বন্ধুদের সাথে রমনা পার্কে একদিন ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। গত ৮ই আগস্ট বিকেলে আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে ঢাকা রমনা পার্ক ঘুরতে যাই। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঢাকা রমনা পার্ক ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি রিক্সা নিয়ে রমনা পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা রমনা পার্ক পৌঁছে যাই। এরপর আমরা একসাথে রমনা পার্কে প্রবেশ করি। আমি এর আগেও কয়েকবার এখানে এসেছিলাম, এই জায়গাটি আমার অনেক ভালো লাগে। রমনা পার্ক সর্বদায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এই ব্যাপারটা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমরা রমনা পার্কে ঢুকেই আশেপাশে ঘোরা শুরু করি। সবার আগে আমরা রমনা পার্কের বিখ্যাত পুকুরের উপরের রাস্তাটি দিয়ে হেটে হেঁটে ঘুরতে থাকি। রমনা পার্কের এই রাস্তাটি বেশ বিখ্যাত । ফেসবুকে, ইউটিউবে দেখা যায় বিভিন্ন জনকে এই রাস্তায় ভিডিও রিলস তৈরি করে। আবার এখানে অনেকে বিয়ের ফটোশুট ও করে থাকে। আসলে রমনা পার্কে পুকুরের উপরের এই রাস্তাটি অনেক বিখ্যাত। আমরা পুকুরের উপরের এই রাস্তাটি দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘুরতে থাকি।
পুরো রাস্তাটি হাঁটা শেষ হলে আমরা রমনা পার্কের চারদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। রমনা পার্কের পরিবেশ খুবই ভালো। চারিদিকে গাছ পালায় ভরপুর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। রমনা পার্কে একটি জায়গা রয়েছে যেখানে সারি সারি গাছ একটির পর একটি করে সাজানো আছে। সারি সারি গাছগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। এখানকার রাস্তা গুলো ছিল একদম পরিষ্কার । রাস্তাগুলো দিয়ে হেঁটেই যেন এক ধরনের আলাদা শান্তি কাজ করছে।
আমরা রমনা পার্কের ভিতরের রাস্তাগুলো দিয়ে রমনা পার্কের চারিদিক ঘুরে দেখতে থাকি। এখানে অনেকগুলো ক্যামেরাম্যান আসে যারা এখানে ঘুরতে আসে তাদের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দেয় টাকার বিনিময়ে। আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে একটি ক্যামেরাম্যান দিয়ে কিছু ছবি তুলি। এই পোষ্টের প্রথমেই যে ছবিটি আমি দিয়েছি সেটা এখানে তোলা। গ্রুপ ছবি তোলার পর একটি করে সিঙ্গেল ছবি তুলি সবাই। ক্যামেরা দিয়ে ছবিগুলো বেশ ভালো আসছিল।
দিনের আবহাওয়াটি বেশ মেঘলা ছিল । বোঝাই যাচ্ছিল কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি আসার ঠিক আগের মুহূর্ত আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বৃষ্টি আসার আগের মুহূর্তে রমনা পার্কের গাছগুলো থেকে শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তুলছিলো। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমরা দৌড়ে একটি বিম্বের নিচে অবস্থান করি। এখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকি। যখন বৃষ্টি একটু কমে তখন বের হয়ে আবার হাঁটা শুরু করি কিন্তু হঠাৎ আবার জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় এবার আমরা তিনজন মিলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রমনা পার্ক থেকে বের হয়ে যাই।
আজকের মতো এখানেই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্যকে ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বন্ধুদের সাথে রমনা পার্কে একদিন। আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন সময় পার্কে ঘুরতে গেলে বেশ ভালই লাগে। আসলে আমিও এই পার্কে অনেকদিন আগে ঘুরতে গিয়েছিলাম এই পার্কেটি ঢাকা শহরের অবস্থিত। দেখে বোঝা যাচ্ছে বন্ধুদের সাথে সেখানে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে বেশ চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন। পার্কের এদিকে সেদিকে এমনিতেই রমনা পার্ক দেশের বিখ্যাত একটি স্থান যেটা ইতিহাসের পাতায় রয়েছে তার পরিচয়। রমনা পার্কে কেন্দ্র করে রয়েছে অনেক ইতিহাস। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই স্থানটি বন্ধুদের সাথে ঘুরিয়েছেন এবং তার সাথে বর্ণনা করে তুলে ধরেছেন এই পোস্টে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।