গল্প:-প্রেমের কারণে জীবন নষ্ট। (প্রথম পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমার এক মামা শ্বশুরের গল্প। যদিও এই গল্পটি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে আমি শুনেছিলাম। আমার মামা শ্বশুরের বয়স বর্তমানে ৫০ বছর। এবং মামা শশুরের নাম হচ্ছে আব্দুল হাই। আব্দুল হাই মিয়া যখন পড়ালেখা করতেন তখন সে বাড়ির মধ্যে একটি মেয়েকে পছন্দ করতেন। মেয়েটি হচ্ছে তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি। যদিও এক বাড়ির কারণে হয়তো সবাই অন্যরকম ভাবলো।
প্রথম অবস্থায় আব্দুল হাই মিয়ার বাবা বুঝতে পারে নাই। পরবর্তীতে যখন মেয়েটি এসএসসি পরীক্ষা দিলেন তখন সেই ইন্টারে পড়তেছে। তবে মেয়েটির নাম হচ্ছে নয়ন। তারা দুইজন স্কুলে এবং কলেজে যাওয়ার সময় একসাথে যেতেন। আবার তারা সবার সামনে একজনকে একজন কাকা ভাতিজি বলে কথা বলতেন। এবং কেউ তাদের এই সম্পর্ক সহজে বুঝতে পারতেছে না। তবে আস্তে আস্তে তাদের প্রেমের সম্পর্ক অনেক জোরদার হয়ে গেল।
এই সময় আব্দুল হাই মিয়া রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতেন যখন নয়ন আসবে তখন একসাথে বাড়িতে আসবে। আস্তে আস্তে ফ্যামিলির সবাই বুঝতে পারে নয়নের সাথে আব্দুল হাই মিয়ার কোন সম্পর্ক আছে। আবার মাঝে মধ্যে আব্দুল হাই মিয়া নয়নদের ঘরে যেতেন। যদিও আব্দুল হাই মিয়ারা টাকা পয়সাওয়ালা ছিলেন। আর নয়নের পরিবার খুব গরীব ছিল। নয়নের বাবা আব্দুল হাই মিয়াদের মাঝে মধ্যে কাজ করতেন। একটা সময় নয়নের জন্য বিয়ের জন্য আসলো। তখন আব্দুল হাই মিয়া বলতেছে নয়ন কে সেই ভালোবাসা এবং বিয়ে করবে।
এই কথা শুনে আব্দুল হাই মিয়ার বাবা অনেক রেগে গেল। যদিও আব্দুল হাই মিয়ার বাবা একজন আলেম ছিলেন। তখন সে বলতেছে আমি একজন আলেম আমার কথা সবাই শুনে। আমি তোমাকে এই মেয়ে বিয়ে করাবো না সে রিস্তা তোমার ভাতিজি হয়। তারপরও আব্দুল হাই মিয়া বলতেছে ওই মেয়েকে সে বিয়ে করবে। এই কথার মাধ্যমে আব্দুল হাই মিয়ার বাবা আব্দুল হাই মিয়াকে মারধর করেন এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন। হয়তো আব্দুল হাই মিয়ার বাবা মনে করলো একটু শাসন করলে ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে নয়নও বলতেছে সে বাইরে বিয়ে বসবে না। সে আব্দুল হাই মিয়ার কাছে বিয়া বসবে। এই নিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝগড়া হলো। একপর্যায়ে আব্দুল হাই মিয়ার পরিবার নয়নদের পরিবারকে অনেক অপমান করলো। এরপর নয়ন অন্য জায়গায় বিয়ে বসতে রাজি হয়ে গেল। কিছুদিন পরে নয়নের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গেল। যদিও নয়নের হাজবেন্ড ওই সময় বিদেশ থাকতেন। এবং নয়নের বিয়ের সময় আব্দুল হাই মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। বিয়ের পরে এসে বাড়িতে আব্দুল হাই মিয়া অনেক ঝগড়া করলেন। আজকে এই পর্যন্তই আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের সবার ভালো লাগবে। পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব।( চলবে )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আব্দুল হাই মিয়ার কাহিনী টি আমি জানি। আসলে প্রেম ভালোবাসা সবার ঊর্ধ্বে এটা ঠিক। কিছু কিছু জায়গাতে অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখালো সমস্যা। আব্দুল হাই মিয়া নয়নকে অনেক ভালোবাসে সেটি মিথ্যা নয়। তাদের প্রেমের কারণে দুই দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়েছে। আর এরকম চাচা ভাতিজির প্রেমের সম্পর্ক কেউ মেনে নেয় না। এই কারণে আব্দুল হাই মিয়ার বাবা সম্পর্কটি মেনে নেয় নাই। তবে নয়নের বিয়ে হয়েছে। যাইহোক পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। গল্পটি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত ভালোবাসা সমস্যা। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1747252447339569202?t=9aPtgCYBAqThTkUjEieTYA&s=19
বর্তমান সমাজে এমনটাই বেশি চলছে। যত দিন যাচ্ছে তত যেন পরিবেশ কেমন হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আপনার গল্পটা কিন্তু অনেক তথ্য বহন করেছে। বেশ সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন তাই পড়তে ভালো লাগলো।
