নীলফামারী টু ঢাকা ট্রেন জার্নি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সবার প্রথমে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এক সপ্তাহ আপনাদের মাঝে থাকতে না পারার জন্য। আপনাদের সবাইকে অনেক বেশি মিস করেছি। গত পাঁচ তারিখ আমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছিলো। এডমিশন লাইফের শেষ পরীক্ষা ছিলো এটি। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এডমিশন লাইফের সমাপ্তি ঘটলো। এই পরীক্ষার জন্যই কিছুদিন আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পারিনি। যাইহোক পরীক্ষা শেষ এ সুস্থমতো বাসায় ফিরে এসেছি। এখন থেকে আবার আপনাদের মাঝে আগের মতো কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
কৃষি ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে আমি আর আমার তিন বন্ধু মিলে গত ৩ ই আগষ্ট ঢাকার উদ্দেশ্য এ রওনা দেই। আমার সিট পড়েছিলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে। আমি আগে ঢাকায় যেয়ে একদিন থেকে তারপর ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ এ যাবো এরকম পরিকল্পনা ছিলো, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ তারিখ ভোর ৬'৪০ এ চিলাহাটি এক্সপ্রেস এ নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি নীলফামারী থেকে ৬'৪০ জাস্ট টাইমেই ছেড়ে দেয়। আমরা ৪ জন ৬'২০ এর মধ্যেই প্লাটফর্ম এ এসেছিলাম। আমরা সবাই একসাথে টিকেট কেটেছিলাম তাই সবার সিট একই সাথে। বন্ধুদের সাথে এরকম লং জার্নি করতে খুবই ভালো লাগে। এরকম লং জার্নি বন্ধুদের সাথে অনেক মজা হয়। যাইহোক সবাই মিলে মজা করছিলাম ট্রেন জার্নি টা।
ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রীই ছিলো আমাদের মতো পরীক্ষার্থী। আমাদের চেনা জানা অনেকের সাথেই দেখা হয় কথা হয়। আমরা সবাই গল্প করতে করতে জার্নি টা উপভোগ করছিলাম। জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে গিয়েছিল। জানালার পাশের সিটে বসে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে থাকি। বাইদের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার মনকে মুগ্ধ করে তুলেছিলো।
আকাশটা বেশ পরিষ্কারই ছিল। প্রখর রোদ ছিলো। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা খেলা করছিল। কিন্তু দেখতে দেখতেই কিছুক্ষণ পরে আকাশ একদম মেঘলা হয়ে যায়। বাইরের আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল বেশ ভালই বৃষ্টি হবে। আমরা সবাই তখন একে অপরের সাথে গল্প করছিলাম, আড্ডা দিচ্ছিলাম ও নাস্তা খাচ্ছিলাম। ট্রেনের জানালা থেকে খুবই সুন্দর শীতল বাতাস আমাদের মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল এ অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো না।
সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে আমরা পৌঁছে যাই বঙ্গবন্ধু সেতু বা যমুনা সেতুতে। ট্রেন থেকে যমুনা সেতুর ভিউ বলে বোঝানোর মত না। আমি এই যমুনা সেতুর ভিউটি সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য ট্রেনের গেটের সামনে যাই এবং সেখান থেকে যমুনা সেতুর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিই। এখান থেকে যমুনা সেতুটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। যমুনা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেনটি চলছিল। যমুনা সেতু অতিক্রম করার সময় এই সেতুর সৌন্দর্য আমাদের মনকে ভরিয়ে তোলে।
এভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এবং বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে দিতে আমরা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঢাকায় পৌঁছে যাই। নীলফামারী থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছিল ভোর ৬'৪০ এ এবং ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি বিকেল ৩ টায় পৌঁছায়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হলো শেষ স্টেশন। আমরা সবাই নেমে পড়ি। বন্ধুদের সাথে এতোটা সময় কিভাবে কেটে গেলো জেনো বুঝাই গেলো না। সবাই ট্রেন থেকে নেমে ফ্রেশ হই। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের বাইরে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে নিই সবাই মিলে।
এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই সবার গন্তব্যে রওনা দেয়। আমার গন্তব্য ছিল রামপুরা, আপনারা সবাই জানেন আমার ভাই রামপুরায় থাকে। তাই আমি একটি রিক্সা নিয়ে রামপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেই আমার ভাইয়ার ওখানে।
আজকের মত এখানেই। আশা করছি আমার ব্লগটি আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। আমার ব্লগটি এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
নীলফামারী টু ঢাকা ট্রেন জার্নি পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। টেনে জার্নি করতে তো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর যমুনা সুন্দর দৃশ্যটি অনেক ভালো লাগছে। বর্তমান আবহাওয়ায় কখন যে মেঘ হচ্ছে আর কখন বৃষ্টি হচ্ছে বোঝায় মুশকিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
নীলফামারী থেকে ট্রেনে করে ঢাকা এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে ট্রেন জার্নি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। ঢাকা আসার সময় টেনে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ট্রেন বসে বাইরে প্রকৃতি সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। নীলফামারী টু ঢাকা ট্রেন জার্নির অনুভূতি আমাদের মাঝে এত চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া এত সময় লাগলো কেন ঠিখ বুঝলাম না ভোর ৬.৪০ মিনিটে ট্রেন নীলফামারী ছেড়েছে আর কমলাপুর পৌছেছে বিকাল ৩টায় তার মানে ৮ ঘন্টার উপরে সময় লেগেছে। এর কারন কি ভাইয়া।
ভাইয়া নীলফামারী থেকে ঢাকা যেতে ৮ ঘন্টাই সময় লাগে। বিকেল ৩ টা হইলো রাইট সময়।
নীলফামারী টু ঢাকা ট্রেন জার্নি এতো দেখি অনেক লং জার্নি।তবে লং জার্নি হলেও ট্রেনে তেমন একটা বোরিং ফিল হয় না। ভালই লাগে ট্রেন ভ্রমণ করতে। ধন্যবাদ ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিক বলেছেন ট্রেন জার্নি করতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।