স্কুল জীবনের শেষ পিকনিক এর স্মৃতিচারণ ২০১৯||
হ্যালো বন্ধুর, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের সর্বশেষ পিকনিক এর স্মৃতিচারণ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি এসএসসি পাস করি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমাদের এই পিকনিকের আয়োজন করা হয় । পিকনিকের ভেন্যু ছিল স্বপ্নপুরী। তো চলুন বেশি দেরি না করে স্মৃতিচারণ করে ফেলি সেই ফিরে না আসার দিনগুলির। আশা করি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।
দিনটি ছিল ২২শে মার্চ ২০১৯, আমাদের সকলকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল সকাল সাতটায়। সবাই যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিল । সবাই বিদ্যালয়ে এসে একে অপরের সাথে আড্ডা শুরু করে দিয়েছিল, এরই মাঝে আমাদের বাস চলে আসে। আমাদের শিক্ষকগণ আমাদের বলল আর ৩০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের বাসগুলি রওনা দিবে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সকলেই বাসে উঠে যাই। বাসে উঠে একে অপরের সাথে গল্প করতে শুরু করি, ছবি তুলি, অনেক মজা করি। তারপর বাস ছাড়ার আগের মুহূর্তে শিক্ষক এসে আমাদের কিছু কথা বললেন, আমরা মনোযোগ দিয়ে তা শুনতে লাগলাম। আমাদের সকালের নাস্তা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
এরপর আমাদের বাস ছেড়ে দেয়। আমরা বাসে অনেক ইনজয় করছিলাম।বাসের বক্সে গান, নাচানাচি, সবাই মিলে কৌতুক সবমিলে আমাদের জার্নিটা অনেক আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। আমাদের বাসে দুজন শিক্ষক ছিলেন একজন হল সোহেল স্যার আরেকজন রতন স্যার তারাও আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন আমাদের আনন্দমুখর উদযাপনে। প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা পর আমরা গন্তব্য স্থানে পৌঁছাই।
ওখানে পৌঁছে আমাদের রান্না বান্না শুরু হয়ে যায় আমাদের রাঁধুনি নেওয়া ছিল আগে থেকেই, আর আমরা সকলেই চারিদিকে ঘুরতে থাকি। সেই দিন অনেক গরম পড়েছিল তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই সুইমিংপুলে গোসল করব। যেমন ভাবার তেমনি কাজ সবাই সুইমিং পুলের দিকে যেতে থাকলাম। এবং সবাই টিকিট কেটে সুইমিংপুলে নেমে পড়লাম গোসল করার জন্য। সবাই মিলে সুইমিংপুলে অনেক ইনজয় করছিলাম। এত গরমে যেন সুইমিংপুলে গোসল করে যেন অন্যরকম আরাম লাগছে।
প্রায় এক দেড় ঘন্টা সুইমিংপুলে গোসল করি। এরপর সবাই সুইমিংপুল থেকে উঠে কাপড় চেঞ্জ করি। এরই মধ্যে আমাদের খাওয়ার সময় হয়ে যায়। সকলে যেয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সকলেই রেস্ট নিই। তারপর বিকেলে আবারো চারিদিকে একটু ঘুরে দেখি।
এরপর সন্ধ্যার আগে আমাদের বাস রওনা দেই। সবাই বাসে উঠে গানের তালে নাচতে নাচতে স্কুলে পৌঁছাই। সেখান থেকে সবাই সবার বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছে যায়।
bঅনেক আগের কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই দিনগুলো কখনো ভুলার নয়। এখন চাইলেই সবাই আর একসাথে হতে পারিনা। অনেকে অনেক জায়গায় চলে গিয়েছে পরীক্ষার পর। ছবিগুলো দেখলে তাদের কথা আরো অনেক বেশি মনে পড়ে যায়। স্কুল পিকনিকটি সারাজীবন মনে থাকবে আমার। সবাই মিলে অনেক মজা করেছি। এই পিকনিক আজ থেকে চার বছর আগের, আজকে আপনাদের সাথে স্মৃতিচারণ করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই, সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় শেষ করছি।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওই সময় পিকনিক অনেক মজাই করেছেন। ২০২০ সালে পিকনিকের জায়গা ঠিক করেছিল স্বপ্নপুরী। আসলে জায়গাটি দেখতে স্বপ্নপরীর মত লাগতেছে। যাক বন্ধুরা সবাই মিলে সুইমিং পুলে স্নান করেছেন। তবে দুই ঘন্টা স্নান করা অনেকটা জটিল ব্যাপার। তবে ভাইয়া পরীক্ষার পরে এক এক বন্ধু এক এক জায়গা চলে যায়। আমি নিজেও আমার সেসব বান্ধবীদেরকে অনেক মিস করি। সত্যি বলতে আপনার পিকনিকের পোস্ট পড়ে অনেক ভালই লাগলো।
আপনাদের ব্যাচের ২০১৯ সালে আপনারা সবাই পিকনিকে গেলেন। যদিও আপনারা ২০ সালে পরীক্ষার্থী ছিলেন। আসলে ক্লাসমেট বা বন্ধুরা মিলে পিকনিকে গেলে অনেক মজাই লাগে। যাক ভালই করলেন গরমের মধ্যে সুইমিং পুলে গোসল করেছেন। তবে আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওই সময় অনেক মজাই করেছেন। তবে পরীক্ষার পরেই অনেক ক্লাসমেট অনেক দূরে দূরে জায়গা চলে যায় পড়ালেখার কারণে। সত্যি বলতে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালোই লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।