একটি সুখের সংসার তছনছ। ( শেষ পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করব। এই গল্পটি আমি এর আগে একবারও শেয়ার করেছিলাম। আজকে এই গল্পের তৃতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম। গত পর্বে করিম সাহেব যখন তাদের বাড়ির পাশের একজনকে বিদেশ নিয়ে গেলে তারা তার টাকা দিলেন না। এমনকি তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা শুরু করলেন। এমনকি তাদের বাড়িতে করিম সাহেবের স্ত্রী এবং ছেলে আরিফের সাথে ঝগড়া হলো।
এমন সময় আরিফের উপর তারা খুব ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে লাগলো। এক সময় আরিফের বুকে তারা বড় একটি ছুরি ঢুকিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আরিফ তার মায়ের সামনে মাটিতে পড়ে গেলেন। আরিফের মায়ের সৎ ভাই গুলো ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু কোন কথাই বললেন না। এরপর উপস্থিত কিছু লোক ছিলেন তারা তাড়াহুড়া করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে লাগলেন। তারপর তাদের নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। চিকিৎসক তাকে মৃত বলতে লাগলেন । করিম সাহেবের ছেলে আরিফ মারা গেলেন ডাক্তার বললেন। এই কথা সঙ্গে সঙ্গে করিম সাহেব বিদেশে শুনলেন তাকে কে মোবাইলে ফোন করে বললেন। তার আগে যে ছেলেটিকে সেই বিদেশ নিয়ে এসে সে শুনে ওখান থেকে পালিয়ে গেলেন। করিম সাহেব তার আরবাবকে কথাটি সাথে সাথে বললেন।
আরবাব তখনই টিকেট কেটে তাকে দেশে পাঠিয়ে দিলেন করিম সাহেবকে। কারণ করিম সাহেব ওই আরবের অনেক পুরাতন লোক। এরপর করিম সাহেব বাড়িতে আসবেন। ওই সময়ও করিম সাহেবের ছেলে আরিফের লাশ ও বাড়িতে আসলেন। চারদিকে কান্নার আওয়াজ কারণ তাদের একটি মাত্র ছেলে। খুব ভালো সবাই বলতে লাগলো। এরপর আরিফের লাশটি দাফন করা হলো। এদিকে আরিফকে যারা হত্যা করলে তারা সবগুলো বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন। আরিফের মা তো ছেলের শোকে একদম পাগল হয়ে গেলেন। সে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে আর বলতে থাকে আমার আরিফ কোথায়। করিম সাহেবের দুই তিন মাস দেশে ছিলেন কিন্তু কোন কিছুই করতে পারলেননা তার ছেলের হত্যার বিচারের।
তারপর সে আবার ওমান চলে গেলেন। ওমান গিয়ে সে আগের মত কাজ করতে পারছে না এবং সারাক্ষণ টেনশন ও কান্নাকাটি করতে থাকে। এভাবে কয়টি মাস যাওয়ার পর আবার তাকে আবারও দেশে পাঠালেন। মনে করলেন দেশে আসলে সে ভালো হয়ে যাবে একটু তার মন ভালো হবে। বাড়িতে আসার পর হঠাৎ করে সেই রাতে ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন করিম সাহেব। করিম সাহেব মারা যাওয়ার পর যে লোকগুলো তার ছেলেকে হত্যা করলেন তার ফ্যামিলির সবাই এখন বাড়িতে সবাই। করিম সাহেবের স্ত্রীর ছেলে এবং স্বামীর শোকে একদম পাগলের মত হয়ে গেলেন। এদিকে তার স্ত্রীর সৎ ভাই গুলো অনেক খুশি হয়ে গেলেন। কারণ করিম সাহেবের স্ত্রী মারা গেলে সব সম্পত্তির মালিক তার সৎ ভাই গুলো হবে।
যে লোকগুলো করিম সাহেবের ছেলেকে হত্যা করলেন সেই লোক গুলো করিম সাহেবের স্ত্রীর সৎ ভাই গুলোর সাথে তাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক এবং বাজারে দোকানে একসাথে বসে আড্ডা দেই। এখন তাদের এই মামলার পরিচালনা করার মত কেউ নেই। কারণ তার স্ত্রী এক ধরনের পাগলের মত হয়ে গেলেন। করিম সাহেবের স্ত্রী কাকে কি বলে সে নিজেও জানে না। সারাক্ষণ আরিফ আরিফ বলে চিৎকার করে এবং সবাইকে জিজ্ঞেস করে আমার আরিফকে দেখছেন নাকি। কিন্তু মামলাটি যেভাবে এখনো পড়ে আছে মনে হয় না সামনে তার সুষ্ঠু বিচার পাবে। এদিকে করিম সাহেবের সম্পত্তি গুলো তার পরের ঘরের সৎ ভাই গুলো দেখতেছে।