তাদের প্রেমের সম্পর্কটা অনেক বছর আগের। এখন শুধু আবেগ নিয়ে আসেন। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালোই লাগলো বাস্তবিক এই গল্পটি পড়ে ৷ তবে গল্পের কাহিনি পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো ৷ আসলে আমাদের ধর্মে এই বিষয় গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা হয় ৷ চাচা ভাতিজির সম্পর্ক আসলে মেনে নেওয়া মতো নয় ৷ এ ধরনের সম্পর্ক করা উচিত নয় ৷ তবে কি আর করার , প্রেম ভালোবাসা কিছুই মানে না ৷ যাই হোক নয়নের তো বিয়ে হয়ে গেলো অন্য জায়গায় ৷ এরপর কি হলো জানার আগ্রহ থেকে গেলো ৷ আশা করি পরের পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন ৷ অপেক্ষায় রইলাম... ধন্যবাদ আপনাকে
চাচা ভাতিজি দূর সম্পর্কের প্রেম হল এগুলো মা-বাবা কখনো মেনে নেয় না। আব্দুল হাই মিয়া শিক্ষিত মানুষ তারপরও সে অনেক রাগ করলো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ভাই।
সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি প্রথমে গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু যখন নয়নের বিয়ে হয়ে গেল এই বিষয়টি আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। তারা সম্পর্ক করার আগে তাদের চাচা ভাতিজির সম্পর্কটার ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত ছিল। নয়নের বিয়ে হয়ে যাবার পরে কি হয়েছিল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
এটি ঠিক বলেছেন আব্দুল হাই মিয়া এবং নয়ন প্রেম করার আগে চিন্তা করার দরকার ছিল তারা চাচা ভাতিজি। আর পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব আপু।
আসলে এমন কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলো মেনে নেওয়া যায় না। যেহেতু সম্পর্কটি এমন ছিল যে চাচা ভাতিজি মেনে নেওয়ার মতো নয়। যদিও একই এলাকায় কোন দূর সম্পর্কের মধ্যে হতো তাহলে কিছুটা মেনে নেওয়া যেত। আবার এই সময়ের ভালবাসা গুলো অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে মানুষকে। গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় আছি।
তারা চাচা এবং ভাতিজি একুই বাড়ির। আসলে এরকম সম্পর্ক গুলো মেনে নিতে চায় না পরিবারের লোকগুলো। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব আপনাদের মাঝে।
আসলে এটা সত্যি যে প্রেম ভালোবাসা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তবুও সব রকমের সম্পর্ক আসলে মেনে নেওয়া যায় না। দূর সম্পর্কের হলেও আব্দুল হাই মিয়া এবং নয়ন তো চাচা ভাতিজি। তাই এই ধরনের সম্পর্ক কোনো পরিবার মেনেই নিবে না। তবে আবেগের বশে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যাইহোক নয়ন অবশেষে বিয়েতে রাজি হতে বাধ্য হয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
হ্যাঁ আবেগের বশে অনেকেই অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেই। আসলে প্রেম ভালোবাসার কারণে মানুষ আবেগে অনেক কিছু করে ফেলে। সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রেম অন্ধ।আমাদের সমাজে সম্পর্ক টাকে অনেক বেশি প্রধান্য দেয়া হয়।চাচা ভাতিজির সম্পর্ক কথাটা শুনলেই কেমন জানি মনে হয়।যদিও বা দূর সম্পর্কের তবুও কেমন লাগে।নয়ন ও আব্দুল হাই মিয়ার ভালোবাসা তো এসব বোঝেনি।নয়নের বিয়ে হয়ে গেছে আব্দুল হাই তো দিশেহারা। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারো।অপেক্ষায় রইলাম।
আমাদের সমাজে দূর সম্পর্কের চাচা এবং ভাতিজি হলেও এগুলোকে ভালো চোখে দেখেনা। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকবেন।
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। এই গল্পটির প্রথম পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ আব্দুল হাই মিয়া যার প্রেমে পড়েছেন সে তার দুঃসম্পর্কের ভাতিজি। আর কোন পরিবারই এরকম সম্পর্ক মেনে নেয় না৷ কখনো এরকম সম্পর্ক মানার যোগ্যতা রাখে না৷ হয়তো তারা আবেগের বসে এরকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে৷
পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই দেখতে পাবো বলে আশা করি৷
আবেগের কারণে অনেক সময় অনেক মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আর এরকম সম্পর্ক গুলো মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। আশাকরি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব সেই অপেক্ষায় থাকেন ভাই।