গল্প:- অমানুষ সন্তান।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি হচ্ছে আমার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র ঘটনা। ছেলেটির নাম হচ্ছে সজীব। সজীবদের ফ্যামিলিতে সজিব এবং তার একটি মাত্র বোন আছে। সজীবের মা আর বাবা আপন চাচাতো বোন এবং জ্যাঠাত ভাই। ওই সময় সজিবের মা-বাবাকে তাদের ফ্যামিলিরা দেখে বিয়ে দিয়েছেন। আবার কিছু কিছু লোক বলে সজিবের মা-বাবা একজন একজনকে পছন্দ করতেন। সজীবের মা বাবা মদ্য ফ্যামিলির মানুষ।
সজীব বড় এবং সজীবের বোন চুমকি সজীবের ছোট। ছোটবেলা থেকে তাদের মা বাবা অনেক কষ্ট করে দুইজনকে মানুষ করেছেন। বিগত ৫ থেকে ৬ বছর আগে চুমকিকে ভালো ফ্যামিলি দেখে বিয়ে দিয়েছিলেন। মোটামুটি চুমকি অনেক সুখে আছে। এবং বিগত তিন বছর আগে সজীবের বাবা হঠাৎ করে মারা গেলেন। তবে বর্তমানে সজীব একটি বেসরকারি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে ঢাকাতে। বিগত দুই বছর আগে সজীব কে দেখে শুনিয়ে তার মা বিয়ে করিয়েছেন। সজীবদের ঘরে সজীবের মা এবং সজীবের ওয়াইফ।
সজীবের ওয়াইফ ঘরে কোন কাজ করে না। সজীবের মা সংসারের কাজ এবং রান্না বান্না সব করে। এবং সজীবের মা সজীবের ওয়াইফকে অনেক পছন্দ করে এবং আদর করে। সজিব ঢাকা থেকে এসে মায়ের হাতে টাকা এবং বাজার সদাই এনে দেই। এগুলো সজীবের ওয়াইফ একদম পছন্দ করে না। সজিবের ওয়াইফ মনে করে তার স্বামী ইনকাম করে সব টাকা-পয়সা তার হাতে দেওয়ার জন্য। এবং সজীবের ওয়াইফ সব সময় সজীবের কাছে তার মায়ের বদনাম করে। তুমি না থাকলে তোমার মা আমাকে দেখতে পারে না।
এদিকে সজীবের ওয়াফ যখন বাবার বাড়িতে যাই তখন তার মাকে একবারের জন্য বলে না। নিজের ইচ্ছা মতো যায় ইচ্ছা মতে আসে। এবং সজীবের কাছে নানা ধরনের তার মায়ের কথা বলে। কিছুদিন আগে সজীব হঠাৎ করে তার মায়ের সাথে সামান্য কথা নিয়ে কথা বাড়াবাড়ি করে চলে গেলেন। বর্তমানে সজীব তার মাকে দেখতে বাড়িতে আসে না এবং তার খোঁজখবর রাখেনা। এখন সজীব যেখানে চাকরি করে ওখানে নতুন বাসা নিয়ে তার ওয়াইফকে নিয়ে গেলেন। এবং তার মা কিভাবে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে তার জন্য কোন টাকা দেই না।
এদিকে সজীবের বোন চুমকি মোবাইলে কল করে সজিবের সাথে কথা বলেন। বাড়িতে মা একা এবং তার অসুখ ওষুধের টাকা নেই। কিন্তু সজীব এই কথাগুলো শুনতে রাজি নয়। অথচ এই সজীবের জন্য তার মা কত কষ্ট করলেন। অথচ সজীব বিয়ের করার পর থেকে আস্তে আস্তে মার উপর থেকে মন উঠে গেল। এখন সজিবের মা বলতেছে সজিবের ওয়াইফ মানুষ ভালো না। কলে কৌশলে আমার ছেলেটিকে আমার হাত থেকে নিয়ে গেল। তবে সজীব শিক্ষিত ছেলে বউয়ের কথা শুনে মায়ের সাথে এরকম করাটা মনে হয় ভালো হয় নাই। তারপরও সজীব যদি তার মায়ের খাওয়া দেওয়া ওষুধ পয়সা দেই তাহলে ভালো হয়। যাই হোক আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1689254734266564614?t=QHYC6szDjgogsDllSq121w&s=19
জানিনা আপু কাকে উদ্দেশ্য করে আপনি এ গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আর কেই বা এই সজীব। কিন্তু এ ঘটনা তো এখন কার বাস্তব ঘটনা। খোঁজ করলে এখন ঘরে ঘরে এমন হাজারো সজীব পাওয়া যাবে। আসলে সজীবরা ভুলে যায় যে তারা পৃথিবীর আলো দেখলো কার জন্য। আর মায়ের সম্মানই বা কতটুকু। অসাধারন একটি গল্প শেয়ার করেছেন।
আমার গল্পটি পড়ে খুব অসাধারণ ভাবে মন্তব্য করায় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই ধরনের ঘটনা গুলো শুনলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। বিয়ের পর সজীব এতোটা পাল্টে গিয়েছে, যে মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পর্যন্ত নেয় না। মানলাম সজীবের সাথে তার মায়ের একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাই বলে সেটার সূত্র ধরে এবং ওয়াইফ এর কথায় সজীবের মা'কে টাকা পয়সা দেয় না। এটা খুবই জঘন্য একটি কাজ। যারা এগুলো করে তারাও তাদের সন্তানের কাছ থেকে এমনটাই পাবে একদিন। এটা একেবারে চরম সত্য কথা। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন বিয়ের পরে সজীব অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বর্তমান সময়কে সামনে রেখে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আপু সজীব বিয়ের পরে এতটাই পাল্টে গিয়েছে যে ঘটনাটি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। আসলে মা ছেলের মধ্যে হালকা-পাতলা কথা কাটাকাটি হতেই পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তাই বলে যে মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয় না এটা শুনে সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছে। একজন মা তার সন্তানকে অনেক কষ্ট করে লালন পালন করে অবশেষে যদি ছেলেটা এমন হয় তাহলে অনেক কষ্ট পাই। ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
কথাটি একদম ঠিক বলেছেন মা এবং ছেলের মধ্যে হালকা কথা কাটাকাটি হতে পারে। এই বলে মায়ের বরণ পোষণ এবং মাকে দেখাশোনা বন্ধ করে দেবে এটা ঠিক না। মন্তব্য করায় অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বর্তমান সময়ে সজীবের মত অনেক ছেলে আছে যারা বউয়ের কথায় ওঠে আর বসে। তা না হলে সজীব তার বউয়ের কথা শুনে মায়ের সাথে এরকম আচরণ করতে পারত না। যে মা এত কষ্ট করে তাকে বড় করেছে অথচ সেই মাকে রেখে বউকে নিয়ে বাসা ভাড়ায় উঠেছে। ধিক্কার ওইসব ছেলেকে যারা বউকে প্রাধান্য দিয়ে বাবা মায়ের প্রতি অবহেলা করে। আপনার লেখা গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো আপু। তবে প্রত্যাশা করছি সজীবের মায়ের যেন দুঃখ ঘুচে যায়।
সজীবকে ছোটকাল থেকে তার মা অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। অথচ বউয়ের কারণে আজ মাকে দেখতে পারেনা। আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।