গল্প:-চালাক ড্রাইভার।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। একটি অটোরিক্সার ড্রাইভার এর মজার এবং লোভী ঘটনা। আমার হাজবেন্ডের বড় বোনের স্বামীর বাড়ি দাগনভূঞা বাজারের পাশে। এই কারণে মাঝেমধ্যে কিছু বাজার ওখান থেকে তার দুলাভাই করে দেই। যদি আমরা বাজারের টাকাগুলো দিয়ে দিই। আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে বাজার অনেক দূর। এবং সেই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে এই কারণে বাজারে তেমন যেতে পারে না।
এরপর কিছুদিন আগে আমার হাজব্যান্ড কল করে তার দুলাভাইকে বলল কিছু বাজার নাম দিয়েছে সেগুলো করে দেওয়ার জন্য। যদিও আগে তার মোবাইলে টাকা গুলো পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপর দুলাভাই সকালবেলা বাজার করে দিলেন। এবং আমার ছোট ননদের বাড়ির জন্য বাজার করে দিলেন দুলাভাই। আসলে ছোট ননদের ছেলেমেয়েগুলো ছোট এবং হাজবেন্ড বিদেশ থাকে। এই কারণে তার বাজারগুলো দুলাভাই দাগনভূঞা নিয়ে বাজার থেকে করে দেই।
এরপর তাদের বাড়ির পরিচিত একজন ড্রাইভার এর কাছে বাজার গুলো দিলেন। যদিও আমার ননদের হাসবেন্ড ব্যস্ত সে কারণে কেউ সাথে আসে নাই । তারপর গাড়ির ড্রাইভার বাজারগুলো নিয়ে প্রথম আমার ছোট ননদের বাড়িতে গেল। ছোট ননদের হাজবেন্ডের বাড়ি আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে। আমার ছোট ননদের বাড়িতে যখন বাজার নিয়ে গেল আমার ছোট ননদ তাকে ১৫০ টাকা দিলেন। মূলত দাগনভূঞা থেকে ভাড়া যেত এই টাকায় তাকে দিয়ে দিলেন।
এরপর অটো রিক্সার ড্রাইভার আমাদের বাড়িতেও বাজার নিয়ে আসলো। ড্রাইভার আমাদেরকে বললেন না তাকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। ওই সময় আমার হাজব্যান্ড বাড়িতে ছিল না। এরপর আমি আমার কাছ থেকে ১৫০ টাকা থাকে গাড়ি ভাড়া দিলাম। এরপর সে আমাদের গাড়ি বাড়াও নিয়ে চলে গেল। মূলত আমি জানতাম না আমার ছোট ননদের বাড়িতে বাজার নিয়ে আসলো। দুইদিন আগে জানতে পারলাম ড্রাইভারকে আমার ছোট ননদে ভাড়া দিয়েছে।
তখন আমি তাকে বললাম আমি নিজেও ড্রাইভার কে ভাড়া দিয়েছি। এরপর ড্রাইভারকে যখন জিজ্ঞেস করল দুইজনের কাছ থেকে কেন ভাড়া নিয়ে নিয়েছে। ডাইভার হেসে এসে বলতেছে তারা দুজন আমাকে ভাড়া দিয়েছে এই কারণ আমি নিয়েছি। আসলে এইরকম কিছু করলে মানুষ মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়। এরপরে ড্রাইভার আমার ননদের হাজব্যান্ডকে নাস্তা করালো এবং বলতেছে তার ভুল হয়ে গেল। এরপর আমার ননদের হাজব্যান্ড কিছু আর বলল না। আসলে অতি চালাকি ও ভালো না।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1744698628500033724?t=M_KGbfm5SsKbcp2pRe8F9w&s=19
ড্রাইভারটি তো খুবই চালাক এবং লোভী ধরনের মানুষ। দুজনের থেকেই ভাড়া আদায় করে নিল। আসলে এ ধরনের মানুষগুলোর মন-মানসিকতা খুবই নিচু ধরনের হয়। আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া এই বাস্তব ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন ড্রাইভারটি খুবই চালাক এবং লোভী ধরনের মানুষ। সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম ঘটনা আমার পরিবারেও হয়েছিল আপু।আসলে লোভি ব্যাক্তিরা এরকম করে থাকে।শুধু লোভী নয় প্রতারক বলা যায় এমন ড্রাইভার কে।আসলে ওনারা মনে করে ওনাদের প্রতারণা কেউ ধরতে পারবে না।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এসব ড্রাইভার গুলোর ভিতরে প্রতারণা এবং লোভ কাজ করে। যাই হোক অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ড্রাইভার ভেবেছিল দু'জনের কাছ থেকে ভাড়া নিলে আপনারা জানতে পারবেন না। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিল অটোরিকশা ড্রাইভার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা খেয়ে গেল। কথায় আছে অতি চালাকের গলায় দড়ি। ড্রাইভারের ক্ষেত্রে এটাই ঘটলো। কয়েকমাস আগে আমাদের বাসায় মিলাদ পড়িয়েছিলাম। তখন আমি ব্যস্ততার জন্য প্রথমে মিলাদে থাকতে পারিনি,শেষের দিকে জয়েন করেছিলাম মিলাদে। মিলাদ শেষে হুজুরের হাতে হাদিয়া হিসেবে আমি খুব সম্ভবত ২০০ টাকা দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আব্বু মনে হয় হাদিয়া দেয়নি। পরে জানতে পারলাম আব্বু আগেই হুজুরকে হাদিয়া দিয়েছে। হুজুর কিন্তু আমাকে বলতে পারতো আব্বু হাদিয়া দিয়েছে। কিন্তু কিছু না বলে আমি দেওয়ার সাথে সাথে নিয়ে নিলো। পরে অবশ্য হুজুরকে আমি কিছু বলিনি লজ্জা পাবে বলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপনার সাথে ঘটে যাওয়া হুজুর যদি বলতো তাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে তাহলে তার সম্মান বাড়তো। কিন্তু লজ্জা পাবে বিদায় আপনি কিছু আর বলেন নাই। যাইহোক সুন্দর করে মন্তব্য করাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আসলে ড্রাইভারটি তো অনেক চালাক এবং লোভী। তা না হলে সে আপনাকে গাড়ি ভাড়ার কথা বলতে পারতো। এ ধরনের মন-মানসিকতা আসলে খুবই খারাপ। যাইহোক পরে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পরিচিত ড্রাইভার বিদায় তাকে জিজ্ঞেস করা গেল। আসলে তার মন মানসিকতার কারণে তাকে সামনে থেকে হয়তো আর ডাকাই হবে না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
রিকশা চালক এটা মোটেও ঠিক করেনি ৷ আপনাদের একজনের কাছে ভারা নেওয়ার পরেও আবার কিভাবে ভারা নেয় ৷ আসলে এ ধরনের মন মানসিকতার মানুষ মোটেও ভালো মানুষ নয় ৷ মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস একবার চলে গেলে তা আর সহজে জন্মায় না ৷ ওই রিকশা চলকও সামান্য টাকার জন্য আপনাদের বিশ্বাস হারালো ৷
এটি ঠিক মানুষের উপর মানুষ যখন বিশ্বাস চলে যায় তাহলে সে বিশ্বাস আর সহজে জন্মায় না। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।