লাইফ স্টাইল :- শাশুড়ির জন্য শাড়ি কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। আমার কাছে ভিন্নরকম পোস্ট গুলো অনেক ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে।ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব। তাই আজকে আমার শাশুড়ির জন্য শাড়ি কেনার মুহূর্তটা শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার ভীষণ ভালো লাগবে।
শ্বশুরবাড়িতে আমার হাজব্যান্ড আর আমার ছোট মেয়ে সাথে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে থাকি। আমরা এখন আমাদের পরিবারে পাঁচজন সদস্য। সবাই বেশ হাসিখুশি ভাবেই থাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টিমেট আর পরিবারের সব কাজ চেষ্টা করি সঠিকভাবে সামলানোর জন্য। আমার ও আচ্ছা পরিবারের সবার খেয়াল রাখা কমবেশি চেষ্টা করি আমি। কার কখন কি লাগবে তাও দেখেশুনে রাখার চেষ্টা করি। আমার শ্বশুর শাশুড়ি প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ওনারা বাহিরে গিয়ে নিজেদের জন্য কিছু কেনাকাটাও করতে পারে না। প্রায় সময় বাড়িতেই তাদেরকে থাকতে হয়। কারণ বৃদ্ধ হবার কারণে গাড়িতে তেমন ওঠা বসা করতে পারে না।
দু-তিন মাস আগে আমার শাশুড়ির জন্য বাড়িতে পড়ার জন্য ২-৩ কাপড় নিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে আমি লক্ষ্য করেছিলাম আমার শাশুড়ির বাড়িতে ব্যবহার করা কাপড় গুলো একটু কালার কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম উনার জন্য বাজারে গিয়ে আরো কয়েকটি কাপড় নিয়ে আসব বাড়িতে পড়ার জন্য। তাই একদিন বিকেলে সোনিয়া আপুকে ফোন করে বললাম আমার শাশুড়ি আর মাইসুনের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে যেতে হবে। তারপর ও বলল আচ্ছা ঠিক আছে কবে যাবি আমাকে জানাস। তারপর একদিন বিকেলে আমি আমার হাজব্যান্ড আর আমার মেয়ে একসাথে বাজারে গেলাম। রকি ভাইয়া আর সোনিয়া আপু ওরা ওদের বাড়ি থেকে এসেছিল বাজারে।
তারপর সবাই মিলে একটি শপিংমলে ঢুকে গেলাম। তারপর বেছে বেছে একটি কাপড়ের দোকানে গেলাম। যেখানে বৃদ্ধ বয়স্কদের কাপড়-চোপড় রাখে। তাছাড়া ওখানে ছোট বাচ্চাদেরও জামা কাপড় রাখে। তাই আমরা ওখানে চলে গেলাম। তারপর দোকানদারকে বললাম আমার শাশুড়ির জন্য কিছু কাপড় দেখাতে। আসলে উনি কালারফুল কাপড়গুলো তেমন পছন্দ করেন না। কিছুটা ডিপ কালারের কাপড় গুলো পছন্দ করেন। সেই অনুযায়ী দোকানদারকে বলেছিলাম কাপড় দেখানোর জন্য যেগুলো বাসায় পড়তে পারবে। তারপর দোকানদার আমাদেরকে কিছু কাপড় একটার পর একটা বের করে দেখাচ্ছিল।
আমি আর সোনিয়া আপু কাপড় গুলো হাত দিয়ে দেখতেছিলাম। কারণ কিছু কিছু কাপড় মোটা থাকার কারণে পড়তে তেমন ভালো লাগেনা। আসলে কাপড় গুলো যত পাতলা হয় ততই পড়তে ভালো লাগে। আর আমার শাশুড়ি একদম মোটা কাপড় পরতে পারে না। তারপর আমরা দুটো কাপড় দেখে নিয়ে নিলাম আমার শাশুড়ির জন্য। তারপর দোকান থেকে সবাই মিলে কিছু খেয়ে নিলাম। আসলে কাপড় কিনতে গিয়ে সবাই মিলে বেশ আড্ডাও দিতে পারলাম। তারপর রকি ভাইয়াদের কাজ থাকার কারণে তারা বাড়িতে চলে গেল। তারপর আমি আর আমার হাজবেন্ডও কিছু কেনাকাটা আর বাজার করে আমরাও বাড়িতে চলে আসলাম।
