গল্প:- বউয়ের কারণে ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট ( শেষ পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
যখন রাকিবকে একদিন তিন বেলা ভাত দিলেন না। তখন রাকিব রাসেলকে কথাটি বলতে পারলেন না। কারণ ভাইকে কিভাবে বলবে। দুপুরবেলা রাকিব যখন পরীক্ষা দিয়ে আসলেন তখন সে তার জন্য ভাত রাখেন নাই। সন্ধ্যাবেলা রাকিবকে নাস্তা দিলেন না। এবং রাত্রে যখন রাকিব শুয়ে রইলেন তখন তারা দুইজন ভাত খেতে গেলেন। তখন রাকিবের বড় ভাই রাসেল তাকে ভাত খাওয়ার জন্য একবার ডাকলো। তার ওয়াইফ বলতেছে রাকিব ঘুমিয়ে গেছে তাকে না ডাকার জন্য। এভাবে রাত্রেও রাকিব উপাশ ভাত খাই নাই।
এবং সকালবেলা আবার নাস্তা বানিয়ে রুমে রাসেল এবং রাসেলের ওয়াইফ নাস্তা খেলেন। তখন রাসেলের ওয়াইফ বলতেছে রাকিবকে সামনের রুমে নাস্তা দিয়েছে। আসলে রাকিবকে তার বড় ভাইয়ের ওয়াইফ নাস্তা দেয় নাই। এভাবে একদিন তিনো বেলা তাকে খাওয়ার দিলেন না । যদি রাকিবকে একবেলা উপাস রাখতে পারতো তার ভাবি তাহলে সে অনেক খুশি হয়ে যেত। এরপর রাকিব বড় ভাইয়ের বাসা থেকে বাড়িতে চলে আসলেন। এবং বাকি পরীক্ষাগুলো বাড়ি থেকে দিলে রাকিব।
এরপর থেকে রাকিব তার বড় ভাই এবং তার ওয়াইফের কথা শুনতে পারে না। এবং কি তার ছোট ননদ জেসমিনের সাথেও অনেক ঝগড়া করে। এই কারণে রাকিব ও জেসমিন তার বড় ভাই এবং তার ওয়াইফের কথা একদম শুনতে পারে না। বর্তমানে যে জেসমিনের বিয়ে হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে রাখিব বিয়ে করেছেন। কিন্তু ছোট ভাই রাকিব এবং জেসমিন অনেক মিল। কিন্তু বড় ভাই এবং তার ওয়াইফকে তারা এখন বিলকুল সহ্য করতে পারে না। অথচ রাসেলের ওয়াইফ এখন বলে কি তারা দুজনে তার বড় ভাইকে হিংসে করে।
বড় ভাইয়ের ওয়াইফের কারণে ভাই-বোনের এবং ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ এখন বড় ভাই বলতে থাকে ছোট ভাই বোন তাকে দেখতে পারে না। একদিন দুদিনের জন্য যখন বাড়িতে বেড়াতে আসে তখন রাকিবের ওয়াইফের সাথে নানার কথা নিয়ে বড় ভাই রাসেলের ওয়াইফ ঝগড়া করে। রাসেল ভাইয়ের দুটি মেয়ে আছে তারাও মায়ের মত স্বভাব হয়েছে। তারা কারও খাওয়া-দাওয়া একদম দেখতে পারেনা শুধু নিজে খাওয়ার কথা চিন্তা করে।
আসলে রাসেল ভাইকে বিয়ে করানোর সময় তার মা-বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিয়ে করিয়েছে। কারণ তার বড় ছেলে একজন সরকারি স্কুলের মাস্টার এবং বউ শিক্ষিত। এবং রাসেল ভাইয়ের বাবা একদিন বলল বিয়ের পর থেকে কখনো তার বাবাকে এক মাসের টাকা দেই নাই খরচ করার জন্য। এভাবে তাদের সংসারে সবাই আলাদা কিন্তু ভাইবোনের সম্পর্ক একদম নেই বললেই চলে। বড় ভাইয়ের ওয়াইফ যদি ঠিকমতো ছোট ভাই এবং বোনকে দেখতে পারত তাহলে আজকে এই সমস্যা হতো না।
এবং রাসেল ভাইয়ের ওয়াইফের মুখে কথা শুনলে মনে করবে তার মতো ভালো আর লোক নেই। কিন্তু তার মন-মানসিকতা অনেক নিচে। দুই এক দিনের জন্য যখন বাড়িতে আসে সব সময় সংসারে অশান্তি করে। এবং কি রাসেল ভাইয়ের মা-বাবা ও তার ওয়াইফের কথা একদম শুনতে পারেনা। এই হচ্ছে বউয়ের কারণে ভাই ও বোনের সম্পর্ক নষ্ট। ( শেষ পর্ব )
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1680218559157538816?t=5FH4SBdYLDr4YvQ0ixD9aw&s=19
এরকম রাসেলের ওয়াইফের মত অনেক মহিলা আছে যেগুলো স্বামীর ছোট ভাই বোন এবং ফ্যামিলির কারো খাওয়া-দাওয়া দেখতে পারে না। যদিও রাকিব কথাটি তার ভাইকে বলতে পারে নাই। তবে আমার মতে বলতে পারলে অনেক ভালই হতো। এ ধরনের মহিলাগুলোর কারণে ভাইয়ে ভাইয়ের সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। আমি আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি ও পড়েছিলাম। যাইহোক আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। বর্তমানে সময় ও এরকম মহিলা এখনো সমাজে আছে। বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি রাকিব কথাটি তার ভাইকে বলতেন তাহলে অনেক ভালই হতো। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে কাছের মানুষগুলো বদলে যায়। হয়তো সম্পর্কের মাঝে যখন ফাটল ধরে তখন কাছের মানুষের মাঝেও দূরত্ব তৈরি হয়। আসলে সমাজের বাস্তবতা আপনি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভেঙে গেছে। আর দুজনের মাঝেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আপু আপনার লেখা গল্প বেশ ভালো ছিল।