তারা করিম সাহেবের সম্পত্তি ভোগ করে খুব আরামে আছে। এদিকে করিম সাহেবের স্ত্রী এখন ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না। যখন তার মাথায় একটু ভালো থাকে সবার সাথে একটু ভালো কথা বলল তাকে সবাই পাগল বলে থাকে। তার সৎ ভাইগুলো জায়গা সম্পত্তি ভোগ করছে কিন্তু তাকে কোন টাকা বা কিছুই দেয় না। এখন সৎ ভাই গুলো করিম সাহেবের স্ত্রীর মৃত্যুই কামনা করে। করিম সাহেবের স্ত্রী মারা গেলে সেই সম্পত্তিগুলো তার স্ত্রীর সৎ ভাই গুলোর হয়ে যাবে। করিম সাহেবের কত সুন্দর সুখের সংসার ছিল। হঠাৎ করে তার যে সংসারটি একদম নির্বাসে শেষ হয়ে গেল। এই হল করিম সাহেবের সংসার জীবনের বাস্তব ঘটনা।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আপু বর্তমান সমাজে করিম সাহেবের ঘটনার মত অনেক ঘটনা ঘটতেছে। মানুষ অর্থের লোভে সম্পদের লোভে কি না করতে পারে। এই সম্পদের কারনে কত জাগায় কত মানুষকে মেরে ফেলতেছে। করিম সাহেবের স্ত্রীর যা অবস্থা তাতে আমারও মনে হয় না,এই মামলাটা সামনের দিকে আলোর মুখ দেখবে। বাস্তব একটি ঘটনা সেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মানুষের উপকার করলে যে অপকার হয় তার প্রমাণ করিম সাহেবের এটিতে বুঝা যায়। বাড়ির একটি লোককে উপকার করে বিদেশ নিলেন এটাই তার বড় অপরাধ। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বাস্তব ঘটনা উপলব্ধি গল্পটি বেশ দুঃখজনক ছিল। গল্পটি পড়তে বেশ ভালই লাগলো। আসলে অনেক মানুষ সম্পত্তির লোভে মানুষ থেকে পশুতে পরিণত হয়ে যায়। আপনার আগের গল্পগুলো পড়লে হয়তো আরো ভালো বুঝতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর দুঃখজনক গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
দুনিয়াতে মানুষের কিছু কিছু কষ্ট আছে যা ভোলা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু গল্পটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না খুঁজে।একটি সুখের সংসার এভাবে ভেঙ্গে তছনছ করে দিল সে বিচার নিশ্চয় আল্লাহতালা করবেন।আমি যেটা বিশ্বাস করি যাদের জন্য দুনিয়াতে কেউ থাকেনা তাদের জন্য উপরওয়ালা নিশ্চয়ই থাকেন।
সত্যি একটি সুখের সংসার একদম ভেঙে তছনছ করে দিল। সন্তান এবং স্বামীকে হারিয়ে মহিলাটি এখন পাগলের মত। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার এই বাস্তব ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো আমার কাছে। করিম সাহেব এবং তার ছেলের জন্য খুবই খারাপ লেগেছে। সত্যি করিম সাহেবের স্ত্রী ও তাদের দুজনের শোকে পাগল হয়ে গেলেন এবং কোন কিছুই করতে পারলেন না। অন্যদিকে ওনার সৎ ভাইরা খুবই সুখে শান্তিতে থাকতে শুরু করলেন করিম সাহেবের সম্পত্তি নিয়ে। সত্যিই তারা জীবনে এগিয়ে যেতে পারবেনা। আল্লাহ তাদের অবশ্যই শাস্তি দিবেন এই কারণে। এরকম গল্প গুলো পড়ে অনেক কিছু জানা যায় বাহিরের সম্পর্কে। এত সুন্দর একটি সুখের সংসার তছনছ হয়ে গেল।
সত্যি ছেলে ও স্বামীর সঙ্গে মহিলাটি এখন পাগলের মত হয়ে গেল। অন্যদিকে তার ভাই গুলো তার মৃত্যুই কামনা করে কারণ সম্পত্তি তারাই পাবে। আপনি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।