আসলে আমাদের সবার উচিত পরিবারের যদি বয়স্ক কেউ থাকে তাদের যত্ন নেওয়ার। আসলে তাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তারা নিজের মতো করে কিছুই কিনতে পারে না। আমরা যদি নিজেদের মা বাবা অথবা শশুর শাশুড়ির খেয়াল না রাখে তাহলে কিভাবে হবে। আমার শশুর সব সময় একটা কথা বলে আমরা যতটুকু ওনাদের জন্য করব মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে আরো অনেক বেশি দেবে। আর আমি নিজেও এই কথা বিশ্বাস করি। তাই আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি ওনাদের খেয়াল রাখার। আজ এ পর্যন্ত আশা করি আমাদের কেনাকাটার মুহূর্তটা আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1743983155542167583?t=A8N0myYngd3vOPmhg3nVBQ&s=19
আমাদের সকলেরই উচিৎ পরিবারের বয়স্কের যত্ন নেয়া । তাদের শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা । এবং তাদের খাবার দাবারের প্রতি যত্নশীল হওয়া। তারা অনেক সময় নিজেদের প্রয়োজন নিজে বলতে সাস্বন্দ্যবোধ করে না। তাই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতি খেয়ার রেখে তার ব্যবস্থা করা দরকার। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
আমি ও চেষ্টা করি আমার শশুর শাশুড়ি একটু হলেও খেয়াল রাখার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। যেখানে আপনি আপনার শাশুড়ি আম্মার জন্য শাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে বাজারের দিকে রওনা দিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছুটা কাপড় দেখার পর কিন্তু কিনতে সক্ষম হয়েছেন। আপনি খুব সুন্দর কথা তুলে ধরেছেন। আসলে এভাবে যদি প্রত্যেকটা বেটার বো শাশুড়ির প্রতি যত্নশীল হয় তাহলে অবশ্যই অনেক দোয়া পাবেন এবং ছোয়াবের অধিকারী হবেন।
আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে এভাবেই আমরা সবাই একসাথে থাকতে পারি।
শাশুড়ির জন্য শাড়ি ক্রয়ের কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি নিশ্চিত যে আপনার শাশুড়ি আপনার নিকট থেকে যথার্থ যত্ন ও সেবা পায়। তাই আমি মনে করি প্রত্যেকের উচিত পরিবারের বয়স্ক অভিভাবকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো সঠিক সময়ে ক্রয় করে দেওয়া এবং তাদের যথার্থ সেবাযত্ন করা। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টে পড়ে।
আমার পোস্ট আপনার পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। এভাবেই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার শ্বশুরির জন্য শাড়ি কিনতে যাওয়ার মুহুর্ত গুলো বেশ ভালোই লাগলো।আসলে বয়স্ক মানুষদের সত্যি খুব ভালো করে খেয়াল রাখা দরকার। বয়স হলে মানুষ বাচ্চাদের মতো হয়ে যায়।জেনে ভালো লাগলো যে সোনিয়া আপুওরকি ভাইয়াও এসেছিল আপনাদের আসার কথা শুনে।দুজনে মিলে বেছে বেছে চিকন শুতার পাতলা শাড়ি কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার শাশুড়ি পাতলা কাপড় পড়তে বেশ পছন্দ করে। তাই চেষ্টা করেছো না পছন্দের মত কেনার জন্য।
কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। যে যেমন কাজ করবে, তেমন ফলাফল পাবে। অবশ্যই আমাদের সবার উচিত নিজের বাড়িতে থাকা বয়স্ক মানুষদের যত্ন নেওয়া। তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। আপনার শ্বাশুড়ির জন্য শাড়ি কিনেছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। কেনাকাটা করার সময় আপনাদের সাথে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপুও ছিলো, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন বয়স্কদের যদি আমরা না রাখি তাহলে কিভাবে হবে। এক দিন তো আমরাও বয়সক হবো আমি সব সময় এই চিন্তা করি।