগুলো গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ মজদায় লাগে। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে প্রথমে পাঙ্গাস মাছের টুকরো গুলো তেলের সাথে ভেজে নেওয়াটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন প্রথমে ভেজে নেওয়ার কারণে খেতে আরেকটু বেশি মজা হয়
এটা সত্যি বলেছেন যে সব সময় একই ধরনের রেসিপি খেতে ভালো লাগে না তাই মাঝেমধ্যে ভিন্ন আইটেমের রেসিপি খেতে বেশ ভালো লাগে। আজকে আলু আর মুলার স্বাদে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। মুলার কথা শুনলেই আমাদের এডমিন মোঃ হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে যায়। যাইহোক রেসিপিটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও মাঝেমধ্যে ভিন্ন ধরনের রেসিপিগুলো তৈরি করে খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের মূলা তো বেশ পছন্দের
পাঙ্গাস মাছ মজা করে রান্না করলে আমি জমিয়ে খাই। ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না আপু। অনেক সুন্দর করে রেসিপি পরিবেশন করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।