আসলে আপন লোক গুলোর মধ্যে সম্পর্ক যখন নষ্ট হয় তখন তৃতীয় একটি ব্যক্তির কারণে হয়। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া রাসেলের ওয়াইফের মতো এমন হাজারো মহিলা আমাদের সমাজে আছে যারা শুধু নিজেরটা বোঝে। যাইহোক তার ছোট ভাই বোন ঠিক করেছে এমন উচিত শিক্ষা দিয়ে।এমন লোকের মাঝে মাঝে শিক্ষা দেওয়া দরকার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
অনেক সময় সত্য কথা লুকিয়ে রাখলেও সমস্যা হয়। এই কারণে কথাগুলো বলতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কিছু প্রিয় মানুষ মাঝে মাঝে অচেনা হয়ে যায়। আপনি সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র এই গল্পের মাধ্যমে ফুটে তুলেছেন। আমার সমাজে একটি প্রবাদ বিদ্যমান রয়েছে ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদি হয় পৃথক হয় তা নারীর কারণ । এইটি সমাজের একেবারে বাস্তব কথা। যে যেমন তার সাথে তেমন আচরণ করা উচিত। গল্পটি সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন যদি চিহ্ন হয়ে নারীর কারণ। কথাটি একদম ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বর্তমানে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে।তার জন্য ভাইবোনের মধ্যে সমস্যা লেগেই আছে। একটা বউ পারে সংসারটাকে এক সুতায় বেঁধে রাখতে আর সেই বউ পারে সংসারটাকে ভেঙ্গে ফেলতে। যাই হোক খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।
আসলে রাসেলের ওয়াইফ রাকিব এবং জেসমিনের সাথে যেটি করেছে সেই অন্যায় করেছে। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বউ এর কারণে আপন ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট ও সংসারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।একজন নারী চাইলে একটি পরিবারকে একত্রিত করে রাখতে পারে শত বাধার আসলেও।আমার একজন নারী যদি চাই একটি পরিবারকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া এবং বাস্তবতার ওপর নির্ভর করে পোস্ট লিখেছেন।আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টি শেয়ার করার জন্য।
কথাটি আপনি ঠিক বলেছেন বউয়ের কারণে আপন ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট। এবং সংসারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। উৎসাহিতমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রাসেলের ওয়াইফের মত অনেক মহিলা আছে যারা তাদের স্বামীর সংসারে এসে স্বামীর মা বাবা ভাই বোন কাউকে সহ্য করতে পারে না। এবং এই ধরনের মহিলাদের জন্য আসলে ভাই বোনের সম্পর্ক কখনো ঠিক থাকতে পারে না। অথচ চাইলে একজন নারী ফ্যামিলির সবাইকে হাসি খুশি ভাবে রাখতে পারে।আপনার গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম মহিলা যার সংসার যাবে সেই সংসার নষ্ট হয়ে যাবে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন ঘটনা আমাদের বাংলাদেশের প্রায় ঘরে ঘরে। আর আজ আপনি যে পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই শেয়ার করেছেন। আপনার এই ঘটনাটি আমার নিকটস্থ একটি ঘটনার সাথে মিলে গেল কারণ এ জাতীয় ঘটনা আমার বাড়ির অতি নিকটে ঘটেছে। যাই হোক ভালো লাগলো।
এরকম ঘটনা দেশে অনেক আছে। মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।