স্বপ্নপুরী পিকনিক যাওয়ার অনুভূতি।।

স্বপ্নপুরী পিকনিক যাওয়ার অনুভূতি

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের স্বপ্নপুরী যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।

২০১৯ সালের ২২ শে মার্চ, আমাদের স্কুল পিকনিক আয়োজন করা হয়। তখন আমরা দশম শ্রেণিতে। পিকনিক যাওয়ার জন্য স্বপ্নপুরী পর্যটন কেন্দ্র বেছে নেয়া হয়। ২২ শে মার্চ সকাল ৭ঃ৩০ এর মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হাওয়ার জন্য জানানো যায় এবং ঠিক ৮ টায় রওনা দেয়ার কথা বলা হয়।
কথা মতো আমরা দশম শ্রেণির সবাই ৭ঃ৩০ এর মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হই। আমরা প্রায় ৬০ জন ছিলাম মোট। তাই ২ টি বাস ভাড়া করা হয়েছিলো। প্রতিটি বাসে ৩ জন করে সিনিয়র শিক্ষক দায়িত্বে ছিলো। আমাদের বাসে দায়িত্বে ছিলেন সোহেল স্যার, রতন স্যার এবং শহিদুল স্যার। এই ৩ জন স্যার আমার অনেক প্রিয়।

কথামতো ৮ টায় আমাদের বাস রওনা দেয়ার কথা কিন্তু একটু লেট হয়ে যাওয়ায় ৯ টায় আমাদের বাস স্বপ্নপুরী গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। আমরা বাসে অনেক মজা করি। স্যাররা আমাদের গান শোনায়, আমরা গানের কলি খেলি। এককথায়, আড্ডা আড্ডায় আমরা স্বপ্নপুরী পৌঁছাই। প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে আমরা স্বপ্নপুরী পৌঁছাই।

স্বপ্নপুরী রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত। আমরা স্বপ্নপুরী পৌঁছে সবার আগে হাতমুখ ধুয়ে নেই। তারপর আমাদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা ছিলো সেগুলো খেয়ে আশেপাশে ঘুরতে যাই।
স্বপ্নপুরী একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে। জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমরা চারিদিকে ঘুরাঘুরি করতে থাকি। আসলে সেইদিন প্রচুর গরম ছিলো তাই আমরা সিন্ধান্ত নেই যে সুইমিংপুল এ গোসল করবো। আমরা সবাই এক্সট্রা কাপড় এনেছিলাম।

আমরা কয়েকজন ফ্রেন্ড সুইমিংপুলের টিকিট কাটি। সবাই সুইমিংপুল এ গোসল করতে নামি। আমরা সুইমিংপুল এ সবাই অনেক মজা করি। আমাদের স্বপ্নপুরীতে বেস্ট সময়টি সুইমিংপুলে কাটে। সেখানে আমরা অনেক ছবি তুলি। একটি বল নিয়ে সুইমিংপুলে সবাই খেলা করি। আর যেহেতু অনেক গরম ছিলো সেহেতু সুইমিংপুলে গোসল অনেকটা প্রশান্তি দিয়েছিলো।

সুইমিংপুলে গোসল করার পর আমরা সবাই বাসের ওখানে যাই। ততক্ষণে দুপুর ২ টা বেজে গিয়েছিলো। বাবুর্চিদের রান্না ও শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তারপর আমরা খেতে বসি। সবাই মিলে খাওয়া শুরু করি। রান্নাটা বেশ মজা হয়েছিলো। তাই সবাই একদম পেট ভোরে খাই। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করি। তারপর আশেপাশে ঘুরতে যাই।

এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা দেখলেই মন জুড়ায় যায়। আমরা কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর ৪ঃ৩০ এর মধ্যে বাসের সামনে পৌঁছাই। কারণ ৫ টায় আমাদের বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয়ার কথা। কথামতো, ঘুরাঘুরি শেষ করে ৫ টায় আমাদের বাস রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৭ টায় আমরা বিদ্যালয়ে পৌঁছাই। তারপর সেখান থেকে যে যার বাসায় যাই।

এই ছিলো আমার স্বপ্নপুরী যাওয়ার অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আজকের মতো এখানেই। আল্লাহ হাফেজ।