আজকের সুন্দর সকালের কিছু মুহুর্ত ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আজকের সকালে বন্ধুর সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আজকে সকালে আমি আর আমার বন্ধু বিশাল কাগজপত্রের কাজে নীলফামারী সরকারি কলেজে গিয়েছিলাম। সেখানে কাজ শেষে বাইকে করে চাদেরহাট ক্যানেল ঘুরে আসি। এই মুহুর্তটি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আজকে সকাল ১১ টার পরে আমি আর বিশাল কিছু কাগজপত্র উত্তোলন এর জন্য নীলফামারী সরকারি কলেজে গিয়েছিলাম। সেখানে কাগজপত্র উত্তোলন করার পর আমরা ভাবি নীলফামারী চাদেরহাট ক্যানেল ঘুরে আসার কথা। যেই কথা সেই কাজ, নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে আমরা নীলফামারী চাদের হাট ক্যানেলের উদ্দেশ্য এ যাত্রা শুরু করি।
নীলফামারী সদর থেকে চাদের হাট ক্যানেল প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। চাদের হাট ক্যানেল অনেক সুন্দর একটি জায়গা নীলফামারীর এর মধ্যে। প্রায় কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই চাদের হাট ক্যানেলে। ক্যানেলের রাস্তাগুলো অনেক সুন্দর। মাঝখান দিয়ে রাস্তা একপাশে ক্যানেলে ভর্তি পানি ও একপাশে সারি সারি গাছ এবং চাষাবাদের জমি। সব মিলিয়ে এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবেনা। ক্যানেলের পারে খুবই শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তুলছিলো।
এরপর ক্যানেলে কিছুক্ষণ বাইক চালিয়ে ঘুরার পর একটা ব্রীজে নামলাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলে শেষ করা যাবেনা। ক্যানেলের এই ব্রীজে শীতল বাতাস মন ছুয়ে যাচ্ছিলো। সেখানে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে থাকে। ক্যানেলের ভরা পানি গাছের শীতল বাতাস সব মিলিয়ে সময় টা অনেক ভালো কেটেছিলো। এখানে আসলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।
এরপর কিছু সময় ব্রীজে থাকার পর আমরা সদরের উদ্দেশ্য রওনা দেই। আবার ক্যানেলের পথ ধরে যাওয়া শুরু করলাম। একপাশে সারি সারি গাছ সবুজে ভরা জমি আর একপাশে ক্যানেলের পানি। আর ক্যানেলের পারের শীতল বাতাস এ যেন স্বর্গের বাতাস। ব্রীজ থেকে চাদের হাট এসে মেইন রোড দিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পুরো সময়টা অনেক বেশি ইনজয় করেছিলাম। আজকের সকালটি আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো।
আজকের মত এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আসলেই সারি সারি গাছ আর ক্যানেলের মধ্যে পানি সৌন্দর্যটা আমার কাছেও অসাধারণ সুন্দর লেগেছে। কাজের ফাঁকে এরকম সময় পেলে আমিও হুট করে ঘুরতে বের হই যাইহোক আপনার কাটানো সুন্দর সময় টুকু শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি বন্ধুর সাথে সুন্দর একটি সকাল কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া এমন সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। ক্যানেলের পানি আর বাইরের শীতল বাতাস সত্যি মন প্রাণ জুড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সকালটা দেখছি অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছিলেন। দুই বন্ধু সর্ব প্রথমে নীলফামারী সরকারি কলেজে গিয়েছিলেন তাহলে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি চাদের হাট ক্যানেল জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর। দুই বন্ধু বাইকে করে অনেক সময় অতিবাহিত করেছিলেন জায়গাটিতে গিয়ে। আসলে সকালটা যদি এরকম সুন্দর মুহূর্ত দিয়ে কাটে তাহলে খুব ভালো সময় ইনজয় করা যায়। আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।
সকালবেলায় যে কোন জায়গায় গেলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। দুই বন্ধু কলেজে যাওয়ার পরে চাদের হাট ক্যানেলে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন। এরকম জায়গা যদি বন্ধুসহ সময় কাটানো যায়, তখন তো আরো বেশি ভালো লাগে। মোটরসাইকেলে করে এরকম জায়গায় যেতেও কিন্তু ভালো লাগে। আমি তো যখন সময় পাই তখনই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করার জন্য বের হয়ে যাই।
আপনি আর আপনার বন্ধু, বিশাল তাহলে সকালটা অনেক সুন্দর করে উপভোগ করেছেন দেখছি। এর আগেও কারো কারো পোস্টে নীলফামারীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখেছিলাম আসলেই সেটি অনেক সুন্দর, আর আজকে আপনার মাধ্যমে চাঁদেরহাট ক্যানেল এর সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হলো। ক্যানেলের আশপাশ থেকে তোলা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনি আর আপনার বন্ধু তাহলে সকালবেলা নীলফামারীতে গিয়ে কাগজপত্র উত্তোলনের পর সকালটাকে খুব সুন্দর করে কাটিয়েছেন দেখছি। একপাশে সারি সারি গাছ ,সবুজে ভরা জমি আর একপাশে ক্যানেলের প্রাকৃতিক দৃশ্য , যা সত্যিই মন-মুগ্ধকর। তারপর আবার শান্ত শীতল হাওয়া ,সত্যিই একেবারে ক্লান্তি দূর করা, মন মাতানো পরিবেশ।